সালুটিকরের ব্যবসায়ীর টাকা ও মোবাইল ছিনতাই, গ্রেফতার ৪

গোয়াইনঘাটের সালুটিকর বাজারের চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতব্যাপী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবুল হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এই ৪ অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ডিবি।

গ্রেফতারকৃতরা হলো সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার লাল নগর গ্রামের বর্তমান বাসা নং-৬/৪৬ আছদ্দর ভিলা, এয়ারপোর্ট থানাধীন খাসদবির এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ইসতিয়াক আহমদ রাজু (৩১), মহানগর জালালাবাদ থানার মইয়ারচর গ্রামের মৃত তজমুল আলীর ছেলে শামীম আহমদ (৩০), কোতোয়ালি থানার বাসা নং-৯/১০, ঝর্নারপাড়ের আবদুল কাদিরের ছেলে সৈয়দ মুহিত আহমদ রনি (৩০), এয়ারপোর্ট থানার হোসনাবাদ আবাসিক এলাকার মৃত সাদিকুর রহমানের ছেলে শুভ রহমান (১৯)।

এসময় ধৃত আসামীদের কাছ থেকে ব্যবসায়ী রিয়াজের ছিনতাই হওয়া মোবাইল Samsung Galauxy j5 prime ও উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামি শামীম ও শুভ  বিজ্ঞ আদালতে এ ঘটনায় জড়িত ছিলো বলে স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

ওসি ডিবি (উত্তর) রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী জানান, চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি আমাদের কাছে আসার পর পরই আমরা জড়িত মূল অপরাধীকে গ্রেফতারে তদন্ত শুরু করি এবং এরই ধারাবাহিকতায় এ মামলার ৪ আসামিকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারে আমরা সক্ষম হই। জড়িত ২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদানও করেছে।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র (মিডিয়া) লুৎফর রহমান জানান, অপরাধীর সাথে কখনো পুলিশ সখ্যতা করেনা। সালুটিকরের ব্যবসায়ীকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার তারই ধারাবাহিকতার দৃষ্টান্ত। সিলেটের প্রতিটি এলাকার অপরাধ দমনে আমাদের সকল প্রচেষ্টা সব সময়ই চলমান আছে। মাদক, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইরোধে সিলেট জেলা পুলিশের নবাগত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের দিক নির্দেশনায় সিলেটের সকল থানায় এলাকায় পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য ৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার সময় সালুটিকর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইয়ের শিকার হন ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০২ তাং ০৪/০৮/২২ খ্রিঃ। মামলাটি প্রথমে সালুটিকর তদন্ত কেন্দ্র তদন্ত করলেও পরে বিদায়ী পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএমের নির্দেশে মামলা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবিতে তদন্তভার হস্তান্তর করা হয়।