হতাশা ও বিপদ-মুসিবতে করণীয়
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২০
মানুষ জীবনের নানাক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের হতাশায় ভোগেন। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল, যে জীবনে কখনও হাতাশা ও বিপদ-মুসিবতে ভোগেননি।
স্বাভাবিক নিয়মে জীবনের নানা বাঁকে মুমিনের জীবনে হতাশ হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসতে পারে; বিপদ-মুসিব বা দুঃখ-কষ্ট জীবনেরই অংশ। এসব এলে হতাশ হয়ে পড়া মুমিনের লক্ষণ নয়। এগুলো এলে কি করতে হবে তা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলে দিয়েছেন।
রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘হে ঈমানদাররা! ধৈর্য্যধারণ কর এবং মোকাবিলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার। (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ২০০)।
রাতের পর যেমন দিন, ঠিক তেমনি দুঃখের পর আছে সুখ। কাজেই কোনো দুঃখে মুষড়ে পড়া কোনো মুসলমানের সাজে না। মানুষ যত বড় পাপীই হোক, আল্লাহকে ডাকলে আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দেন। আপনি যত পাপীই হোন, আর যত দুঃখ কষ্টের মধ্যেই থাকুন না কেন, আল্লাহকে স্মরণ করুন। আল্লাহ ওয়াদা করেছেন, তিনি নিশ্চয়ই আপনার ডাকে সাড়া দেবেন।
এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব।’ (সূরা: আল মুমিন, আয়াত: ৬০)।
মুমিনের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। যারা মুমিন তারা একমাত্র আল্লাহর ওপরই ভরসা করবে। নিরাশ হওয়া চলবে না। কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।’ (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৯)।
বস্তুত আল্লাহ তায়ালা মানুষের অন্তর পরীক্ষা করেন। ধৈর্য্যধারণ করায় আল্লাহ মুমিনদের ওপর সন্তষ্ট হন। পরিণামে প্রশান্তি নাজিল করেন এবং বিজয় দান করেন। মনে এ বিশ্বাস রাখতে হবে, সময় কঠিন হলেও আল্লাহর সাহায্য আসবেই। এটা আল্লাহর ওয়াদা। কোরআন ও হাদিসে বিপদে ধৈর্য্যধারণ করার কথা বারবার বলা হয়েছে।
বিপদ-মুসিবতের সময় মুসলমানের করণীয় প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘ধৈর্য্যর সঙ্গে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাজের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ৪৫)।
সত্যিকারের মুমিন সর্বদা আপন প্রভূর করুণা ও রহমত কামনা করে। আর আল্লাহ তায়ালা তাদের সঙ্গে সেরূপ ব্যবহারই করেন। এ সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি আমার ব্যাপারে আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী তার সঙ্গে ব্যবহার করি।’
মানুষের বালা-মুসিবত দৃশ্যত অসহ্য কিংবা কষ্টদায়ক হলেও, তা পরিণামে শেষ পর্যন্ত কল্যাণই বয়ে আনে। আল্লাহ তায়ালা ধৈর্য্যশীলদের এই মুসিবতের বদৌলতে উত্তম নিয়ামত দান করে থাকেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের বিষয়টি চমৎকার, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য (ভালো বা মন্দ) যা-ই ফয়সালা করেন, তা-ই তার জন্য কল্যাণকর হয়।’
তাই বিপদ-মুসিবতের সময় গোনাহ থেকে বার বার তওবা করতে হবে। কারণ তওবা করলে আল্লাহ তায়ালার রহমত বর্ষিত হয়। পাপ হয়ে গেলে তওবা করুন। তওবার কোনো বিকল্প নেই। তওবায় পাপ মোচন হয়, বিপদ আপদ কেটে যায়।
বিপদের বেশি বেশি নামাজ পরতে হবে। নামাজ মনে প্রশান্তি আনে। কোরআনে কারিমে সূরা রাদের ২৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা প্রশান্তি লাভ করে, জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারা অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’
রাসূলুল্লাহ (সা.) যখনই কোনো সংকটের মুখোমুখি হতেন, তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। হাদিসে বলা হয়েছে, যখন তোমরা (দুঃখ বা রাগের কারণে) উত্তেজিত হবে, তখন ওজু কর এবং দু’রাকাত নামাজ আদায় কর, এটা তোমাদের উত্তেজনা শীতল করবে এবং এতে তুমি শান্তি এবং সন্তুষ্টি পাবে। (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)।
নামাজ আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে বান্দার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম। নামাজ মানুষকে খোদামুখি করে এবং শয়তানের প্ররোচনা থেকে দূরে রাখে। নামাজের মাধ্যমে মানুষ আত্মিক শান্তি ও সুখ অনুভব করতে পারে।
ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো- যখন দুঃখ ও কষ্ট চারদিক থেকে ঘিরে ধরবে, তখন নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করবে। এটাই ইসলামের শিক্ষা ও আল্লাহর রাসূলের (সা.) আমল।
ইয়া রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা! আমাদের সবাইকে হতাশা ও বিপদ-মুসিবতের সময় ধৈর্য্যধারণের মাধ্যমে একমাত্র আপনারই নিকট সাহায্য চাওয়া এবং সর্বপ্রকার শিরক-বেদাত থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
- মোবাইল ডেটা দ্রুত শেষ হচ্ছে? যা করলে বাঁচবে খরচ
- যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
- হাওরে ধান কেটে বাড়ি ফিরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন যুবক
- যশোরে তাপমাত্রা উঠল ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
- বন্যা এড়াতে সুরমা খনন: ৪ মাসের কাজ শেষ হয়নি ১৫ মাসেও
- ধোপাগুলে ট্রাক-অটিরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২
- স্কুল ছাত্র তানভীর হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
- শাল্লায় আচরনবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অর্থদণ্ড
- সুনামগঞ্জে ধর্ষণের পর কলেজ ছাত্রীকে খুন, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
- হাঁস পাচ্ছে জুড়ীর ২৮০ পরিবার
- ফের প্রশান্তির বৃষ্টিতে ভিজল সিলেট
- বিয়ানীবাজারে অর্ধশত খালের দুরবস্থা, বিপদে কৃষকেরা
- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ/ ভিনিসিয়াসের জোড়া গোলে বায়ার্ন-রিয়ালের ড্র
- যুক্তরাষ্ট্রে নিহত দুই বাঙালি হত্যার বিচার চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
- এমসি কলেজের শতবর্ষী ভবন সংরক্ষণের দাবি
- থাইল্যান্ড থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন কাল
- দেশের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
- মহান মে দিবস আজ
- দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন
- হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল ৭ মে পর্যন্ত
- সরকারের সিদ্ধান্তে জনস্বার্থকে প্রাধান্যদেবার পরামর্শ রাষ্ট্রপতির
- সুরমা টাওয়ারের ১৩ তলা থেকে পড়ে সিসিক কর্মচারীর মৃত্যু
- হিট স্ট্রোকে সারাদেশে ৭ দিনে ১০ জনের মৃত্যু
- শাবিপ্রবিতে অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
- বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
- যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩, আহত ৫
- সরকার উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করতে চায় : ড. মোমেন
- ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ পদক’ পেলেন সিলেটের ড. আল কবির
- কোম্পানীগঞ্জে নুরুল হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
- সিলেটে অমিত ‘হত্যাকাণ্ডে’ জড়িত গ্রেফতার ১, তদন্ত চলছে
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা
- সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ
- একটি মহল দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না : এমএ মান্নান
- জাউয়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি
- ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বিশেষ নিরাপত্তা, নেই নাশকতার হুমকি
- সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ভুট্টার বাম্পার ফলন
- শায়েস্তাগঞ্জে সার্বজনীন পেনশন কার্যক্রম শুরু
- প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভারতের পরের অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক
- এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন, রুটিন প্রকাশ
- শিলাবৃষ্টি কেন হয়; সিলেটের শিলাবৃষ্টি কি স্বাভাবিক আকারের?