সিলেট যুবলীগে আরেক অপেক্ষা

সালটি ছিল ১৯৯২। প্রায় ২৭ বছর আগে ওই সময়ে সিলেটে যুবলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে সম্মেলনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। এরপর অতি সম্প্রতি সম্মেলনে ভোটাভুটির মাধ্যমে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের শীর্ষ দুটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন চার নেতা।

অবশ্য সিলেট জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালে। পরের বছর (২০০৪) হয়েছিল মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। তবে ওই সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ পাননি সংগঠনটির কাউন্সিলররা। দীর্ঘ ২৭ বছর পর গেল মাসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জেলা ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার সুযোগ পান কাউন্সিলররা। এর মধ্য দিয়ে জেলা যুবলীগে প্রায় ১৬ বছর এবং মহানগর যুবলীগে প্রায় ১৫ বছর পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।

সম্মেলনের জন্য সিলেট যুবলীগের নেতাকর্মীদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয়েছে। এবার আরেক অপেক্ষায় আওয়ামী লীগের এই যুব সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এই অপেক্ষা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ হতে পারে বলে আভাস মিলেছে দায়িত্বশীল নেতাদের কাছ থেকে।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর যুবলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি আলম খান মুক্তি বলেন, ‘আগস্ট শোকের মাস। তাই এ মাসে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার বিষয়ে আমরা কোনো প্রক্রিয়া চালাইনি। তবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মহানগর শাখার কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

পূর্ণাঙ্গ কমিটির গঠনপ্রক্রিয়া কী হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ত্যাগী, পরীক্ষিত, দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ নেতারাই কমিটিতে স্থান পাবেন। কমিটিতে আসতে যারা আগ্রহী, তাদের সাথে কথা বলা হবে। এরপর কমিটি তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কেন্দ্র কমিটির অনুমোদন দেবে। গঠনতন্ত্র অনুসারে ১০১ সদস্যের কমিটি হতে পারে।’

আলম খান মুক্তি বলেন, ‘কোনো মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী, অপরাধী, অনুপ্রবেশকারী, বিতর্কিত ব্যক্তি কমিটিতে স্থান পাবে না। আমরা সুন্দর ও বিতর্কমুক্ত কমিটি করার চেষ্টা করবো।’

তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাস শেষেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিতে আমরা বসবো। গঠনতন্ত্র অনুসারে ১০১ সদস্যের কমিটিই হবে। কেন্দ্রের সাথে আলোচনা করে কেন্দ্রের অনুমোদনের ভিত্তিতেই হবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি।’

জানা গেছে, সিলেট জেলা যুবলীগের সম্মেলন গেল ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন দলের কাউন্সিলররা। সভাপতি পদে শামীম আহমদ (ভিপি শামীম) ১১৫ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শামীম আহমদ (সীমান্তিক শামীম) ১০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন।

এর আগে, ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। এতে সভাপদি পদে ৩৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আলম খান মুক্তি। এ পদে প্রার্থী ছিলেন ৫ জন; তবে শেষপর্যন্ত ৩ জনই সরে দাঁড়ান। সাধারণ সম্পাদক পদে মুশফিক জায়গীরদার ৩৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ পদে আরো দুই প্রার্থী ছিলেন।

মূলত সম্মেলনে আগে থেকেই শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা যুবলীগে শামীম আহমদ (ভিপি শামীম) আগে থেকেই সভাপতি ছিলেন। মহানগর যুবলীগে আহবায়ক ছিলেন আলম খান মুক্তি, যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন মুশফিক জায়গীরদার। এ তিনজনই এবার নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা যুবলীগের আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান এবার প্রার্থী ছিলেন না। এ পদে নির্বাচিত হয়েছেন শামীম আহমদ (সীমান্তিক শামীম)