চা নিয়ে অজানা ১০টি চমকপ্রদ তথ্য
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯
জনপ্রিয় পানীয়র মধ্যে চা অন্যতম। অনেকের ঘুম ভাঙার পর দিন শুরু হয় চা খাওয়ার মধ্য দিয়ে। চায়ের রয়েছে নানা রকমফের। কারোর লেবু চা, কারোর আদা ও লেবু মেশানো চা, কারোর শুধু লিকার চা, কারোর দুধ চা, কারোর আবার চা-কফি-দুধ মেশানো চা পছন্দ। এছাড়া সিলেটের রয়েছে সাত রঙের চায়ের ঐতিহ্য। এই চা কিন্তু ব্রিটিশদের মাধ্যমে সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। তবে চা নিয়ে রয়েছে চমকপ্রদ কিছু তথ্য, যা আপনার জানা নেই। এবার চায়ের অজানা তথ্য জেনে নিন...
১. চীনে ২০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে চা পান শুরু
মধ্য চিনের ইয়াং লিং সমাধিস্তম্ভে প্রাচীনকালে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে যেসব নৈবেদ্য দেওয়া হত তার মধ্যে পাতা দিয়ে তৈরি শুকনো কেক দেখা যেতো। এসব পাতার মধ্যে থাকা ক্যাফেইন এবং থিয়ানিন প্রমাণ করে যে, সেগুলো প্রকৃতপক্ষে ছিল চা পাতা। যা মৃতদেহের সঙ্গে দেওয়া হত তাদের পরলৌকিক ক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে।
২. সব চা আসে এক প্রজাতির উদ্ভিদ থেকে
যত ধরনের চা আছে সবই তৈরি হয় ক্যামেলিয়া সিনেসিস থেকে। এই চির-হরিৎ গুল্ম বা ছোট গাছ থেকে পাতা এবং পাতার কুঁড়ি সংগ্রহ করে তা চা উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যকার পার্থক্যগুলো উদ্ভিদের চাষের ধরন, পরিস্থিতি এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ার ভিন্নতার জন্য।
৩. ধর্মীয় অনুষঙ্গ
জাপানে চা আসে চীন থেকে ফিরে আসা জাপানি ধর্মগুরু এবং দূতদের হাত ধরে। সেটা ষষ্ঠ শতকের দিকে এবং দ্রুত তা ধর্মীয় শ্রেণীর মানুষদের পছন্দের পানীয় হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। আর গরম পানির সংস্পর্শে এসে হালকা সবুজ রং ধারণকারী গ্রিন টি, কয়েক শতাব্দী ধরে সংস্কৃতিবান এবং উচ্চবিত্ত সমাজের মানুষদের কাছে প্রাধান্য পেয়ে আসছে।
৪. রাশান ক্যারাভান চা
রুশদের কাছে বেশিরভাগ চা পৌঁছাতো চীন থেকে রাশিয়ার পথে ক্যারাভান রুটে। উটের কাফেলা মাসের পর মাস ধরে ভ্রমণ করে মহাদেশ জুড়ে চা বহন করে চলত। তাদের রাতের ক্যাম্প-ফায়ারের ধোঁয়া চায়ের ওপর পড়তো এবং যতক্ষণে তারা মস্কো কিংবা সেন্ট পিটার্সবার্গ পৌঁছাতো, পাতাগুলোতে ধোঁয়াটে স্বাদ তৈরি হতো আর সেখান থেকে তৈরি হওয়া সেই চায়ের স্বাদ যা আজকের দিনে রাশান ক্যারাভান চা হিসেবে পরিচিত।
৫. ভারতবর্ষে চা গাছের আগমন
সপ্তদশ শতকে চীন এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরলে ব্রিটিশদের চায়ের জন্য অন্য দেশের দিকে মনোযোগ দিতে হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, যারা বিশ্ববাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতো তারা একজন স্কটিশ উদ্ভিদ বিজ্ঞানী রবার্ট ফরচুনকে নিয়োগ করলো। যিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিদেশি বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করতেন এবং সেগুলো পরে অভিজাতদের কাছে বিক্রির করা হতো। তাঁর উপর দায়িত্ব পড়ল গোপনে চীনে যাওয়ার জন্য এবং সেখান থেকে ভারতে চা গাছ পাচারের জন্য। উদ্দেশ্য ভারতবর্ষে বিকল্প একটি চা শিল্প গড়ে তোলা। আশ্চর্যজনকভাবে, তিনি ২০ হাজার চা গাছ ও চারাগাছ চীন থেকে দার্জিলিং-এ রপ্তানি করেন।
৬. দুধ চায়ের উৎপত্তি
ভারতে প্রচুর পরিমাণে জন্মানো চায়ের উদ্ভিদটি ছিল ক্যামেলিয়া সিনেনসিস অসমিকা নামে একটি উপ-প্রজাতির উদ্ভিদ। গ্রিন টি'র চেয়ে আসাম টি বেশি স্বাদযুক্ত কালো রং-এর ছিল। আসাম চা-এর রং কড়া থাকায় তা লোকজনকে দুধ সহকারে পান করতে প্ররোচিত করেছিল ব্রিটিশরা। বর্তমানে ব্রিটেনে সাধারণ ইংলিশ ব্রেকফাস্ট বা প্রাত:রাশে দুধ চা পান করা হয়। কিন্তু ইউরোপ মহাদেশের অন্যান্য স্থানে চায়ের সঙ্গে দুধ খুব কমই পরিবেশন করা হয়।
৭. টোস্টের সঙ্গে চা
যখন ১৬৫৭ সালে লন্ডনে টমাস গ্যারাওয়ে নামের এক লোক খুচরাভাবে চা বিক্রি শুরু করেন, তখন অনেকেই বুঝতে পারেননি চা কীভাবে খাবেন। তখন পাউরুটির উপর মাখন মাখিয়ে তার উপর ভেজানো চা পাতা ছড়িয়ে অনেকে খেতেন। এরপর তাদের শেখানো হয় ওই পাতা থেকে আলাদা করে লিকার চা বানিয়ে টোস্টের সঙ্গে তা খেতে। কিছুদিনের মধ্যেই টোস্টের সঙ্গে চা খাওয়া বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
৮. কফির চেয়ে চা জনপ্রিয়
ঐতিহ্যগতভাবে তুরস্ক বিশ্বের বৃহৎ চা বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম। কৃষ্ণ সাগরের উপকূলের উর্বর ভূমি থেকে অধিকাংশ টার্কিশ ব্ল্যাক টি আসে। তুর্কী কফিও বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত, তবে তুরস্কে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় হল চা। শুধু তরস্কেই নয়, সারাবিশ্বে কফির চেয়ে জনপ্রিয় হলো চা।
৯. চায়ের জন্য বিপ্লব
১৭৭৩ সালে আমেরিকার বোস্টন শহরের বাসিন্দারা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে। কারণ ব্রিটিশরা চায়ের উপর অতিরিক্ত কর আরোপ করেছিল। তখন রাতের অন্ধকারে ব্রিটিশ জাহাজে অভিযান চালিয়ে প্রচুর চা পাতা ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
১০. চুক চুক শব্দে চা পান
অনেকে শব্দ করে চা খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এতে বিরক্ত হন আশপাশের অনেকেই। তবে চা বিশেষজ্ঞরা বলছেন চায়ের স্বাদ এবং ঘ্রাণ মন খুলে নিতে চাইলে এই ভাবেই চা খাওয়া উচিত। তবেই আপনার মনের রন্ধ্রে ঢুকবে চায়ের প্রতি ভালোবাসা।
- সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা বৃষ্টি বাড়ার আভাস
- সিলেটসহ সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় রোববার থেকে খোলা
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
- সিলেটে ২৭৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২
- ওসমানীনগরে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব : প্রধান বিচারপতি
- শ্রমিকের পাশে সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদ
- চা বাগানের প্রবেশমুখ থেকে মাদক সহ আটক ২
- নবীগঞ্জে শিলাবৃষ্টিতে ২২০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
- শ্রীমঙ্গলে মহান মে দিবসে চা শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভা
- মিল্টন সমাদ্দার আটক, পৃথক তিন মামলা
- রোনালদোর জোড়া গোলে কিংস কাপের ফাইনালে আল নাসর
- সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা
- আজ বসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২য় অধিবেশন
- মাধবপুরে দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারের ৫ যাত্রী নিহত
- সংসদে যা বলেছি প্রধানমন্ত্রী অ্যাকশন নিয়েছেন: ব্যারিস্টার সুমন
- উয়েফা লিগ/ সেমিফাইনালে পিএসজিকে হারাল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড
- জগন্নাথপুরে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- যুদ্ধকে `না` বলার আহবান প্রধানমন্ত্রীর
- মোবাইল ডেটা দ্রুত শেষ হচ্ছে? যা করলে বাঁচবে খরচ
- যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
- হাওরে ধান কেটে বাড়ি ফিরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন যুবক
- যশোরে তাপমাত্রা উঠল ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
- বন্যা এড়াতে সুরমা খনন: ৪ মাসের কাজ শেষ হয়নি ১৫ মাসেও
- ধোপাগুলে ট্রাক-অটিরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২
- স্কুল ছাত্র তানভীর হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
- শাল্লায় আচরনবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অর্থদণ্ড
- সুনামগঞ্জে ধর্ষণের পর কলেজ ছাত্রীকে খুন, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
- হাঁস পাচ্ছে জুড়ীর ২৮০ পরিবার
- ফের প্রশান্তির বৃষ্টিতে ভিজল সিলেট
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা
- একটি মহল দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না : এমএ মান্নান
- সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ
- জাউয়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি
- ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বিশেষ নিরাপত্তা, নেই নাশকতার হুমকি
- সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ভুট্টার বাম্পার ফলন
- শায়েস্তাগঞ্জে সার্বজনীন পেনশন কার্যক্রম শুরু
- প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভারতের পরের অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক
- এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন, রুটিন প্রকাশ
- শিলাবৃষ্টি কেন হয়; সিলেটের শিলাবৃষ্টি কি স্বাভাবিক আকারের?