তুরস্কের ভূকম্পে দুই হাজার বছরের যে ইতিহাস মুছে গেছে
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেছে। তুরস্ক এবং সিরিয়া পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। তাসের ঘরের মতো ঝরে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি। কংক্রিটের তলায় এখনো আটকে রয়েছে মানুষ। উদ্ধারকাজও চলছে এখনো। এই ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছে তুরস্কের দুই হাজার বছরের পুরনো ইতিহাসও।
গাজিয়ানতেপ কেল্লা। এই দুর্গের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে তুরস্কের ইতিহাস। দুই হাজার বছর ধরে গাজিয়ানতেপ শহরের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল কেল্লাটি। দেশের চিত্র বদল হতে দেখেছে অনবরত। কিন্তু সোমবারের ভয়ানক কম্পন যেন দুর্গের বিনাশ ডেকে আনল।
ভূমিকম্পের ফলে গাজিয়ানতেপ কেল্লার অধিকাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এবং দক্ষিণ অংশ সম্পূর্ণ ধসে গিয়েছে। দুর্গের কিছু প্রাচীর ভেঙে পড়েছে। প্রাচীরের অন্যান্য অংশগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত। লোহার তৈরি বেড়াগুলোও ভেঙে পড়েছে। গাজিয়ানতেপ কেল্লা ভেঙে পড়ায় শোকস্তব্ধ তুরস্কের নাগরিকেরা। রাস্তায় নেমে অনেকে এই ধ্বংসাবশেষের ছবি তুলেছেন। ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন কেউ কেউ।
গাজিয়ানতেপ কেল্লাটি তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের মধ্যভাগে অবস্থিত ছিল। ২০০ থেকে ৩০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এই কেল্লাটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে ইতিহাসবিদদের দাবি। বর্তমান তুরস্কের আনাতোলিয়া অঞ্চলে হিটাইট সাম্রাজ্যের রাজত্ব চলাকালীন এই কেল্লাটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হত।
তারপর গাজিয়ানতেপ কেল্লাটি পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের প্রধান কেল্লা হিসাবে পরিচিতি পায়। ৫২৭ থেকে ৫৬৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে পূর্ব রোমে শাসন করছিলেন সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ান কেল্লাটিকে আরো বর্ধিত করার নির্দেশ দেন। দুর্গের কিছু অংশ আবার নতুন করে বানানো হয়।
গাজিয়ানতেপ কেল্লার মাঝে একটি গোলাকার অংশ রয়েছে যার পরিধি ১২০০ মিটার। দুর্গের দেওয়ালগুলো পাথর দিয়ে নির্মিত। ১২টি উঁচু দুর্গও রয়েছে গাজিয়ানতেপ কেল্লায়। তৎকালীন রোমের সেনারা এই দুর্গগুলো প্রতিরক্ষার জন্য ব্যবহার করতেন। প্রয়োজনে বার বার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে গাজিয়ানতেপ কেল্লাটি। ১২ থেকে ১৩ শতকের মাঝামাঝি আয়ুবিদ বংশের শাসনকাল থেকে ২০ শতকের তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই কেল্লার।
‘গাজ়িয়ানতেপ ডিফেন্স অ্যান্ড হিরোইজ়ম প্যানোরামিক মিউজ়িয়াম’ হিসাবে ব্যবহার করা হয় গাজ়িয়ানতেপ কেল্লাটি। ১৫১৬ খ্রিস্টাব্দে অটোমান সাম্রাজ্যের শাসকেরা গাজিয়ানতেপ কেল্লাটি দখল করে। সেই কারণেই গাজিয়ানতেপ শহরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্রের তালিকায় এই কেল্লার নাম রয়েছে।
অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর তুরস্ক আক্রমণ করেছিলেন ফরাসি সেনারা। তাদের আক্রমণ রুখতে গাজ়িয়ানতেপ শহর দুর্দান্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নিজেকে মুড়ে রেখেছিল। তুরস্কের উপর ফরাসি আক্রমণ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছিল। ঐ তথ্যচিত্র শুট করার সময় গাজিয়ানতেপ কেল্লাটি ব্যবহার করা হয়েছে।
তুরস্কের এক স্থানীয় বাসিন্দা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পের ফলে আমাদের অনেক ক্ষতি হল। গাজিয়ানতেপ কেল্লা আমাদের কাছে গর্ব করার বিষয়। এত দিন এত আক্রমণ সহ্য করে এসেছে এই কেল্লা। কিন্তু ভূমিকম্পের ফলে সব শেষ হয়ে গেল।’ এই কেল্লাটি কবে সারাই করা হবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কবাসী।
এখনো পর্যন্ত তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪২ হাজার ছুঁইছুঁই। তুরস্ক প্রশাসন জানিয়েছে যে, সে দেশে মারা গিয়েছেন ৩৬ হাজার ১৮৭ জন। সিরিয়ার মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৮০০।
সূত্র: আনন্দবাজার
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে: শেখ হাসিনা
- দুই দিনের সফরে নির্বাচনী এলাকায় আসছেন এমপি ইমরান
- চুনারুঘাটে বোরোর বাম্পার ফলন, ধান কা টা-মাড়াইয়ের উৎসব শুরু
- ধান কাটতে গিয়ে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল জগন্নাথপুরের এক কৃষকের
- আবারও ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি
- শপথ নিয়েছেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
- বিশ্বমিডিয়ায় বাংলাদেশের তাপদাহ
- জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য
- ‘বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ভিত্তিহীন’
- বিসিএস পরীক্ষা: শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বাস সেবা দিলো শাবিপ্রবি
- রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও খোলা থাকবে
- কমলগঞ্জে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা আদায়
- শান্তিগঞ্জে ধান উৎপাদনে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা
- কোম্পানীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
- বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন
- মাধবপুরে রাস্তা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪, থানায় মামলা
- তীব্র রোদে পুড়ে গেলেও বৈশাখে বৃষ্টি চায় না হাওড়ের কৃষকেরা
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত ১৫৫
- সিলেটে উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিতের মরদেহ উদ্ধার
- বাংলাদেশ ও নিজেদের উন্নয়ন তুলনায় লজ্জিত পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী
- গবেষণায় আগ্রহী কর্মকর্তাদেরকে গবেষণা প্রস্তাব জমার অনুরোধ
- সিলেটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনিসহ আটক ৪
- বাড়তে পারে সিলেটের তাপমাত্রা
- উপজেলা নির্বাচন : সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট স্ট্রোকের লক্ষণ জেনে নিন
- ‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে’
- ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো যাবে ছবি-ফাইল
- চলমান যুদ্ধগুলো অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী
- ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু
- জীবনবৃত্তান্ত আহ্বানের সময় চাঁদা নিতে মানা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের
- ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নি
- ভুটানে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট বানিয়ে দেবে বাংলাদেশ
- স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবা দিন, কর্মকর্তাদের ভূমিমন্ত্রী
- আইসিসির নারী সেরা দশে প্রথম বাংলাদেশি নাহিদা আক্তার
- প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আজ
- কালোজিরা খাওয়ার ৫ উপকারিতা
- ভুটানে যাচ্ছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
- মানুষের কষ্ট বৃদ্ধিতে বিএনপির নতুন সংস্করণ ভারত বিরোধিতা: নাছিম
- বসন্ত গায়ে মেখে রঙিন হয়ে উঠেছে শিমুল
- স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর
- বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘরে, শেষ প্রদীপও নিভে গেল দরিদ্র ফয়জুরের
- বড়লেখায় বিজিবির ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
- বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদি আরবের ১৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ
- ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়াকে টপকে যেতাম’
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- বাবার হাতে লাগানো গাছ ছুঁয়ে দেখলেন ভুটানের রাজা
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি