শিশু হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ, কী করবেন?
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২২
শিশুর জটিল রোগগুলোর একটি হৃদরোগ। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদেরও হৃদরোগ হচ্ছে। অনেক শিশু জন্মগত হৃদরোগী।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সোসাইটি অব বাংলাদেশের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন
হৃদরোগের অনেক উপসর্গ রয়েছে। কিছু কিছু উপসর্গ থাকলে শিশুর হৃদরোগ আছে তা দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়। জন্মগত হলেও জন্মের পর বা কিছু সময়ের জন্য জন্মগত হৃদরোগের কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে। কখনও কখনও সাধারণ জন্মগত হৃদরোগ, যেমন ‘হোল-ইন-হার্ট’ জন্মের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহে শনাক্ত করা যায় না।
সবচেয়ে সাধারণ হৃদরোগ যেমন ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট এবং পেটেন্ট ডাক্টাস আর্টেরিওসাস প্রথম ১-৪ সপ্তাহে লক্ষণহীন থাকতে পারে। এটি ফুসফুসের চাপ এবং রক্তপ্রবাহ পরিপক্কতায় বিলম্বের কারণে ঘটে থাকে। ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ত্রুটি এবং পেটেন্ট ডাক্টাস আর্টেরিওসাস (ভিএসডি এবং পিডিএ) ধীরে ধীরে ফুসফুসের চাপ ও রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং হার্টের আকারও বাড়ায়।
হৃৎপিণ্ডে একটি বড় ছিদ্র হলে ফুসফুস এবং শরীরের মধ্যে রক্ত প্রবাহের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে। হৃৎপিণ্ডে একটি বড় ছিদ্র বর্ধিত শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রচেষ্টার জন্য হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শরীরের বৃদ্ধি ধীর হয়, দুর্বল বা ওজন বৃদ্ধি পায় না। জন্মের ৪-৬ সপ্তাহ পরে লক্ষণগুলো শুরু হয়।
অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট হলো আরেক ধরনের ছিদ্র, যা অনেক বছর ধরে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত সুপ্ত থাকতে পারে। স্টেনোসিস বা ভালভের সংকীর্ণতা যে কোনো বয়সে এমনকি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারা পরীক্ষা করানো উচিত। যারা হৃদরোগের জন্য কিছু সূত্র খুঁজে বের করতে ক্লিনিকাল পরীক্ষা ছাড়াও বিশেষ কিছু পরীক্ষা যেমন বুকের এক্স-রে, ইকো এবং ইকোকার্ডিওগ্রাফি উপর ভিত্তি করে CHD-এর উপস্থিতি সনাক্ত করতে পারে।
নিম্নলিখিত বিশেষ বিশেষ লক্ষণ দেখা গেলে অবশ্যই জন্মগত হৃদরোগের ব্যপারে শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
* দুধ খাওয়ার সমস্যা : শিশু যদি কিছু সময় দুধ চুষেই হাপিয়ে যায় এবং দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়, তারপর আবার চুষতে শুরু করে অথবা দুধ খেতে বেশি সময় নেয় (>২০ মিনিট), কিংবা খাওয়ার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায় এবং ঘাম হয়।
* ওজন বৃদ্ধি সন্তোষজনক না হলে : শিশুর ওজন বৃদ্ধির হার বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ না হলে।
* ঘনঘন ঠান্ডা লাগা বা কাশি হওয়া : শিশুর বারবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাহলে আংশকা থাকে তার হার্টের ত্রুটি আছে।
* জ্বর বা কাশি ছাড়া, ক্রমাগত দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস (এমনকি ঘুমের সময়) এবং বুকের পাজর বা খাঁচা দেবে যাওয়া।
* শিশুর হৃদস্পন্দন খুব দ্রুত চলে (এমনকি ঘুমের সময়ও)। মা-ই এ বিষয়টি সহজে ধরতে পারবেন।
* শিশুর ঠোঁট, জিহ্বা এবং নখ নীলাভ হবে বা কান্নার সময় নীল হয়ে যায়। জন্মগত হৃদরোগের কারণে ত্বক, নখ, জিহ্বা এবং ঠোঁটের রঙ পরিবর্তন হতে পারে। এটি ঘটে যখন ভালো বা অক্সিজেন সমৃদ্ধ লাল রক্ত অক্সিজেন ক্ষয়প্রাপ্ত নীল রক্তের সঙ্গে মিশে যায় এবং শরীরে সঞ্চালিত হয় যা ত্বক, নখ, জিহ্বা এবং ঠোঁটে সর্বদা বা কমপক্ষে যখন সে কাঁদে তখন স্পষ্ট হয়।
এটি একটি গুরুতর জন্মগত হৃদরোগ, যার জন্য প্রাথমিকভাবে ওপেন হার্ট সার্জারির প্রয়োজন হয়। উপরের কয়েকটি লক্ষণ বা সমস্যা পরিলক্ষিত হলে ডাক্তারের পরামর্শে জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহে হার্ট সার্জারি করাতে হবে।
জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুর যত্ন
কিছু কিছু CHD-এর প্রাথমিক বা জরুরী হস্তক্ষেপ ও চিকিৎসা প্রয়োজন হয়, অন্যথায় শিশুর বেঁচে থাকা ঝুঁকিতে পড়ে বা অপুরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়। CHD-এর লক্ষণ ও টাইপের উপর নির্ভর করে কিছু CHD নিয়মিত ফলো-আপের প্রয়োজন হয় এবং প্রথম দিকে প্রতি কয়েক সপ্তাহ পর পর প্রয়োজনীয় ফলো-আপ প্রয়োজন হতে পারে।
জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশু স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে, তবে কিছু কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাই মাতা-পিতাই সঠিক ভাবে যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারেন। যদি সময় মতো CHD নির্ণয় করা হয় এবং চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শ কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় তবে বেশিরভাগ CHD নিরাময়যোগ্য। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি এবং কিছু ক্ষেত্রে দেরিতে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। তবে, CHD-এর বেশিরভাগই সাধারণ ত্রুটি এবং অনেক ক্ষেত্রে শুধু ঔষধেই নিরাময়যোগ্য। যেসব শিশু সময়মতো চিকিৎসা পায়, তারা তাদের পূর্ণ সক্ষমতা অনুযায়ী জীবন ধারন করতে পারে। অন্যদিকে, CHD আক্রান্ত প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিশু পূর্ণ ক্ষমতা অর্জন করতে পারে না এবং তাদের একটি সীমাবদ্ধ ও পরিমিত জীবনধারা পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
চিকিৎসাক্ষেত্রেও তাদের একাধিক পদ্ধতির প্রয়োজন হতে পারে। নীল শিশুরা ডিহাইড্রেশন এবং রক্তস্বল্পতা সহ্য করতে পারে না, তাই এই নীল শিশুরা কান্না করলে তাদের সমস্যা গুরুতর হয়ে যায়, যাকে স্পেল বলা হয়। যখন তারা দ্রুত শ্বাস নেয় ও আরও নীল হয়ে যায় এবং নিস্তেজ হয়ে পড়ে তখন দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এই শিশুদের ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।
CHD আক্রান্ত হলে সময়মতো চিকিৎসা সর্বোত্তম ফলাফল নিয়ে আসে। প্রথম সন্তান যদি CHD-তে আক্রান্ত হলে সেই মা যদি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হন তাহলে অনাগত শিশুদের মধ্যে ২-৫% এর CHD-তে আক্রান্ত ঝুঁকি থাকে। এক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় প্রসূতি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো চলা উচিৎ। ১৬ থেকে ১৯ সপ্তাহের মধ্যে ইকোকার্ডিওগ্রাফি করে গর্ভের শিশুর CHD ধরা পড়লে গর্ভপাতের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে জেনেটিক কাউন্সেলিংয়েরও সুপারিশ করা হয়।
* পরিচর্যাকারীকে অবশ্যই কঠোরভাবে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
* বয়স্ক শিশুদের দাঁতের স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই শেখানো উচিত।
* খাদ্যতালিকা ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে।
* এ ধরনের শিশুদের জন্য ব্যায়াম সীমিত ও কাস্টমাইজ করা আবশ্যক, কিন্তু বন্ধ করা উচিত নয়।
* সুরক্ষার জন্য টিকাদান সময়মতো সম্পন্ন করতে হবে। অতিরিক্ত অত্যাবশ্যক টিকা যেমন- নিউমোকোক্কাল ভ্যাকসিন, মেনিনোকোক্কাল ভ্যাকসিন এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন দিতে হবে।
* সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে যাদের জ্বর, কাশি, সর্দি, হাম, চিকেনপক্স এবং ডায়রিয়া আছে।
* যদি ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর হয় বা নির্দিষ্ট কিছু অস্ত্রোপচার করাতে হলে বা যাদের করা হয়েছে, তাদের অবশ্যই পরামর্শমতো অ্যান্টিবায়োটিক প্রফিল্যাক্সিস দিতে হবে।
* জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে বেশি। বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ যেমন, নিউমোনিয়া হওয়ার আশংকা বেশি দেখা যায়।
- নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরিবেশমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
- কাল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংবর্ধনা দেবেন রাষ্ট্রপতি
- কোরবানির ঈদ পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না- বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
- দ্বিতীয় ধাপে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে : সিইসি
- জলাবদ্ধতা নিরসনে সিসিক কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিবে সেনাবাহিনী
- ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভোটারের মৃত্যু
- সিলেটে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় শেষ হলো দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন
- সিলেটে জাল ভোট দিতে এসে যুবক আটক
- সিলেটে ব্যবসায়ী-হকারদের দখলে ষ্টেশন রোড
- প্রধামনন্ত্রী রাইসির মৃত্যুতে কাঁদছে ইরান
- সিলেটের ১০ উপজেলায় চলছে ভোট উৎসব
- ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওঙ
- বিয়ানীবাজারে ইউএনওর অভিযানে বন্ধ বাল্যবিবাহ, বাবাকে জরিমানা
- ছেলের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে এলেন ১০২ বছর বয়সী বৃদ্ধা
- জৈন্তাপুরে দুই কেন্দ্রে আটক ৮ জন
- ৩৫ ডলার বেড়ে মাথাপিছু আয় এখন ২৭৮৪
- যানজটমুক্ত সিলেট শহর গড়তে শাবিপ্রবিতে কর্মশালা
- আন্তর্জাতিক চা দিবস/
বাংলাদেশের চা শিল্পের সংকট-সম্ভাবনা - `ভিসানীতির অধীনে সাবেক সেনাপ্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি`
- সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সিলেটে দু’দিনের বিশেষ অভিযানে পুলিশ
- হবিগঞ্জে ৪টি দোকান পুড়ে ছাই
- ১৬ ঘণ্টা পর হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার, মিলল রাইসির মরদেহ
- ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
- নদী থেকে বালু তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই শ্রমিক নিহত
- ১৭ দিনে প্রবাসী আয় প্রায় ১৩৬ কোটি ডলার
- মৌলভীবাজারে একসঙ্গে ২১ জাতের আলু চাষ করে সাড়া ফেলেছেন জালাল
- সিলেটের বিভাগের ১১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি মঙ্গলবার
- দোয়ারাবাজারে গাঁজা ও ইয়াবাসহ আটক ৩
- শিক্ষার্থীদের নতুন যে সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাজ্য
- সিলেটে ব্যাটারি-মোটরচালিত রিকশা বন্ধে কঠোর হচ্ছে পুলিশ
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: ‘বি’ ইউনিটে শাবিতে উপস্থিতি ৯৪ শতাংশ
- ছুরিকাঘাতে সিলেটে তরুণের মৃত্যু
- আজ থেকে সীমিত পরিসরে বাড়ছে রেল ভাড়া
- ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিপাত : বিপুল ক্ষয়ক্ষতিসহ নিহত ৩৯
- বিয়ানীবাজারে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
- জগন্নাথপুরে শতভাগ ধান কাটা শেষ, কৃষকেরা খুশি
- খাড়িয়াদের মাতৃভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্ধার কাজে দুই প্লাটুন বিজিবি
- বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ
- ১৭ বছর পর যাত্রীভর্তি ফ্লাইট নিয়ে নারিতা যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান
- দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে এবার আসছে ‘কৃষ ফোর’
- ১২ কেজি এলপিজির দাম কমে ১৩৯৩ টাকা
- ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী
- ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের বাণিজ্য বন্ধ
- অভিবাসীদের জন্য ভালো সুযোগ দিচ্ছে ইউরোপের যে দেশে
- ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ ঢাকায়
- সিলেটের মাঠে হ্যাটট্রিক হারে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের
- শাবিপ্রবিতে শিকড়ের দুই দিনব্যাপী পুনর্মিলনী শুরু
- পরিচয় মিলেছে মাধবপুরের দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের
- নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হলেন লিয়াকত শাহ ফরিদী