ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৯১

পুতিন কীভাবে গুপ্তচর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি  

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২  

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে সবাই কমবেশি জেনে থাকবেন!রাশিয়ার এই শাসক প্রথমে ছিলেন কেজিবি’র একজন সিক্রেট এজেন্ট। ১৯৯৯ সাল থেকেই তিনি রাশিয়ান ফেডারেশনের ক্ষমতাসীন নেতা। গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের মে মাসে তিনি চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত রাশিয়ান ফেডারেশন পুতিনের অধীনে দিন দিন শুধু এগিয়ে যাচ্ছে না বিশ্বে নিজেদের দাপট বজায় রাখার চেষ্টা করছে। বলতেই হবে, বিশ্ব রাজনীতিতে রাশিয়ার প্রভাব অনেক বেশি।

কে এই পুতিন?

পুরো নাম ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন। তার জন্ম ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর সোভিয়েত ইউনিয়নের লেলিনগ্রাদে, বর্তমানে এটি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ। তার মা ছিলেন মারিয়া ইভানোভা সেলোমোভা এবং পিতা ভ্লাদিমির স্পিরিদোনোভিচ পুতিন। তার বাবা ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌ-সেনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার বাবা সোভিয়েতের এক সাবমেরিনের নৌ-সেনা ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৫০ এর দিকে অটোমোবাইল কোম্পানীতেও কাজ করেছেন ভ্লাদিমির পুতিনের পিতা। তার জীবনীতে পুতিন বলেছেন, তিনি খুবই সাধারন পরিবার থেকে এসেছেন, তার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি গড়পড়তা অন্যান্য মানুষদের মত জীবন যাপন করেছেন।

প্রবেশিকা ও মাধ্যমিক স্কুলে থাকার সময় পুতিন জুডোতে অংশ নিতেন, মূলত তিনি সিনেমায় দেখা এজেন্টদের অনুকরণ করতেই এই কাজ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি জুডোতে ব্ল্যাকবেল্টধারী এবং শুধু তাই নয় তিনি সাম্বোতে রাশিয়ান মার্শাল আর্টের ন্যাশনাল মাস্টার। তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গ হাই স্কুলে থাকার সময় জার্মান ভাষা শিখেন এবং বর্তমানে দক্ষতার সাথে জার্মান ভাষায় কথা বলতে পারেন। ১৯৯৫ সালে পুতিন লেলিনগ্রাদ স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ল ডিগ্রী অর্জন করেন। সেখানে তার টিউটর হিসেবে ছিলেন এনাটলি সবচাক যিনি পরবর্তীতে একজন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি হন। কলেজে থাকার সময় পুতিন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিলেও ১৯৯১ সালে সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ান। সে ক্ষেত্রে এ নিয়ে তিনি বলেন কমিউনিজম হলো সাধারণ সভ্যতা থেকে দূরের এক কানা গলি।

ল’ডিগ্রী থাকা সত্ত্বেও ভ্লাদিমির পুতিন ১৯৭৫ সালে কেজিবি’তে যোগ দেন। কেজিবি হচ্ছে সোভিয়েত ইউনিয়নের স্টেট সিকিউরিটির কমিটি। সেখানে তিনি ফরেন কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অফিসার হিসেবে ২৫ বছর কাজ করেন। ১৯৯১ সালে কেজিবি’তে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল থাকার সময় তিনি তা ত্যাগ করে রাশিয়ায় আসেন যেখানে তিনি লেলিনগ্রাদ স্টেট ইউনিভার্সিটির এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্বে ছিলেন। এই জায়গা থেকেই তিনি তার সাবেক টিউটর এনাটলি সবচাকের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন এবং এনাটলি সবচাক ছিলেন সে সময়ের সেন্ট পিটার্সবার্গের মেয়র। একজন কার্যকর রাজনীতিবিদ হিসেবে খ্যাতি লাভ করে পুতিন ১৯৯৪ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রথম ডেপুটি মেয়র হন।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৯

১৯৯৬ সালে মস্কো আসার পর পুতিন তৎকালীন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন এর প্রশাসনিক কর্মী হিসেবে যোগ দেন। পুতিনের মধ্যে সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে বরিস ইয়েলৎসিন তাকে ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের পরিচালক পদের দায়িত্ব দেন। এরপর ১৯৯৯ সালের ৯ আগস্ট বরিস ইয়েলৎসিন পুতিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন। সে বছরেই ভোটে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। যেদিন বরিস ইয়েলৎসিন তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন সেদিনই পুতিন বলেছিলেন যে পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০০০ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি রাষ্ট্রপতি হতে চান। তবে সে সময়ে তিনি খুব বেশি জনপ্রিয় ছিলেননা। তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়, যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধকে সমাধানের জন্য একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।

ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ১৯৯৯-২০০০

১৯৯৯ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে বরিস ইয়েলেৎসিন পদত্যাগ করলে রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী পুতিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালের ২৬ শে মার্চ পুতিন প্রথমবারের মতো ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি হন। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই তাকে বেশ কিছু সামরিক সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচিত হতে হয়েছিল। ল্যারি কিং এর লাইভ একটি টেলিভিশন শো’তে পুতিনকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে কুর্স্ক সাবমেরিন এর সাথে কি ঘটেছে তখন পুতিন খুব সহজেই দুই শব্দের মধ্যে উত্তর দেন ‘ডুবে গেছে’। তার এই মনোভাব এবং এ ধরনের উত্তর অনেক বেশি সমালোচিত হয়েছিল। তাছাড়াও বেশ কয়েকটি ঘটনা পুতিনকে বারবার সমালোচিত করে। তবে পুতিন নিজের বিচক্ষণতা কাজে লাগিয়ে সব সমস্যার সমাধানের পথ বের করেন এবং পরবর্তীতে ২০০৪ সালের প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে ৭১ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপরে তিনি আরো দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

বেশ কয়েকজন মানুষ বলেন, পুতিন হচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তবে বাস্তবে তার মোট সম্পদের পরিমাণ জানা যায়নি। ক্রেমলিন বলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বছরে ১ লাখ ১২ হাজার ডলার আয় করেন। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বেশকিছু অর্থনীতিবিদদের মতে পুতিনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে। তবে পুতিনের মুখপাত্র এ বিষয়ে সরাসরি অস্বীকার করেন যে পুতিনের এমন কোনো সম্পত্তি নেই যা অজানা। তবে বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন যে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কারণ রাশিয়ান ফেডারেশনের মত একটি রাষ্ট্রকে তিনি প্রায় ২০ বছর যাবত শাসন করে আসছেন।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার