বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী জার্মানি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে চায় জার্মানি। এ লক্ষ্যে দেশটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, দক্ষতা উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনে কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোলজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এসময় জার্মানের রাষ্ট্রদূত নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এ প্রেক্ষিতে আব্দুল মোমেন তাকে ধন্যবাদও জানান।

দ্বি-পক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক কর্মসূচি নিয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানি পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে একতাবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নদর্শী নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও সার্বিক অগ্রগতিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

জার্মানিকে ‘প্রকৃত বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক সহায়তার জন্য জার্মান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য দেশটির ব্যবসায়ীদেরও আহ্বান জানান।

এছাড়া তিনি রোহিঙ্গা সংকটে পূর্ণ সমর্থন বৃদ্ধির জন্য জার্মানিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আরো জোর প্রচেষ্টার দাবি জানান। যাতে করে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে ফিরে যেতে পারে।

জার্মান রাষ্ট্রদূতও এতে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানসহ দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো গভীর করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এদিকে, আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার দফতরে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউইএফ) এর বিশেষ উপদেষ্টা পিন্সেস সারাহ জেইদ। উভয়ের মধ্যকার আলোচনায় বাংলাদেশে খাদ্য, পুষ্টি নিশ্চিতসহ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে। এতে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতে বিভিন্ন পরিকল্পনার বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে।