গোলাপগঞ্জে মৃত্যুর মিছিলে বয়স্করা, দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর সারি

গোলাপগঞ্জে দীর্ঘ হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুর মিছিল। আর এই মিছিলে যোগ হচ্ছেন শুধুই বয়স্করা। করোনায় আক্রান্তের ২ মাস পার করছে উপজেলা। প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আর সেই সাথে লম্বা হচ্ছে করোনায় মৃতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত উপজেলায় ৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মৃত্যু বরণ করেছেন। যার সবাই বয়স্ক। এরমধ্যে একজন ৪০ বছরের পুরুষ রয়েছেন।

গত (২১ মে) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে উপজেলায় করোনায় প্রথম আবুল কাশেম (৪০) নামে এক পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। তিনি সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। যিনি উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের আছিরগঞ্জ বাজারে ফার্মেসীর ব্যবসা করতেন। তবে তার বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের মালপাড়া গ্রামে।

এদিকে গত ১১ জুন সকালে বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ গ্রামে করোনায় আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয় এবং পৌর এলাকার উত্তর রণকেলী গ্রামের সেলিনা বেগম (৫৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। তবে তার মৃত্যুর ১১ দিন পর (১৮ জুন) তার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে। তিনি সিলেট নর্থ ইস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
গত ২৩ জুন সিলেট নর্থ ইস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌঘরী গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৭৫) নামে একজন বৃদ্ধ মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুর ৩ দিন পর করোনা পজিটিভ আসে।

এদিকে রোববার (২৮ জুন) আমুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরুল হক আকন্দ (৬৬) মৃত্যু বরণ। তার বাড়ি আমুড়া ইউনিয়নের শীলঘাট গ্রামে।

এরপর দিন গত সোমবার (২৯ জুন) উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের ঘোষগাঁও টিল্লাগাঁও গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৬২) নামে এক বৃদ্ধ মৃত্যু বরণ করেন। তিনি গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী।

এদিন সোমবার (২৯জুন) রাত সাড়ে দশটার দিকে সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের ফুলশাইন্দ গ্রামের মসরু উদ্দিন (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মৃত্যু বরণ করেন।

এদিকে গতকাল রোববার সিলেট নর্থ ইস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল গ্রামের সাহাব উদ্দিন (৬০) নামে আরও একজন ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয় বাজারের স’মিল ব্যবসায়ী।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত বয়স্কদের মৃত্যুর হার বেশি। যে সকল বয়স্করা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি সবাইকে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। যারা করোনা আক্রান্ত তাদেরকে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করেন৷