সঞ্চয়পত্র ভাঙার হিড়িক, কেনার আগ্রহ কম
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মূল্যস্ফীতির চাপ, আর্থিক সংকট ও বিনিয়োগে নানা শর্তের কারণে কমেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। ফলে আগের কেনা সঞ্চয়পত্র মেয়াদপূর্তির পর যে হারে ভাঙানো হচ্ছে, সেই হারে নতুন বিনিয়োগ বাড়ছে না। যার কারণে ছয় মাসে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ না বেড়ে কমেছে অর্থাৎ ঋণাত্মক (নেগেটিভ) প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটা সময় কোনো স্কিমের মেয়াদ শেষ হলে বেশিরভাগ গ্রাহক আবার সেখানেই বিনিয়োগ করতেন। কিন্তু এখন যাদের সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তারা আর নতুন করে এখানে বিনিয়োগ করছেন না। ফলে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এখন বিক্রির চেয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ বেশি করা হচ্ছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) যত টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে তা দিয়ে গ্রাহকদের আগে বিনিয়োগ করা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। উল্টো ৩ হাজার ১০৭ কোটি টাকা সরকার তার কোষাগার ও ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা কড়াকড়ির কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ধস নেমেছে। নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বিনিয়োগসীমা। তাই মেয়াদ শেষে অনেকেই আর নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারছেন না। এছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ খুব বেশি মুনাফা পাচ্ছে না। এটাও সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাওয়ার বড় কারণ।
তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে মোট ৫ হাজার ৫৪২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। মুনাফা ও আসল পরিশোধ করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ফলে নিট বিক্রির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১৪৯০ কোটি ৯৪ লাখ টাকায়। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ৪০ হাজার ৪৭১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর বিপরীতে মুনাফা ও মূল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৭৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে ছয় মাসে যা বিনিয়োগ হয়েছে তার চেয়ে ৩ হাজার ১০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে সরকার।
আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে তাকে বলা হয় নিট বিক্রি। ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা থাকে। সরকার তা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজে লাগায়। এ কারণে অর্থনীতির ভাষায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রিকে সরকারের ‘ঋণ’ বা ‘ধার’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
চলতি অর্থবছরে ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ থাকলে রিটার্নের সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব রকম সঞ্চয়পত্রের সুদহার ২ শতাংশের মতো কমিয়ে দেয় সরকার। তার আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগসীমা কমিয়ে আনা হয়। এছাড়া ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে মুনাফার ওপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। দুর্নীতি বা কালো টাকায় সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধে ক্রেতার তথ্যের একটি ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে। এসব কড়াকড়ির প্রভাবে বর্তমানে সঞ্চয়পত্র বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে।
বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে— পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ৫২, পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ৭৬, পাঁচ বছর মেয়াদি মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ২৮, তিন বছর মেয়াদি ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। কয়েক দফায় সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো হলেও এখনো তা ব্যাংকের তুলনায় বেশি।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে সরকার। এর বিপরীতে প্রথম ছয় মাসে এই খাত থেকে কোনো ঋণ পায়নি সরকার, উল্টো ৩ হাজার ১০৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা কোষাগার ও ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করেছে।
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে: শেখ হাসিনা
- দুই দিনের সফরে নির্বাচনী এলাকায় আসছেন এমপি ইমরান
- চুনারুঘাটে বোরোর বাম্পার ফলন, ধান কা টা-মাড়াইয়ের উৎসব শুরু
- ধান কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল জগন্নাথপুরের এক কৃষকের
- আবারও ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
- শপথ নিয়েছেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
- বিশ্বমিডিয়ায় বাংলাদেশের তাপদাহ
- জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য
- ‘বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ভিত্তিহীন’
- বিসিএস পরীক্ষা: শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বাস সেবা দিলো শাবিপ্রবি
- রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও খোলা থাকবে
- কমলগঞ্জে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা আদায়
- শান্তিগঞ্জে ধান উৎপাদনে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা
- কোম্পানীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
- বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন
- মাধবপুরে রাস্তা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪, থানায় মামলা
- তীব্র রোদে পুড়ে গেলেও বৈশাখে বৃষ্টি চায় না হাওড়ের কৃষকেরা
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত ১৫৫
- সিলেটে উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিতের মরদেহ উদ্ধার
- বাংলাদেশ ও নিজেদের উন্নয়ন তুলনায় লজ্জিত পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী
- গবেষণায় আগ্রহী কর্মকর্তাদেরকে গবেষণা প্রস্তাব জমার অনুরোধ
- সিলেটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনিসহ আটক ৪
- বাড়তে পারে সিলেটের তাপমাত্রা
- উপজেলা নির্বাচন : সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট স্ট্রোকের লক্ষণ জেনে নিন
- ‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে’
- ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো যাবে ছবি-ফাইল
- চলমান যুদ্ধগুলো অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী
- ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু
- জীবনবৃত্তান্ত আহ্বানের সময় চাঁদা নিতে মানা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের
- ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নি
- ভুটানে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বানিয়ে দেবে বাংলাদেশ
- স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবা দিন, কর্মকর্তাদের ভূমিমন্ত্রী
- আইসিসির নারী সেরা দশে প্রথম বাংলাদেশি নাহিদা আক্তার
- প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আজ
- কালোজিরা খাওয়ার ৫ উপকারিতা
- ভুটানে যাচ্ছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
- মানুষের কষ্ট বৃদ্ধিতে বিএনপির নতুন সংস্করণ ভারত বিরোধিতা: নাছিম
- বসন্ত গায়ে মেখে রঙিন হয়ে উঠেছে শিমুল
- স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর
- বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘরে, শেষ প্রদীপও নিভে গেল দরিদ্র ফয়জুরের
- বড়লেখায় বিজিবির ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
- বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদি আরবের ১৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ
- ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়াকে টপকে যেতাম’
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- বাবার হাতে লাগানো গাছ ছুঁয়ে দেখলেন ভুটানের রাজা
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি