ঈদে দুর্ঘটনা: সবচেয়ে কম প্রাণহানি সিলেটে

ঈদ-উল-আযহার আগে-পরে ১১ দিনে সারা দেশে ১৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২০৭ জন, আহত হয়েছেন ৩৮৯ জন। দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম প্রাণহানি সিলেট বিভাগে হয়েছে।

এমন তথ্য দিয়েছে ‘রোড সেফটি ফাউন্ডেশন’ নামের এক বেসরকারি সংগঠন। তারা ১৪ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশনের তথ্যের ভিত্তিতে সমীক্ষা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, ঈদকে কেন্দ্র করে যাতায়াতে ঢাকা বিভাগে ২০.৮৮ ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে, প্রাণহানি ২৩.১৮ ভাগ। রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৪.০৫ ভাগ, প্রাণহানি হয়েছে ১৭.৩৯ ভাগ। চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৩.২৯ ভাগ ও প্রাণহানি ১৪ ঘটেছে। খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১১.৩৯, প্রাণহানি ১৩.৫২ ভাগ।

বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫.৬৯ ভাগ, প্রাণহানি হয়েছে ৫.৭৯ ভাগ। সিলেট বিভাগে ২.৫৩ ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে, প্রাণহানি হয়েছে ১.৯৩ ভাগ। রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৮.২২ ভাগ, প্রাণহানি হয়েছে ১৪.৪৯ ভাগ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৩.৯২ ভাগ, প্রাণহানি হার ৯.৬৬ ভাগ।

ফাউন্ডেশনের তথ্যানুসারে, ঈদকেন্দ্রিক দুর্ঘটনা সবচেয়ে কম হয়েছে সিলেটে। এ বিভাগে ৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মধ্যে সুনামগঞ্জে একটি দুর্ঘটনা ঘটলেও সেখানে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। বাকি তিন জেলাতেই একজন করে মারা গেছেন।

সংগঠনটির প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার বেশ কিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে। প্রধান কারণগুলো হচ্ছে- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি; গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।