অধ্যক্ষকে কারচাপায় হত্যা করলেন সহকর্মী!

সিলেটের ওসমানীনগরে মাদরাসা অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলামকে সহকর্মী লুৎফুর রহমান হত্যার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগর বুরুঙ্গা সড়কে প্রাইভেটকার চাপায় নিহত হন অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলাম।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দিপঙ্কর দেব শিবু বলেন, একই মাদরাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক লুৎফুর রহমানের প্রাইভেটকার অধ্যক্ষের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। ঘটনার পর প্রভাষক পলাতক রয়েছেন।
 
শেখ ফজিলাতুন্নেসা ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক আহমদ আলী হেলালী বলেন, অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলামের সঙ্গে লুৎফুর রহমানের মধ্যে কিছু দিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবারও দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। মাদরাসায় এসে শুনি অধ্যক্ষ যে কার চাপায় নিহত হয়েছেন, সেটি শিক্ষক লুৎফুর রহমানের।

তিনি আরো বলেন, নিহতের জানাজা রাত আটটায় মাদরাসা প্রাঙ্গণে হয়েছে। তাকে গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই নিহতের দাফন হবে।

শেরপুর হাইওয়ে থানার এসআই কামরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজন ও মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে একই মাদরাসার প্রভাষক ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাইভেট কারচাপায় অধ্যক্ষকে হত্যা করেছেন বলে মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।