ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৬৩

যে কারণে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরাও!

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২০  

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪র্থ বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। টানা ৩য় বার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। আর এই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি যেন দলমতের উর্ধে উঠে গেছেন।

কট্টর সমালোচকরাও এখন স্বীকার করেন দেশ পরিচালনার জন্য, দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনাই সবচেয়ে যোগ্যতম ব্যক্তি।

এই যোগ্যতার মাপকাঠি বিবেচনা করতে গিয়ে তারা দেখছেন, তিনি দেশের স্বার্থকে সবার আগে প্রাধান্য দেন। রাজনৈতিক দূরদর্শিতা আছে এবং একজন শাসক হিসেবে তিনি অত্যন্ত উঁচু মানের। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সবসময় বিরো’ধী দল সরকারের সমালোচনা করে। সমালোচনার প্রধান টার্গেট প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কাজের সমালোচনা হয়। বাংলাদেশের একটা বাস্তবতা হল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে কোন সমালোচনা নেই। বরং বিরো’ধী দলের নেতৃবৃন্দ সমালোচনা করছেন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী ও আমলার। প্রধানমন্ত্রী সকল বিতর্কের উর্ধ্বে।

জনগণের মধ্যে একটা ধারণা স্পষ্ট আছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের স্বার্থরক্ষা করতে চান এবং জনগণের কল্যাণে তিনি কাজ করতে চান। তবে বিরোধী দলগুলো নানা কারণেই শেখ হাসিনার কিছু কিছু কাজে মুগ্ধ। এমনকি বিএনপি’র নেতা-কর্মীরাও বলেন, শেখ হাসিনা যে কাজগুলো করছেন আমরা যদি তা করতাম তাহলে আমাদের এই অবস্থা হতো না।  শেখ হাসিনার যা ৫টি কাজে বিএনপি মুগ্ধ তার মধ্যে রয়েছে-


১। পক্ষপাতহীন উন্নয়ন-

শেখ হাসিনা গত সাড়ে ১১ বছরে উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন পক্ষপাত করেননি। তার নির্বাচনী এলাকা বা আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকাগুলোতেই শুধু উন্নয়ন হবে, বিএনপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা এলাকাগুলোতে উন্নয়ন হবে না- এই রকম ধারণা থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। এর আগে দেখা গেছে যেভাবে বগুড়ার উন্নয়ন হয়েছে, ঠিক একইভাবে অব’হেলিত হয়েছে গোপালগঞ্জ। শেখ হাসিনা ১১ বছরে উন্নয়নে সমতার তত্ত্ব প্রবর্তিত করেছেন। গোপালগঞ্জে যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে ঠিক একই রকম উন্নয়ন হয়েছে বগুড়াতেও। ফেনী-লক্ষ্মীপুরের মতো বিএনপি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতেও উন্নয়নের জন্য কোন বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়নি। শেখ হাসিনার এই কাজটি সকল রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপিকে মুগ্ধ করেছে।

 
২। সব এমপিকে সমান গুরুত্ব-

আগে যেমন ছিল শাসক দলের এমপি মানে বেশি ক্ষমতাবান। বিরো’ধী দলের এমপি মানে কম ক্ষমতাবান। সরকারী দলের এমপিদের জন্য সুযোগ সুবিধা এক রকম। বিরো’ধী দলের এমপিদের জন্য সুযোগ সুবিধা আরেক রকম। শেখ হাসিনা এই ব্যবস্থাটিও বাতিল করেছেন। বরং তিনি সব এমপিদের সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। বরং প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের ক্ষেত্রেও বিরো’ধী দলীয় এমপিরাই প্রাধান্য পাচ্ছেন। বিরো’ধী দলের এমপিরা বিশেষ করে বিএনপির এমপিরা সংসদে তাদের এই মুগ্ধতার কথা জানাতে কার্পণ্যও করেন নাই। বিএনপি’র এমপি হারুন অর রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বিরো’ধী দলীয় এলাকাগুলোর খোঁজ খবর নেন তা বিরল। এটিও একটি কারণ, যে কারণে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মুগ্ধ।


৩। ত্রাণ কাজে সমতা নীতি-

সাম্প্রতিক সময়ে করোনা সং’কট এবং বন্যার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, শেখ হাসিনা সমতার নীতিতে ত্রাণ বিতরণ করছেন। যে এলাকায় যত বেশি দুর্গত, যে এলাকায় যত বেশি আক্রা’ন্ত সেই এলাকার জন্যই সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। কোন এলাকায় আওয়ামী লীগ আছে, কোন এলাকায় বিএনপি আছে, কোন এলাকার স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বিএনপি করেন এগুলো দেখছেন না। বরং তিনি জনগণের দিকে দেখছেন। করোনার শুরু থেকে তিনি বারবার বলছেেন, আমি এলাকা দেখব না, আমি এমপি দেখব না, আমি জনগণ দেখব। এই কাজটিও বিএনপিতে প্রশংসিত হয়েছে।


৪। অন্যায় করলে দলের লোকদেরও ছাড় নয়-

শেখ হাসিনা তিন মেয়াদের শাসনামলে একটা বিষয় স্পষ্ট করেছেন, দলের ভেতরে যত ক্ষমতাবান, জনপ্রিয়, এমনকি প্রভাবশা’লী হোক না কেন- সে যদি অ’ন্যায় করে তাকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। বিএনপি’র একজন নেতা বলেছেন, আমরা যখন ২০০১-০৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলাম তখন যদি গিয়াস উদ্দিন মামুনদের মতো দু’র্বৃত্তদের বিরু’দ্ধে আমরা ন্যূনতম ব্যবস্থা নিতাম তাহলে আমাদের এই পরিণতি হতো না। ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, খালেদ হোসেন ভুইয়া, সাহেদ কিংবা ছাত্রলীগের সভাপতি সেক্রেটারিকে যেভাবে শেখ হাসিনা সাজা দিয়েছেন, সেটা একটা অনন্য নজির বটে। এটিও বিএনপিকে মুগ্ধ করেছে।


৫। কঠিন পরিশ্রম-

শেখ হাসিনার বিষয়ে পুরো দেশের মানুষ একটা বিষয়ে একমত, তিনি পরিশ্রমী। এখনো তিনি দিনে ১৭ থেকে ১৮ ঘণ্টা পরিশ্রম করেন। এবং পুরো সময়টা তিনি দেশ জনগণের পেছনে ব্যয় করেন। কোথায় কী হচ্ছে, কোথায় কোন সমস্যা- এগুলো নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থেকে তিনি সকলের সার্বজনীন নেতায় পরিণত হয়েছেন। শেখ হাসিনার এই পরিশ্রম মুগ্ধ করেছে বিরো’ধী দলকে। তারা মনে করেন শেখ হাসিনার মতো পরিশ্রমী নেতা যদি তাদের দলে থাকত, তাহলে হয়তো তারাও অন্য কিছু করতে পারত।

তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই প্রথম বিরো’ধী দলগুলোও মনে করছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা-ই। 

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার