বাংলাদেশে ‘ভূতুড়ে’ যে গ্রাম ৯০ বছর ধরে জনশূন্য!
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২১
দেশের আর দশটা গ্রামের মতোই এখানে আছে ঘরবাড়ি, পুকুর, ক্ষেত ভরা ফসল। তবে সেগুলো খাওয়ার জন্য কিংবা বাড়িতে থাকার জন্য মানুষ নেই এখানে। এই কথাটি শুনে অবাক হবেন যে কেউ। তবে না কোনো হরর সিনেমার দৃশ্যপট ব্যাখ্যা করছি না। কিংবা ভিনদেশি কোনো দ্বীপও নয় এটি। বাংলাদেশেই রয়েছে এমন এক গ্রাম। যেখানে প্রায় শত বছর ধরে কোনো মানুষের বাস নেই। গ্রামটির নাম মঙ্গলপুর। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নে এই গ্রামের অবস্থান।
সরকারি নথিতে গ্রামটির অস্তিত্ব আছে। আছে ফসলি জমি, পুকুর, গাছগাছালি। শুধু নেই কোনো কোলাহল। জনশ্রুতি আছে বহুবছর পূর্বে মঙ্গলপুর গ্রামের মানুষের মধ্যে ‘অমঙ্গল’ আতঙ্ক ভর করে। ভয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যায় মানুষগুলো। সেই থেকে গ্রামটি মানুষশূন্য। এখনো গ্রামজুড়ে রয়েছে ধান, মসুরি, আখসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত এবং ফলের বাগান। রয়েছে বেশ কয়েকটি বসতভিটার ধ্বংসাবশেষ। রয়েছে বেশ কিছু পুকুরও। যা প্রমাণ করে এককালে এখানে মানুষের বাসছিল খুব ভালোভাবেই। তবে কেন এখানে কেউ বাস করে না। এমন প্রশ্ন আপনার মনেও নিশ্চয় জেগে উঠছে বারবার। চলুন জেনে নেয়া যাক এর নেপথ্যের কাহিনী-
এখানে এখনো রয়েছে ফসলের মাঠ, ফলের বাগান
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর এলাকার প্রবীন ব্যক্তি মোশারফ হোসেন জানান, ৮০ থেকে ৯০ বছর পূর্বে মঙ্গলপুর গ্রামে মহামারি আকারে কলেরা রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেক মানুষ মারা যান। আতঙ্কে অন্যরা আশপাশের গ্রামে আশ্রয় নেন। কিছু পরিবার ভয়ে গ্রাম ছেড়ে ভারতে চলে যান।
পার্শ্ববর্তী বলাবাড়িয়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের ছিল। গ্রামে যখন কলেরা মহামারি আকার ধারণ করে তখন অনেক মানুষ মারা যান। ওই সময় গ্রামে একটা কথা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামের খাল-বিল, পুকুর-কুয়ার পানি নষ্ট হয়ে গেছে। এখানে থাকলে সবাইকে মরতে হবে। এই প্রচারের পর গ্রামের মানুষ দল বেঁধে ভারতে চলে যায়। কিছু মানুষ পাশের গ্রামগুলোতে চলে গিয়েছিল, যারা পরে অন্যত্র চলে গেছেন।
এসব অনেক অনেক বছর আগেকার কথা। তবে তারও অনেক পরে, আজ থেকে ৮০-৯০ বছর আগেও হাজরা ঠাকুর, নিপিন ঠাকুররা কয়েকঘর এখানে ছিলেন। তারা মারা যাওয়ার পর সর্বশেষ তাদের পরিবারের নেটো ঠাকুর নামের একজন মঙ্গলপুরে থাকতেন, তিনি পরবর্তীতে খুন হলে গ্রামটি সম্পূর্ণভাবে মানুষশূন্য হয়ে পড়ে।
জানা যায়, এই অঞ্চলে মঙ্গল পাঠান নামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তার নামেই পরবর্তীতে গ্রামটির নামকরণ করা হয় মঙ্গলপুর। মঙ্গল পাঠানের তিন একর জমির উপর ছিল বিশাল এক বাড়ি। বাড়ির চারদিকে উঁচু করে ৩০ থেকে ৪০ ইঞ্চি চওড়া মাটির প্রাচীর ছিল। পাশের পুকুরের উঁচু পাড়ে দাঁড়িয়েও বাড়ির ভেতরের কাউকে দেখা যেত না। তার পরিবার ছিল খুবই পর্দাশীল। বাড়ির মেয়েরা কখনো বাইরে বের হতো না। এমনকি বাইরের কোনো পুরুষের সঙ্গে দেখাও দিতেন না। মঙ্গল পাঠান একসময় সেখানেই মারা যান। তার কবর এখনো রয়েছে এই গ্রামে।
এক সময়ের কোলাহলপূর্ণ সেই গ্রাম আজ দেড়শ বছর ধরে পরিত্যক্ত
এক সময়ের কোলাহলপূর্ণ গ্রাম কী কারণে এমন মানবশূন্য হয়ে গেল তা ঠিক কেউই বলতে পারে না। আর সময়টাও অনেক বয়ে গেছে। তাই এই প্রজন্মের কেউ এই ব্যাপারে খোঁজও রাখেন না। তবে সবচেয়ে প্রচলিত কারণ হচ্ছে- এক সময় এখানে কলেরা এবং গুটি বসন্ত দেখা দিলে গ্রামের মানুষ মারা যেতে থাকে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল শিশু। ডাক্তার- কবিরাজ, ওঝা, ওশুধ-ঝাড়ফুক কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে কোনো দৈব শক্তির কারণে এমনটা হচ্ছে। এখানে থাকলে তারা কেউই বাঁচবে না। তাই সবাই সব রেখেই গ্রাম ছেড়ে পালাতে থাকে। পরবর্তীতে তাদের উত্তরসূরিরা এসে তাদের জমি পাশের গ্রামের মানুষের কাছে বিক্রি করে দিয়ে যেন ঝামেলা মুক্ত হয়। তারাই এখন এই সব জমিতে চাষাবাদ করছেন। তবে বসতি গড়েননি কেউ।
এলাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, এলাঙ্গী ইউনিয়নটি ১৬টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। যার মধ্যে মঙ্গলপুর একটি। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও যশোরের চৌগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম এই মঙ্গলপুর। কিন্তু এই গ্রামে কোনো মানুষ বাস করতো না। তারা লোকমুখে শুনেছেন অজানা আতংকে গ্রামের মানুষগুলো গ্রাম ছেড়ে চলে যান।
তিনি আরো জানান, মানুষশূন্য গ্রামটির কথা বর্তমান প্রজন্মের মানুষ ভুলে গিয়েছিল। যা সংবাদপত্রের মাধ্যমে আবারো সবাই জানতে পেরেছেন। এলাঙ্গী ইউপির ভূমি অফিসের সূত্রানুসারে, মঙ্গলপুর গ্রামটি ৬৬ নম্বর মঙ্গলপুর মৌজায় অবস্থিত। এই মৌজায় একটিই গ্রাম রয়েছে। গ্রামে ২০৬ টি খতিয়ানভুক্ত জমি আছে। কিন্তু কোনো পরিবার নেই।
কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। একটি গ্রাম মানুষশূন্য হয়ে গেছে কী কারণে তা খুঁজে দেখবেন বলে তিনি জানান।
- মোবাইল ডেটা দ্রুত শেষ হচ্ছে? যা করলে বাঁচবে খরচ
- যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
- হাওরে ধান কেটে বাড়ি ফিরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন যুবক
- যশোরে তাপমাত্রা উঠল ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
- বন্যা এড়াতে সুরমা খনন: ৪ মাসের কাজ শেষ হয়নি ১৫ মাসেও
- ধোপাগুলে ট্রাক-অটিরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২
- স্কুল ছাত্র তানভীর হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
- শাল্লায় আচরনবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অর্থদণ্ড
- সুনামগঞ্জে ধর্ষণের পর কলেজ ছাত্রীকে খুন, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
- হাঁস পাচ্ছে জুড়ীর ২৮০ পরিবার
- ফের প্রশান্তির বৃষ্টিতে ভিজল সিলেট
- বিয়ানীবাজারে অর্ধশত খালের দুরবস্থা, বিপদে কৃষকেরা
- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ/ ভিনিসিয়াসের জোড়া গোলে বায়ার্ন-রিয়ালের ড্র
- যুক্তরাষ্ট্রে নিহত দুই বাঙালি হত্যার বিচার চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
- এমসি কলেজের শতবর্ষী ভবন সংরক্ষণের দাবি
- থাইল্যান্ড থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন কাল
- দেশের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
- মহান মে দিবস আজ
- দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন
- হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল ৭ মে পর্যন্ত
- সরকারের সিদ্ধান্তে জনস্বার্থকে প্রাধান্যদেবার পরামর্শ রাষ্ট্রপতির
- সুরমা টাওয়ারের ১৩ তলা থেকে পড়ে সিসিক কর্মচারীর মৃত্যু
- হিট স্ট্রোকে সারাদেশে ৭ দিনে ১০ জনের মৃত্যু
- শাবিপ্রবিতে অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
- বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
- যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩, আহত ৫
- সরকার উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করতে চায় : ড. মোমেন
- ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ পদক’ পেলেন সিলেটের ড. আল কবির
- কোম্পানীগঞ্জে নুরুল হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
- সিলেটে অমিত ‘হত্যাকাণ্ডে’ জড়িত গ্রেফতার ১, তদন্ত চলছে
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা
- সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ
- একটি মহল দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না : এমএ মান্নান
- জাউয়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি
- ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বিশেষ নিরাপত্তা, নেই নাশকতার হুমকি
- সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ভুট্টার বাম্পার ফলন
- শায়েস্তাগঞ্জে সার্বজনীন পেনশন কার্যক্রম শুরু
- প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভারতের পরের অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক
- এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন, রুটিন প্রকাশ
- শিলাবৃষ্টি কেন হয়; সিলেটের শিলাবৃষ্টি কি স্বাভাবিক আকারের?