সাধারণ এবং দাঁতের ডাক্তারের মধ্যে পার্থক্য করা হয় কেন?
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৯
চিকিৎসক বা ডাক্তার হলেন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী; যাদের পেশা হলো শারীরিক বা মানসিক রোগ নির্ণয় ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার পরামর্শ এবং চিকিৎসা দেওয়া। তাদের মধ্যে কেউ যদি কোন বিশেষ প্রকারের রোগ, রোগী বা চিকিৎসা পদ্ধতির চর্চার প্রতি নিবিষ্ট হন তাদেরকে বিশেষজ্ঞ বা স্পেশালিষ্ট বলা হয়।
অন্যরা যারা ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠীকেন্দ্রিক সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করে থাকেন তাদেরকে জেনারেল প্রাক্টিসনার বলা হয়। চিকিৎসার সঠিক ব্যবহার শুধু চিকিৎসাবিজ্ঞানের জ্ঞানের ওপরেই নির্ভর করে না, নির্ভর করে এই বিজ্ঞানকে প্রয়োগ করার ফলিত পারদর্শীতার ওপর। মজার ব্যাপার হলো দন্তবিশেষজ্ঞকে কেন আলাদা করা হলো? দাঁতও তো শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মত একটি অংশবিশেষ। দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধির সময়কে কাজে লাগিয়ে এলোমেলো দাঁতগুলো ঠিক করা হয়। মাড়ি ও টিস্যু রোগের চিকিৎসা করা হয়।
দাঁত ভেঙে যাওয়া, মুখের অস্বাভাবিক গঠন, জটিলতা দূর করা, মুখের মধ্যে ও চোয়ালে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি যেমন-টিউমার অপারেশন করা হয়। শিশুদের দাঁতের চিকিৎসাসেবায় বিশেষজ্ঞ রয়েছে। কৃত্রিম দাঁত বসানোয় বিশেষজ্ঞরা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী কৃত্রিম দাঁত সংযোজন করে থাকেন।
দাঁতের ভেতরে স্ট্রাকচারের ওপর চিকিৎসা করে থাকেন। নার্ভ ইনফরমেশন চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞরা রুট ক্যানেলের চিকিৎসাও করে থাকেন। চিকিৎসা জ্ঞানের পাশাপাশি আলাদা কিছু দক্ষতাও অর্জন করতে হয় একজন দাঁতের ডাক্তারকে।
এর মধ্যে রয়েছে রোগীর সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা; ধৈর্যের সঙ্গে দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা; দাঁতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রযুক্তির ব্যবহার শেখা; গভীর মনোযোগের সঙ্গে নিখুঁতভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করতে পারা এবং নিজের দক্ষতা বাড়াতে দাঁতের চিকিৎসায় নতুন নতুন পদ্ধতি ও গবেষণা সম্পর্কে খোঁজ রাখা এবং এর চর্চা করা।
দিন দিন দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ায় এই পেশার সম্ভাবনা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যেমন সব বিষয়ের ওপর প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারেন। একইসঙ্গে ক্রিটিকাল সিচুয়েশনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শও দিয়ে থাকেন। কিন্তু দাঁতের ডাক্তার শুধু দাঁতের ওপরই তাদের সীমাবদ্ধতা রেখেছেন বা সেইভাবে বর্তমান সিস্টেম চলছে।
অনেকে নিশ্চয় বলবে তাতে সমস্যা কোথায়? সমস্যা রয়েছে বিশেষ করে সুইডেনে এবং পাশ্চাত্যে। পাশ্চাত্যে সবাই ট্যাক্স পে করে বিধায় সরকারের দায়ভার জনগণের ওপর অন্যরকম তুলনা করলে বাংলাদেশের সঙ্গে। বাংলাদেশে যেমন সরকার বা তার কর্মরত কর্মচারীরা জনগণকে মূল্যায়ন করে না।
তাদের জীবনের বা এমনকি ভোটেরও তেমন প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না। কিন্তু পাশ্চাত্যে এসব বর্বরতার ধ্বংস অনেক আগেই হয়েছে। এখানে নাগরিকের জীবনের মূল্য অনেক বেশি বিধায় জনগণ তার অধিকার আদায়ে সর্বদাই সচেতন।
সুইডেনের চিকিৎসা ব্যবস্থা সবার জন্য সমান। আমরা মাত্র সুইডিশ ২০০ ক্রোনারে সকল ধরনের চিকিৎসা পেয়ে থাকি। ফ্রি চিকিৎসা পেয়ে থাকে শিশু থেকে ১৮ বছর বয়স অব্দি সকলেই। দাঁত চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন ২৪ বছর অব্দি সব ফ্রি কিন্তু তারপর বলতে গেলে সব খরচ নাগরিকের, যা অনেকের মত আমাকেও অসহ্য করে তুলেছে।
সাধারণ ডাক্তার এবং দাঁতের ডাক্তারের মধ্যে কেন পার্থক্য করা হয়েছে তা নিয়ে আমি গবেষণা সঙ্গে লিখালিখি করতে শুরু করেছি। কারণ সদ্য কয়েকবার দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়ে সামান্য চিকিৎসার বিনিময়ে বড় অংকের অর্থ ফি দিয়েছি তাই।
একইসাথে জানতে পেরেছি দাঁতের চিকিৎসা সবচেয়ে ব্যয়বহুল এদেশের নাগরিকদের জন্য। অনেকে শত শত হাজার সুইডিশ ক্রোনার ব্যয় করে চলছে দাঁতের চিকিৎসার জন্য। অথচ দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্গান যেমন হার্টের অপারেশনে এদেশের নাগরিকদের সর্বোচ্চ ব্যয় হয় ২০০ ক্রোনার এবং ৮০ ক্রোনার প্রতিদিন সংযুক্ত করা হয় (যেমন থাকা, খাওয়া, ওষুধ, সেবা) যদি রুগী হাসপাতালে ভর্তি থাকে।
অথচ দাঁতের চিকিৎসাকে আলাদাভাবে এদেশের পরিকাঠামোতে রেখেছে বিধায় ডেন্টাল ক্লিনিক তার গতিতে চলছে। আর সমস্ত খরচ নাগরিককেই বহন করতে হচ্ছে। দাঁত শরীরের যে কোন অঙ্গের মত একটি অর্গান, তাই আমি মনে করি দাঁতকেও সেইভাবে স্বাস্থ্য সেবার পরিকাঠামোতে আনতে হবে এবং এটাই হচ্ছে আমার লেখার মূল কারণ।
সাধারণ ডাক্তার যখন সব চিকিৎসা দিয়ে থাকে, দাঁতের চিকিৎসাও তারা দিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস; যদি তাদের প্রশিক্ষণে সেটা যুক্ত করা হয়। তবে যদি হার্ট বা ব্রেনের মত দাঁতের বিশেষ কোন জটিলতা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞের দরকার হতে পারে।
পৃথিবীর সর্বত্রই একটি জিনিষ লক্ষণীয় তা হলো মানুষ জাতি যেমন আছে তেমনি থাকতে পছন্দ করে। পরিবর্তন হতে বা করতে জটিলতার দিকগুলো যেমন চোখে পড়ে কিন্তু সুবিধাগুলো তেমন পড়ে না। দাঁতের চিকিৎসা যেহেতু অর্থনৈতিক দিক দিয়ে নাগরিকের একটি আর্থিক বোঝা, তাই আশা করছি এ পরিবর্তনে তাদের একটি ভালো সাড়া পাওয়া যাবে। এখন দেখা যাক এর শেষ কোথায় গিয়ে থামে!
- `উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি`
- ২ কোটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল হোয়াটসঅ্যাপ, কিন্তু কেন?
- বেশি ঘুমালে কি ওজন বাড়ে?
- মুসলিমদের একাত্মতায় ফিলিস্তিন সংকট সমাধান সম্ভব :পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- মোবাইল ব্যাংকিং যেভাবে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছে
- সিলেটসহ সাত জেলার ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
- সিলেটে বিলের পানিতে পড়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- মাধবপুরে বাইসাইকেল চুরির অভিযোগে দুই নৈশপ্রহরী গ্রেফতার
- স্বদেশে ফেরত গেলো প্রেমের টানে সুনামগঞ্জে আসা ভারতীয় যুবতী
- সিলেট বিভাগীয় নৃত্য উৎসবের উদ্বোধন
- এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে
- সমালোচনাকে স্বাগত জানাই, তবে মিথ্যাচারকে নয়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- বাড়ছে নদীর পানি, সিলেটে আগাম বন্যার শঙ্কা
- খাড়িয়াদের মাতৃভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- জগন্নাথপুরে শতভাগ ধান কাটা শেষ, কৃষকেরা খুশি
- বিয়ানীবাজারে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
- ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিপাত : বিপুল ক্ষয়ক্ষতিসহ নিহত ৩৯
- আজ থেকে সীমিত পরিসরে বাড়ছে রেল ভাড়া
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: ‘বি’ ইউনিটে শাবিতে উপস্থিতি ৯৪ শতাংশ
- ছুরিকাঘাতে সিলেটে তরুণের মৃত্যু
- বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ : প্রত্যাশিত জয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্ধার কাজে দুই প্লাটুন বিজিবি
- ১৭ বছর পর যাত্রীভর্তি ফ্লাইট নিয়ে নারিতা যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান
- ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী
- সিলেটের মাঠে হ্যাটট্রিক হারে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের
- অভিবাসীদের জন্য ভালো সুযোগ দিচ্ছে ইউরোপের যে দেশে
- বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন : ৩ পদে মনোনয়ন দিলেন ২২ প্রার্থী
- শাবি উপাচার্যের তথ্য ব্যবহার করে অর্থ চেয়ে সক্রিয় প্রতারকচক্র
- সিলেটে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
- এসআইইউ পরিদর্শনে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা
- একটি মহল দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না : এমএ মান্নান
- সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ
- জাউয়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি
- সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা বৃষ্টি বাড়ার আভাস
- বিশ্বনাথে মেয়র ও কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
- সিলেটে ভারতের কাছে বাংলাদেশের নারীদের হার
- ৮০% পাকলেই হাওরের ধান কেটে ফেলার পরামর্শ কৃষি অধিদপ্তরের
- কৃষি খাতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান সিসিক মেয়রের
- পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে দল