নির্বাচনে আপামর জনতা আ. লীগকে একতরফাভাবে গ্রহণ করেছে: নাহিদ 

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপামর জনতা আওয়ামী লীগকে একতরফাভাবে গ্রহণ করেছে। এ রায় ছিল উন্নয়ন ও সুশাসনের পক্ষে। এ বিজয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশকে দুর্নীতি, ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে তৃণমুল নেতাকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করেছে। তার ফলেই নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হয়েছে। নির্বাচনে দু-একজন বিতর্কিত নেতা ছাড়া সবাই দলের পক্ষে কাজ করেন। সবাই এরকম দায়িত্বশীলতার সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকলে শত প্রতিকুলতাই আমাদের উন্নয়ন থামিয়ে রাখতে পারবে না। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনত্তোর কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, যারা বলে আমি সবার সাথে মিশিনা তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আমি সুযোগ পেলেই সবার সাথে কথা বলি, নেতাকর্মীদের সাথে কোশলবিনিময় করি, বাচ্চাদের সাথে কথা বলি সময় পেলে তাদের সাথে বসে গল্প করি। আমি আপনাদের কর্মী আর কর্মী হিসেবে কোথাও কোন ভূল হলে তা ধরিয়ে দিয়ে বিবেচনায় রাখবেন। আমি জনগণের কথা চিন্তা করে তাদের প্রতি মাসে একবার একান্তে সময় দিব সবার দুঃখ-দূর্দশার খবর নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিব। 

নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি আরও বলেন, মন্ত্রী না হওয়ার বিষয়ে দুশ্চিন্তার কিছুই নেই। আমি বিগত ১০বছর শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ভারতে ৬বার শিক্ষামন্ত্রী রদবদল করা হয়। কিন্ত আমি টানা ১০বছর শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম এতে আপনারা সন্তুষ্ট থাকা দরকার। আমি মন্ত্রী থাকাকালীন গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্ত তখন সারা দেশের কথা আমাকে ভাবতে হতো এখন শুধু গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারবাসীর জন্য কাজ করে যেতে চাই। বিগত সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এখন তার থেকেও অধিক উন্নয়ন হবে।  

উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুসারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রার্থীতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। এবং একজনকেই নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। 

অনুষ্ঠানে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমেদের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন-, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল ওদুদ, দপ্তর সম্পাদক আকবর আলী ফখর, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অজামিল চন্দ্র নাথ, সিলেট মহানগর যুব মহিলালীগের সভাপতি নাজিরা বেগম শিলা, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ওয়েছুর রহমান ওয়েছ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খায়রুল হক, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সালমান আহমদ চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কামান্ডার আলহাজ শফিকুর রহমান, বুধবারী বাজার ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাব উদ্দিন কামাল,  লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি লুৎফুর রহমান মাষ্টার, ঢাকা দক্ষিণ ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিন, ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ, এনামুল হক রুহেল, রুমেল সিরাজ, আমুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক নাজিমুল হক লস্কর, আবু সুফিয়ান আজম, গোলাপগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিপন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিভাগীয় সম্পাদক হোসেন আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা শাহ ইমরান, দেলোয়ার, কমল, তানভীর, জুনেদ, আফছর প্রমুখ।