ঈদবাজার : সিলেটে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়ায়

আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে সিলেট নগরীর বিভিন্ন দর্জি দোকানে। গজ কাপড় কিংবা আনস্টিচ পোশাক কিনে সবাই ছুটছেন কারিগরের কাছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার অর্ডার বেশী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

 
রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে নগরীর জিন্দাবাজারের শুকরিয়া মার্কেট গিয়ে দেখায় যায় ঈদ ঘিরে দর্জি দোকানের কারিগরদের ব্যস্ততা। বিরামহীনভাবে চলছে সেলাই যন্ত্রের খটখট শব্দ। দম ফেলার ফুরসত নেই।

 
ইফতার পরে নগরীর বন্দরবাজার এলাকার হাসান মাকের্টের গিয়ে দেখা যায়, দর্জিরা টেবিলে চক ও ফিতা দিয়ে মেপে কাপড় কাটছেন। অনেকে ক্যাটালগ দেখে নকশা বাছাইয়ে ব্যস্ত। দর্জি কারিগররা জানিয়েছেন- মূলত শবে বরাতের পর থেকেই ব্যস্ত। তৈরি করছেন নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক।

হাসান মার্কেটের আয়ান টেইলার্সের কারিগর জামান মিয়া গণমাধ্যমে বলেন, ‘এবার ঈদে হাতে প্রচুর কাজ এসেছে। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮টি কাপড় সেলাই করতে হচ্ছে। প্রতিদিন ১০০০ টাকা মজুরি পাচ্ছি। গত বছরের চেয়ে মালিক এবার কিছুটা মজুরি বাড়িয়েছে বলে ঈদ ভালোই কাটাবো।’

 
এদিকে নগরীর হাসান মার্কেট, শুকরিয়া মার্কেট, ব্লু ওয়াটার, কাজী ম্যানশন, সিটি সেন্টার, শ্যামলী মার্কেট,আল-হামরা শপিং কমপ্লেক্স, মিলেনিয়াম টাওয়ার, ওয়েস্ট ওয়ার্ড সহ অনান্য শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটের বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে নিজের ও পরিবারের জন্য ঈদের পোশাক কিনছেন ক্রেতারা। বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে যাছাই বাছাই করে পছন্দের পোশাক কিনছেন তারা। এছাড়া ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মূল্য ছাড় দিচ্ছে সিলেটের অনেক বিপণি বিতান।

এছাড়াও সরেজমিন মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর সবগুলো শপিং মলগুলো বিভিন্ন রঙিন আলোয় সজ্জিত করেছেন মার্কেট কমিটি। নগরীর অভিজাত শপিং মল হিসেবে পরিচিত ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, কাকলী শপিং সেন্টার, সিটি সেন্টার, আল-হামরা শপিং সেন্টার, সিলেট প্লাজা, সিটি সেন্টার, নয়াসড়ক ও কুমারপাড়ায় অবস্থিত প্রায় সবক'টি ফ্যাশন হাউসসহ বিভিন্ন মার্কেট ঈদকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।

এদিকে ঈদ বাজরের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের কেনাকাটাকে সামনে রেখে ছিনতাই, চুরি ও যৌন হয়রানিসহ সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বড় বড় মার্কেট ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।