ফরাসি কথাশিল্পী আঁদ্রে জিদ’র জন্ম

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে  নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

২২ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার। ০৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৮৫৬- বিধবা বিবাহ আইনের প্রেক্ষাপটে ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয় যে, বিধবা বিবাহ করলে বরকে এক হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে।
১৮৫৭- সিপাহি বিদ্রোহের এক পর্যায়ে ঢাকার লালবাগ দুর্গে তাদের ও ইংরেজদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
১৯৯১- মিশরীয় উপপ্রধানমন্ত্রী ড. বট্রোস ঘালি জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পান।
১৯৪৩- লেবানন ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৫৪- যুক্তরাষ্ট্রের হিউম্যান সোসাইটির প্রতিষ্ঠা।

জন্ম
১৭৮৭- ডেনিশ ভাষাতাত্ত্বিক ও পণ্ডিত রাসমুস রাস্ক।
১৮৬৯- নোবেলজয়ী ফরাসি কথাশিল্পী ও সমালোচক আঁদ্রে জিদ।
জীবনের শুরুতে তিনি প্রতীকবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যকালীন সময়ে উপনিবেশ বিরোধিতার প্রবক্তা হয়ে উঠেন। ফিকশন ও আত্মজীবনীভিত্তিক রচনার জন্য তিনি বিখ্যাত। তার রচনা আলবেয়ার ক্যামু ও জাঁ পল সার্ত্রসহ অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে। ১৯৪৭ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ৮১ বছর বয়সে ১৯৫১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৮৭০- অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার হ্যারি গ্রাহাম।
১৮৮৬- বাঙালি পণ্ডিত, শিক্ষক ও দেশপ্রেমিক বেণী মাধব দাস।
১৯০৪- নোবেলজয়ী ফরাসি পদার্থবিদ লুই নিল।
১৯১৭- নোবেলজয়ী ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানী স্যার অ্যানড্রু ফিল্ডিং হাক্সেল।

মৃত্যু
১৭৭৪- ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠায় মূল ভূমিকা পালনকারী রবার্ট ক্লাইভ।
১৯৪৪- বিজ্ঞানী আর্থার স্ট্যানলি এডিংটন।
১৯৬৩- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি।
১৯১৬- মার্কিন কথাসাহিত্যিক জ্যাক লন্ডন।
তার প্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেনে। জীবনের অনেক দিন হাওয়াই ও আলাস্কায় অতিবাহিত করেছেন তিনি। জ্যাক লন্ডন একসময় ভবঘুরে ও গৃহহীন অবস্থায় ছিলেন। এক শহর থেকে অন্য শহরে কাজের সন্ধানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বিনা টিকিটে রেলগাড়িতে চড়েছেন। বড়ই বিচিত্র ছিল তার জীবন। এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো তার দ্য রোড গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। তার বিখ্যাত গ্রন্থ- দ্য কল অব দি ওয়াইল্ড, হোয়াইট ফ্যাঙ, দ্য রোড, দ্য আয়রন হিল, দ্য সি উল্ফ।