সাকিবের ব্যর্থতার দিনে মোহামেডানকে জেতালেন শুক্কুর

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) টানা দ্বিতীয় জয় পেল আবাহনী। বৃষ্টি আইনে ওল্ড ডিওএইচএসকে ২২ রানে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। সাকিব ব্যর্থ হলেও মোহামেডানকে জিতিয়েছেন ইরফান শুক্কুর। তার ঝড়ো ফিফটিতে পারটেক্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সাদা-কালোরা। আরেক ম্যাচে আলাউদ্দিন বাবুর হ্যাটট্রিক আর মিজানুর রহমানের ফিফটিতে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম মানেই লো স্কোরিং ভেন্যু। তবে, এর মাঝেই দু’একজন ঝলক দেখাচ্ছেন। এই যেমন ডিপিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে ১৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে, ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে ওঠার দাবি আরও জোরালোভাবে জানিয়ে রাখলেন সাইফউদ্দিন।

আবাহনীতে খেলা জাতীয় দলের অন্য ক্রিকেটাররা এদিনও পারেননি নামের প্রতি সুবিচার করতে। আফিফ ২৭, নাঈম শেখ ২৩, শান্ত ১১ আর মোসাদ্দেক করেছেন ৮ রান। রান পাননি মুশফিকও। তবে, সাতে নামা সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বৃষ্টির কারণে এক ওভার করে কমে আসা ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৩৫।

বল হাতেও দারুণ সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে ১৫ রানের খরচায় নিয়েছেন এক উইকেট। আরাফাত সানি নেন ১৩ রানে এক উইকেট। আবাহনীর মিতব্যয়ী বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ১১৩ রান তুলতে সক্ষম হয় ওল্ড ডিওএইচএস।

আরেক ম্যাচের শিরোনামে আলাউদ্দিন বাবু। ঘরোয়া ক্রিকেটের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন এই পেসার। ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রূপগঞ্জকে কম রানে বেঁধে ফেলার কারিগর তিনিই।

নাঈম ইসলামের দলের দেয়া ১১২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মিজানুর রহমানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সহজেই জিতেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। লো স্কোরিং ম্যাচে তার ৫২ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ব্রাদার্স।

রাতের ম্যাচটাকে সে তুলনায় টি-টোয়েন্টি সুলভই বলা যায়। আব্বাস মুসার মারকুটে ৬৪ আর অধিনায়ক তাসামুল হকের ৫৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৫৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। কিছুটা খরুচেই ছিলেন মোহামেডানের বোলাররা। প্রথম ওভারটা উইকেট মেইডেন হলেও, শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সাকিব। তাসকিনের ঝুলিতে ২ উইকেট।

ব্যাট হাতে অফফর্মটা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না সাকিব। ২৫ মে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। দিন দশেকের ব্যবধানে আবারও খালি হাতে ফিরলেন। এবার সঙ্গী হলো গোল্ডেন ডাক।

ওপেনিংয়ে মাহমুদুল হাসান জয় ৩৮ রান করলেও, পারটেক্স ক্যাপ্টেন তাসামুল ৩ উইকেট তুলে নিলে বিপাকে পড়ে মোহামেডান।

বিপদ ভালোভাবে সামাল দেন ইরফান শুক্কুর। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান খেলেন ২৯ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ২৭ রানের ইনিংসে ভালোই সঙ্গ দেন নাদিফ চৌধুরী। ১৪ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় সাদা-কালোরা।