ভোটারদের মন জয় করতে ব্যস্ত বিয়ানীবাজারের প্রার্থীরা

বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দশজন প্রার্থী কেউ থেকে কেউ কম নয় ভোটের মাঠ থেকে শুরু করে সব ধরনের কৌশলী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আঞ্চলিকতার হিসেব কষতে গেলে সব কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস শুকুর সতন্ত্র প্রার্থী তফজ্জুল হোসেন, ফারুকুল হক এবং আব্দুর সবুর রয়েছেন শেষ সময়ে আলোচনায়।

তবে ভোটের মাঠে যেকোনো সময় বাজিমাত করতে পারেন মেয়র প্রার্থী আহবাব হোসেন সাজু, আব্দুল কুদ্দুস টিটু, প্রভাষক আব্দুস সামাদ আজাদ এমনটাই মনে করছেন এ উপজেলার সচেতন ভোটাররা।

সরেজমিনে বিয়ানীবাজার পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শেষ দিনে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র প্রার্থীরা। সকাল থেকে পৌর শহরে কর্মী সমর্থক নিয়ে শোডাউন সহ কর্মী সভায় দিন কাটিয়েছেন তারা। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লায় এখন নির্বাচনী আলোচনা। তবে সব কিছু ছাপিয়ে ভোটারদের নীরবতা বলছে ১৫ তারিখ জানা যাবে কে হচ্ছেন এই অঞ্চলের আগামী পাঁচ বছরের পৌর পিতা।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি শিক্ষক এম এ হাসিব বলেন, আমি মনে করি ভোটাররা এমন প্রার্থী বেছে নিবে যারা অতীতে সব সময় গরীব মেহনতী মানুষের পাশে ছিল। যাদের দ্বারা এই এলাকার উন্নয়ন করা সম্ভব। তবে যাকেই নির্বাচিত করুক না কেন আমি মনে করি ব্যক্তি দেখে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে।

এবিষয়ে জগ প্রতীকে নির্বাচন করা মেয়র প্রার্থী তফজ্জুল হোসেন বলেন, আমি যেখানেই প্রচারণায় গিয়েছি সেখানে সাধারণ মানুষের সাড়া পেয়েছি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। আশা করি সুন্দর ভাবে সকলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হবে, আমি আমার জয় নিয়ে আশাবাদী।

উল্লেখ্য, বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন তারা হলেন বিয়ানীবাজার পৌরসভায় মেয়র পদে স্বতন্ত্র সাত প্রার্থীর মধ্যে আহবাবুর রহমান সাজু প্রতীক (কম্পিউটার), আওয়ামী বিদ্রোহী ফারুকুল হক (চামচ), আব্দুস সামাদ আজাদ (হ্যাঙ্গার), মোহাম্মদ অজি উদ্দিন (নারিকেল গাছ), মোহাম্মদ আব্দুস সবুর (মোবাইলফোন), আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মো. আব্দুল কুদ্দুছ (হেলমেট), সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন (জগ)।

আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আব্দুস শুকুর (নৌকা), জাতীয় পার্টির  মো. সুনাম উদ্দিন (লাঙল) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মোহাম্মদ আবুল কাশেম (কাস্তে) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।