বিশ্বনাথের বাসিয়া নদীতে পানি না থাকলেও আছে বর্জ্যের ভাগাড়

সিলেটের বিশ্বনাথের একর সময়ের খরস্রোতা বাসিয়া নদীতে পানি না থাকলেও আছে বর্জ্যের ভাগাড়। নদীতো নয় যেনো ময়লা আবর্জনার ড্রেন। বর্ষা মৌসুমে ডিঙি নৌকাতো দুরের কথা নদীতে একটি কাগজের নৌকারও দেখা মেলেনি।

প্রতিদিনই ব্যবসায়ীরা গরু জবাইয়ে রক্ত, মলমুত্র, মোরগ জবাইয়ের চামড়া,সবজি বাজারের ময়লা ও রেস্টুরেন্টের ময়লা ফেলে ধ্বংশ করছেন পরিবেশ। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন পৌরবাসী। ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট আর মরনব্যধি ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি।

এসকল ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে রোগ বাড়ার বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার সচেতন মহলের লোকজনসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তবে এসবের ব্যবস্থা নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসন।

জনা যায়, কয়েক বছর ধরে পৌর শহরে নদীর দুই তীর দখল করে বিশাল বিশাল দালানের তৈরী মার্কেট নির্মাণ করেছেন দখলদাররা। এতে দিন দিন নদীর আয়তন ছোট হয়ে একটি নালায় পরিণত হয়েছে।

এছাড়াও নদীর উৎপত্তিস্থল সদর উপজেলার মাসুক বাজারের সুরমা নদীর মুখ ভরাট হয়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ রয়েছে। প্রতি মাসে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা ও মাসিক সমন্বয় সভায় নদীর মুখ খননের দাবি জানানো হলেও নেয়া হচ্ছেনা ব্যবস্থা। ফলে শীত মৌসুমতো দুরের কথা ভরা বর্ষ মৌসুমেও নদীতে আগেরমতো পানি দেখা যায়না।

তাই উপজেলার সর্বত্র নলকুপে দেখা দিয়েছে সুপেয় খাবার পানির সংকট। আর ব্যহত হচ্ছে বোরো আবাদসহ সবজি চাষ।

স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খান মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় জানতে  চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেন, নদী নালা খাল বিল উদ্ধার ও খননের জন্য উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আসছেন। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছেনা। ভবিষ্যতে তার ক্ষমতা অনুযায়ী চেষ্টা করে যাবেন।

ময়লা আবর্জনার ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান বক্তব্য দিতে নারাজ। তবে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেছেন যাহা ইচ্ছে তাই লিখতে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সুমন বলেন, নদীর বর্জ্যরে দুর্গন্ধে শ্বাসকষ্ট আর ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছেন জনসাধারণ।