প্রবাসী পুনর্বাসনে ৭০০ কোটি টাকার তহবিল

করোনাভাইরাস ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ৭০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ফিরে আসা কর্মীদের দেশেই স্বাবলম্বী করতে এই তহবিল থেকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফিরে আসা কর্মীদের বিমানবন্দরে নগদ অর্থ ও সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

করোনার সংক্রমণ রোধে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলাকালে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে আসা প্রবাসী কর্মীদের জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা, প্রয়োজনীয়সংখ্যক মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছিল। বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে গত ৩১ মে পর্যন্ত এসব বিতরণ করা হয়। গত ১ জুন থেকে সরকার সব কিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নগদ টাকা বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে কাজ হারিয়ে দেশে ফেরত আসছেন এমন প্রবাসীদের বাড়ি ফেরার জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছিল। এ ছাড়া তাঁরা যেন দেশে ফিরে কিছু করতে

পারেন সে জন্য সহজ শর্তে ও কম সুদে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে প্রবাসীদের জন্য ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। প্রবাসীরা দেশে ফেরত আসার পর যেন কোনো ধরনের আর্থিক কষ্টে কিংবা বেকার জীবন যাপন করতে না হয় সে লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত।

এদিকে লিবিয়ায় প্রবাসীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলা মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, ‘লিবিয়ায় এই মানবপাচারে এখন পর্যন্ত কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির কোনো সংশ্লিষ্টতা আমরা পাইনি। বিষয়টি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে কাজ করছে। ট্রাভেল এজেন্সির লোকজনের এতে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে কয়েকজন মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এই মানবপাচারের সঙ্গে যত বড় প্রভাবশালী ব্যক্তিই জড়িত থাকুক না কেন আইনের আওতায় আনা হবে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘লকডাউনের কারণেই প্রবাসী কর্মীদের পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এখন যেহেতু লকডাউন উঠে গেছে, তাই বিমানবন্দরে প্রবাসীদের টাকা দেওয়া হবে না।’