টাকার অভাবে ভেঙে যাবে অভিনেতা মুরাদের স্বপ্ন!

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা আরমান পারভেজ মুরাদ। অভিনয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখলেও স্বপ্ন দেখেন চলচ্চিত্র নির্মাণের। গল্প থেকে চিত্রনাট্য লেখাও শেষ করেছেন। কিন্তু প্রযোজক না পাওয়ায় টাকার অভাবে কাজ শুরু করতে পারছেন না। তবুও হাল ছাড়েননি, চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজের স্বপ্নের সিনেমা নির্মাণের।  

এ বিষয়ে আরমান পারভেজ মুরাদ বলেন, অনেক দিন থেকেই সিনেমা নির্মাণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। শাহরিয়ার কবিরের লেখা শিশুতোষ চলচ্চিত্র নিকোলাস দ্য রোজারিও গল্পে চিত্রনাট্য লেখা শেষ হয়েছে অনেক দিন আগেই। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ার কারণে কাজ শুরু করতে পারছি না। পৃষ্ঠপোষকতা পেলেই স্বপ্নের সিনেমাটা নির্মাণ করতে চাই।  

 
‘ঘানি’ খ্যাত এ অভিনেতা বলেন, অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের মধ্যে নির্মাণের স্বপ্ন বুনেছি। সিনেমা নির্মাণ করাটা আমার স্বপ্ন। এই ছবিটা আমার স্বপ্নের। যেহেতু ছোটবেলা স্কাউড, রেড ক্রিসেন্ট করেছি। যারা ছোটবেলায় এই কাজগুলো করে তখন অনেক চৌকশ হয়, ভবিষ্যতে একজন ভালো মানুষ হতে সহায়তা করে। তারা কতোটা সৎ, কিভাবে দেশকে শত্রুমুক্ত করছে, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করছে-এমন গল্পে দেখানো হবে।

নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়ে এ অভিনেতা বলেন, আমার গুরু এস এম সুলতান শিশুতোষ বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি সবসময় আমাকে একটা কথা বলতেন, শিশুরা ছবি আঁকতে শিখলে তারা বড় হয়ে ভালো মানুষ হবে। যে ফুল-ফলের ছবি আঁকবে তারা বড় হয়ে কখনো নষ্ট হবে না। তাই আমি আমার প্রথম সিনেমাটা শিশুদের জন্যই নির্মাণ করতে চাই। 

মনে চাপা কষ্ট নিয়ে আরমান পারভেজ মুরাদ বলেন, নায়ক-নায়িকা নির্ভর কমার্শিয়াল সিনেমা অনেক হচ্ছে। যেখানে সমাজের জন্য কোনো বার্তা দেয়া হয় না। কিন্তু এসব ছবির জন্য পৃষ্ঠপোষকতার অভাব হয় না। অথচ আমরা যখন ভিন্ন ভাবনা নিয়ে কিছু করতে চাই তখন প্রযোজক পাই না। কষ্ট একটাই- ভালোর সঙ্গে থেকেও, সারাদিন ভালো করতে চাই মুখে বলা মানুষগুলোও দিনশেষে ভালোর সাপোর্ট করছে না। যদি তাই করতো তাহলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অনেক উন্নতি হতো।

 
মুরাদ রাজশাহী সাংস্কৃতিক সংঘে টানা ৯ বছর কাজ করেছেন। এরপর ঢাকায় এসে থিয়েটার আরামবাগে যুক্ত হন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অষংখ্য নাটক ও ১০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পর্দার অভিনয়ের বাইরে একাধারে তিনি মঞ্চ অভিনেতা, আবৃত্তিশিল্পী। সেইসঙ্গে অসংখ্য বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলেও কণ্ঠ দিয়েছেন।