৬৪ বছর ধরে না পাওয়ার হতাশায় ভুগছেন তারা...

বাংলাদেশের প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে । বর্তমানে বাংলাদেশে ২৬টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় অর্থাৎ বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে ১০টি।

গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হওয়ার প্রায় ৬৪ বছর অতিক্রম হলেও গ্যাস সংযোগ পাননি সংসদীয় আসন সিলেট-৪ এর অন্তর্ভুক্ত এলাকার মানুষ। দীর্ঘ পাঁচ যুগের অধিক সময় ধরে চোখের সামনে নিজেদের বাড়ির আঙ্গিনায় গ্যাস উৎপাদন হলেও এখানকার বাসিন্দারা এখনো  লতা, পাতা আর লাকড়ি জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন।

দেশের ছোট, বড় কল-কারখানার চুলোয় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরের গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে। হরিপুরের গ্যাসে দেশের সিংহভাগ কল-কারখানার চাকা ঘুরার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক চাকাও ঘুরাচ্ছে।

বৃহত্তর সিলেটের গ্যাসক্ষেত্রগুলো বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত গ্যাসের প্রায় ৯০ শতাংশ সরবরাহ করে । সিলেট বিভাগের ৩৮ উপজেলার মধ্যে এখনো ২২টি উপজেলায় গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হয়নি। ১৬টি উপজেলার মধ্যে শুধু মাত্র শহর এলাকায় গ্যাস সরবরাহ রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায় ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে দেশের একমাত্র ও প্রথম গ্যাসক্ষেত্র সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে আবিষ্কার হয়ার পর থেকে এ জনপদের মানুষ গ্যাস সংযোগের দাবি জানিয়ে আসছেন। গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় গ্যাস সংযোগের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয়রা সভা, সেমিনার, মানববন্ধন, ধর্মঘট এমনকি হরতালের মতো কঠিন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এখনো এ জনপদে গৃহস্থালি ব্যবহারের জন্য গ্যাস সংযোগ প্রদানের কোন আভাস পরিলক্ষিত হয়নি।

এ অঞ্চলের মানুষ সহজ, সরল ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন। ফলে এই জনপদের মাটি ও মানুষের চাহিদা মেটাতে জরুরিভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে স্থানীয়রা দাবি জানিয়ে আসছেন।