সরু সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলছেন লক্ষাধিক মানুষ

জামালগঞ্জের সাচনা বাজার থেকে বেহেলীগামী সড়কের সাচনা চৌধুরী বাড়ি সংলগ্ন সেতু দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে দুই ও তিন চাকার যান চলাচল করছে। যাতায়াতে সেতুটি চরম ঝুঁকিতে থাকলেও এর প্রতি নজরদারি কম সংশ্লিষ্টদের। অথচ জামালগঞ্জের তিন ইউনিয়নসহ তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুরের বিভিন্ন গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত সড়কের বিপদজনক সেতু এটি। 

সেতুটির দু’পাশের নিরাপত্তা বেষ্টনী (র‍্যালিং) ভেঙে গেছে। মাঝখানে দুই স্থানে ফুটো হয়ে বৃহৎ আকার ধারণ করেছে। বেরিয়ে এসেছে লোহার রড। অসাবধানতাবশত ফুটোকৃত স্থানে কারও পা ঢুকে পড়লে ভেঙে যাবে পা, বা ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। সেতুর বেষ্টনী ভেঙে পড়ায়ও ঝুঁকি বেড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি মেরামত না করায় চালক, পথচারী ও স্থানীয় জনসাধারণ ক্ষোভ ঝাড়ছেন। 

জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী, জামালগঞ্জ উত্তর ও সাচনা বাজার ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার প্রায় শ’খানেক গ্রামের চলাচলের পথের সেতু এটি। এই সেতু দিয়ে শত শত টমটম, টলি, অটোরিকসা, রিকসা, মোটরসাইকেল নিয়মিত চলাচল করে আসছে। সেতু তৈরি হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। অত্যন্ত সরু হওয়ায় একটি রিকসা কোনরকমে চলতে পারে এর উপর দিয়ে। একটি রিক্সা উঠলে আরেকটি অপর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সেতুর দুই মুখে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে পড়ায় ছোটখাটো যানবাহনও ঝুঁকি নিয়ে ওঠেছে। 

এলাকাবাসী জানান, প্রায় ২০ বছর আগে সাচনা বাজারের হোমিও চিকিৎসক ডা. জিআর রায় এই পথের অনেক পুরাতন সেতু পার হতে গিয়ে মোটরসাইকেলসহ নীচে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এরপর বিএনপি সরকারের সময়কালে ওই সেতু ভেঙে অপরিকল্পিত এই সেতু হয়। ১৬-১৭ বছর যেতে না যেতেই আবার মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে এই সেতু। নির্বিঘœ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সরু এই সেতু ভেঙে প্রশস্ত করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জামালগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমি এই প্রথম শুনলাম এই সেতুতে সমস্যা আছে। আমার কাছে এই বিষয়টি কেউ জানায়নি। বাস্তবে গিয়ে দেখি, সেখানে কি সমস্যা হয়েছে, তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখানে নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’