সিজনাল ডিপ্রেশন : বারে বারে ফিরে আসে যে হতাশা!
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৯
পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই ‘ডে লাইট সেভিং’-এর ব্যাপারটা প্রচলিত। ১৯১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস প্রথম এই কাজটি শুরু করে। এরপর বিভিন্ন দেশে এই কাজটি শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে মার্চ মাসে বা কাছাকাছি সময়ে ঘড়ি এক ঘণ্টা সামনে এগিয়ে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে, নভেম্বর মাসে বা কাছাকাছি সময়ে সেটা পিছিয়ে নেওয়া হয় ঘণ্টাখানেক। দেশের অর্থনীতিতে বেশ বড় প্রভাব রাখে এই পদ্ধতি, এমনটাই মনে করা হয়। কিন্তু মানসিকভাবে একজন মানুষকে কতটা প্রভাবিত করে এই কাজটি? বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়িয়ে দেয় শক্তি সঞ্চয়ের এই উপায়টি। আসলেই কি তাই? চলুন, জেনে নেওয়া যাক-
‘মৌসুমি বা সিজনাল হতাশা’ কী?
বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে যে হতাশা তৈরি হয় সেটাকে সিজনাল ডিপ্রেশন বা মৌসুমি হতাশা বলে। সাধারণত, শরৎ এবং শীতকালে এই হতাশা বেশি দেখা যায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই হতাশা গ্রীষ্মকালেও হতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে একজন মানুষের মধ্যে যে লক্ষণগুলো দেখা যায়-
১। কষ্টবোধ বা হতাশাবোধ করা
২। আগে যে কাজটি করতে ভালো লাগত সেটি আর ভালো না লাগা
৩। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া
৪। অনেক বেশি ঘুমানো
৫। সবসময় ক্লান্তি অনুভব করা
৬। অস্থির অথবা খুবই আলসেমি অনুভব করা
৭। কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারা
৮। কোনো ব্যাপারে নিজেকে অক্ষম বলে মনে হওয়া
৯। আত্মহত্যা বা নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবা
ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত, এই সমস্যার ভুক্তভোগীরা বছরের অন্যসব মাসে ভালো থাকলেও এই সময়ে এসে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরপর দুই বছর যদি বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে এসে আপনি প্রচণ্ড হতাশ হয়ে পড়েন এবং আপনার মধ্যে উপরিউক্ত সমস্যাগুলো তৈরি হয় তাহলে আপনার সিজনাল ডিপ্রেশন বা মৌসুমি হতাশা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া যায়।
সিজনাল ডিপ্রেশন কেন হয়?
দেহঘড়ি বলতে যে জিনিসটির নাম আপনি সবসময় শুনেছেন, সেটি কিন্তু বাস্তবেও বিদ্যমান। আর আমাদের দেহের এই ঘড়ি চলে চারকাডিয়ান রিদম বা এক রকমের ছন্দ মেনে। আমরা এই যে ঘুমাই, জাগি- এই পুরোটাই ঘটে এই ঘড়ির হিসেবে। দিনের আলো এবং রাতের অন্ধকারকে ধরেই চলতে থাকে এই ঘড়ি। হুট করে যদি আপনার শরীর কম আলো পেতে শুরু করে তাহলে এই দেহঘড়ির ছন্দপতন ঘটে। ফলে আমরা হতাশ বোধ করি।
যেসব ব্যক্তি ইতোমধ্যেই সিজনাল ডিপ্রেশনে ভোগেন তাদের মধ্যে এই সমস্যা তো এমনিতেই থাকে। দিনের ঘণ্টা কমতে থাকলে তাদের মধ্যে হতাশা এমনিতেই বেড়ে যায়। ২০১৭ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, মৌসুম বদলে গেলে মানুষের মধ্যে হতাশার পরিমাণ ১১ শতাংশ বেড়ে যায়। সূর্য আমাদের শরীরের কার্যক্রমে সহায়তা করে বলেই এমনটা হয় বলে মনে করা হয়। সারকাডিয়ান ছন্দ মেনে শরীরের এই ঘুমানো, জাগা, কাজ করার ছন্দ না মিললে সমস্যা তৈরি হয়।
সিজনাল ডিপ্রেশন কমাবেন কীভাবে?
সিজনাল ডিপ্রেশনকে দূর করার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় আছে। এদের যে কোনো একটি ব্যবহার করেই নিজেকে পরবর্তী সিজনাল ডিপ্রেশন মোকাবিলায় তৈরি রাখতে পারেন আপনি।
অবহেলা করবেন না-
অনেকেই হতাশার এই ধরনটিকে এড়িয়ে চলেন। চেষ্টা করুন আগে থেকেই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। নানারকম লক্ষণ প্রকট হওয়ার আগেই যদি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়।
ভ্রমণ করুন-
এমন কোথাও ঘুরতে চলে যান যেখানে সূর্যের আলো বেশি থাকে। এতে করে আপনি স্বাভাবিকভাবেই বেশি আলোয় থাকতে পারবেন এবং আপনার শরীরের ঘড়ির ছন্দপতন হবে না।
দিনের আলোয় হাঁটুন-
দিনে ঘরে বা কর্মক্ষেত্রে বসে না থেকে কিছুক্ষণের জন্য ঘোরাঘুরি করুন। এতে করে আলোর সান্নিধ্যে এসে আপনার মানসিক সমস্যা একটু হলেও কমে আসবে।
হতাশাকে ভয় না পেয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করুন। সিজনাল হতাশা সবার মধ্যেই কম-বেশি দেখা যায়। এ ব্যাপারে হেলাফেলা না করে সঠিক ব্যবস্থা নিন। সুস্থ থাকুন।
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্ধার কাজে দুই প্লাটুন বিজিবি
- ১৭ বছর পর যাত্রীভর্তি ফ্লাইট নিয়ে নারিতা যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান
- ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী
- সিলেটের মাঠে হ্যাটট্রিক হারে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের
- অভিবাসীদের জন্য ভালো সুযোগ দিচ্ছে ইউরোপের যে দেশে
- বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন : ৩ পদে মনোনয়ন দিলেন ২২ প্রার্থী
- শাবি উপাচার্যের তথ্য ব্যবহার করে অর্থ চেয়ে সক্রিয় প্রতারকচক্র
- সিলেটে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
- এসআইইউ পরিদর্শনে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল
- জুড়ীতে হচ্ছে পুর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর, সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন
- পরকীয়ার জের, সুনামগঞ্জে বেড়াতে নিয়ে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুন
- ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের বাণিজ্য বন্ধ
- নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হলেন লিয়াকত শাহ ফরিদী
- পরিচয় মিলেছে মাধবপুরের দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের
- শাবিপ্রবিতে শিকড়ের দুই দিনব্যাপী পুনর্মিলনী শুরু
- ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ ঢাকায়
- দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে এবার আসছে ‘কৃষ ফোর’
- বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ
- ১২ কেজি এলপিজির দাম কমে ১৩৯৩ টাকা
- সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা বৃষ্টি বাড়ার আভাস
- সিলেটসহ সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় রোববার থেকে খোলা
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
- সিলেটে ২৭৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২
- ওসমানীনগরে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব : প্রধান বিচারপতি
- শ্রমিকের পাশে সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদ
- চা বাগানের প্রবেশমুখ থেকে মাদক সহ আটক ২
- নবীগঞ্জে শিলাবৃষ্টিতে ২২০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
- শ্রীমঙ্গলে মহান মে দিবসে চা শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভা
- মিল্টন সমাদ্দার আটক, পৃথক তিন মামলা
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা
- একটি মহল দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না : এমএ মান্নান
- সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ
- জাউয়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি
- সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা বৃষ্টি বাড়ার আভাস
- বিশ্বনাথে মেয়র ও কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
- সিলেটে ভারতের কাছে বাংলাদেশের নারীদের হার
- ৮০% পাকলেই হাওরের ধান কেটে ফেলার পরামর্শ কৃষি অধিদপ্তরের
- কৃষি খাতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান সিসিক মেয়রের
- পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে দল