নবীগঞ্জে ছাত্রদলের পৃথক তিন কমিটি!

নবীগঞ্জে থানা ছাত্রদলের পৃথক তিন কমিটি নিয়ে তোলপাড় চলছে। গতকাল শনিবার ছাত্রদলের কথিত একটি বর্ধিত সভা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। থানা ছাত্রদলের সভাপতি দাবিদার রায়েছ আহমদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ফোয়াদ হাসান রাজনের নেতৃত্বে একটি বর্ধিত সভা নিয়ে প্রকাশ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। এনিয়ে গতকাল শনিবার রাতে থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম সোহেল, কফিল মিয়া এবং নবীগঞ্জ সরকারী মহা বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক অলিউর রহমান ও শেখ শিপনের নেতৃত্বে পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল রাতভর তিন গ্রুপের পৃথক মহড়ায় উত্তপ্ত শহরের জনপদ। এদিকে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের তরফ থেকে কথিত কমিটির খবরকে গুজব হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

বিগত ২০১১ সালে থানা ছাত্রদলের সভাপতি হারুনুর রশীদ হারুনকে আহ্বায়ক করে উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা হয়। তবে দীর্ঘ ৯ বছরের ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। কমিটি না হওয়ায় কয়েক ভাগে বিভক্তি দেখা দেয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ ৩ মাস থাকলেও ৯ বছরেও কমিটি গঠিত হয়নি। কয়েক মাস পূর্বে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্রদলের প্রত্যেকটি ইউনিট গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল। এসময় রায়েছ ও রাজনের অনুসারীরা ছাত্রদলের কমিটি হয়েছে এমন দাবী করলেও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি অস্বীকার করেন।

হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কোনো কমিটি ঘোষণা হয়নি, হওয়ার কথাও নয়। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ছাড়া কমিটি ঘোষণার খবর ভিত্তিহীন। গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী বলেন, কমিটি ঘোষণার বিষয়টি গুজব। যারা সম্প্রতি গুজব রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।