‘শিক্ষাক্ষেত্রে অনবদ্য অবদান অধ্যক্ষ আওলাদকে স্মরণীয় করে রাখবে’

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আওলাদ হোসেন স্বরণে নাগরিক শোকসভায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেছেন, তিনি ছিলেন এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে এক উজ্জল আলোকবর্তিকা। একজন আদর্শ শিক্ষকের সকল গুণাবলী ছিল তাঁর মধ্যে।

বক্তারা বলেন, শুধু শিক্ষা নয়, সামাজিকতা এবং সমাজ উন্নয়নেরও এক দিকপাল ছিলেন তিনি।

শুক্রবার রাতে দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন শোকসভা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েস আহমদ।

শোকসভায় বক্তারা আরো বলেন, শিক্ষক হিসেবে এক অনন্য অসাধারণ ব্যক্তি ছিলেন তিনি। জ্ঞানের দ্যুতি বিলানোয় যেন তার আজন্ম ধ্যান-জ্ঞান। অসাধারণ হয়েও অতি সাধারণ জীবন যাপন তাঁর। রাগ-গোস্বা-আভিজাত্য ছুঁতে পারেনি কখনোই। তাঁর ধ্যানে–জ্ঞানে চিন্তায় শিক্ষা ও সমাজচিন্তার এক অপরূপ মেলবন্ধন পাওয়া যায়।

বক্তারা বলেন, এই অঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে আওলাদ স্যার ছিলেন এক উজ্জ্বল বাতিঘর। তার মতো শিক্ষাবিদের মৃত্যু শুধু জালালপুর নয়, অত্র অঞ্চলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার শূন্যস্থান সহজে পূরণ হবার নয়। শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অনবদ্য অবদান ও তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন তাকে স্মরণীয় করে রাখবে যুগ যুগ ধরে। তার আরেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান জালালপুর কলেজে একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ। এছাড়া অধ্যক্ষ আওলাদ হোসেন ছিলেন সদালাপী, পরোপকারী ও বিনয়ী স্বভাবের একজন মানুষ। বক্তারা তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

জালালপুর ডিগ্রী কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাংবাদিক খালেদ আহমদের সঞ্চালনায় নাগরিক শোকসভায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- আনিলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শোককথা স্মৃতি স্বারকের সম্পাদক আখলাকুল আম্বিয়া বাতিন।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু সুবল চন্দ্র পাল, আটাব সিলেট অঞ্চলের সাবেক সভাপতি সমাজসেবক আব্দুল জব্বার জলিল, নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, লতিফা শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আমিরুল আলম খান, জালালপুর ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নেলী কর, এম সাইফুর রহমান বিএম কলেজের অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান শুয়েব, জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা সুলাইমান হোসেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহিদুর রহমান শাহিন, সালিস ব্যক্তি ইদ্রিস আলী তুরণ মিয়া, বদরুল ইসলাম জয়দু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম এ শহীদ পংকি ও আব্দুল মতিন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, সিলেট জেলা বিএনপি নেতা লোকমান আহমদ, সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম চৌধুরী, জালালপুর ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামরুল হক, অধ্যক্ষ আওলাদ হোসেনের শ্যালক মাহফুজুর রহমান, জালালপুর বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল বাছিত বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমদ, মোগলাবাজার থানা জাতীয় পার্টির সেক্রেটারী ছানাউল হক ছানা, দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ইমরান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সালেহ আহমদ শাহীন ও মাহমুদুল হাসান বাবলু, জালালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শায়েক আহমদ, শোকসভা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য লায়েক উদ্দিন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়াউল হক, জেলা তাতীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ, ব্যবসায়ী নাজির হোসাইন, সমাজসেবী আতিকুর রহমান, শেখ আব্দুল কাদির, শোককথা স্বারকের সম্পাদনা সহযোগী আনিসুর রহমান অপু, তারেকুর রহমান, মোর্শেদ আহমদ , মানিক আল মুবিন, ফাহিম রহমান, এস এম ফাহিম, শেখ মো. ছাদিম, মাহফুজুল হাসান ইব্রাহিম, আজাদ মিয়া প্রমুখ।

পরে অতিথিবৃন্দ অধ্যক্ষ আওলাদ হোসেন স্মৃতি স্মারক ‘শোককথা’র মোড়ক উন্মোচন করেন। সবশেষে দোয়া পরিচালনা করেন কাদিপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল মালিক।