বিয়ানীবাজারে মেয়র প্রার্থী তফজ্জুলের সাদামাটা প্রচারণায়

তফজ্জুল হোসেন দীর্ঘদিন বিয়ানীবাজার পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে এ অঞ্চলের মানুষের আশা ভরসার আশ্রয়স্থল ছিলেন যিনি।

২০১৭ সালের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও জনসেবা থেকে একদম থেমে থাকেন নি। প্রবাসের মায়া ও আরও নানা লোভ লালসা ত্যাগ করে নীরবে পাশে ছিলেন পৌরবাসীর। এবারের নির্বাচনে জগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা সাবেক এই পৌরপ্রশাসক সাদামাটা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কৌশলে কখনো রিকশা আবার কখনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় নীরবে কৌশলে অটোরিকশা চলে নিজেই নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এই মেয়র পদপ্রার্থী। 

এ বিষয়ে মেয়র প্রার্থী তফজ্জুল হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘদিন বিয়ানীবাজার পৌরসভার দায়িত্বে ছিলাম। পৌর শহরের বিভিন্ন প্রজেক্ট আমি পাশ করিয়ে রেখেছিলাম যেগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমার কাছে কোনোদিন কেউ এসে ফিরে যায়নি।

পৌরসভার দরজা সবসময় গরিব মেহনতী মানুষের জন্য খোলা ছিল খোলা থাকবে। পৌরসভাকে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্ত করতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি। 

উল্লেখ্য, বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। তারা হলেন, বিয়ানীবাজার পৌরসভায় মেয়র পদে স্বতন্ত্র সাত প্রার্থীর মধ্যে আহবাবুর রহমান সাজু (কম্পিউটার), আওয়ামী বিদ্রোহী ফারুকুল হক (চামচ), আব্দুস সামাদ আজাদ (হ্যাঙ্গার), মোহাম্মদ অজি উদ্দিন (নারিকেল গাছ), মোহাম্মদ আব্দুস সবুর (মোবাইল ফোন), আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মো. আব্দুল কুদ্দুছ (হেলমেট), সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন (জগ)।

আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আব্দুস শুকুর (নৌকা), জাতীয় পার্টির  মো. সুনাম উদ্দিন (লাঙল) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মোহাম্মদ আবুল কাশেম (কাস্তে) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।