ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৫৯

বদলে যাবে শাহ আমানত বিমানবন্দর, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর হয়ে উঠবে বিশ্বমানের। ২০৪০ সালের মধ্যে বছরে ৫০ লাখ ও ২০৭০ সালের মধ্যে ১ কোটি যাত্রী বহনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান। জার্মানির প্রতিষ্ঠান দিয়ে চলছে বিমানবন্দর সম্প্রসারণের সমীক্ষা জরিপ।

২০০০ সালে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক রূপ পাওয়া শাহ আমানত বিমানবন্দরের সক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ বছর। অথচ ৪ বছর আগেই সক্ষমতা হারিয়ে আসা এই বিমানবন্দর ২০২৩ সালেই ১৬ লাখ ১০ হাজার ৪২৮ জন যাত্রী বহন করে রেকর্ড গড়ে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪২৮ জন এবং আন্তর্জাতিক রুটের ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪ জন।

যেখানে ২০২২ সালে বিমানবন্দরটি ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ১৮ জন যাত্রী বহন করেছিল। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী ৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৫৪ জন এবং আন্তর্জাতিক রুটের ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪ জন।
 
প্রতি বছরই যাত্রী বহনের সংখ্যা বাড়লেও বিমানবন্দরে যাত্রীদের সুবিধা বাড়েনি। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, ‘ভ্রমণ করার সময় বিমানবন্দরে বিভিন্ন ধরনের প্রসেসের মধ্যে যেতে হয়। সুতরাং, এই সব জায়গায় কীভাবে যাত্রীদের আরও নির্বিঘ্নে সেবা দেয়া যায়, সেই দিকে যদি আমরা নজর দিই, তাহলে চট্টগ্রামের প্রতি মানুষের ধারনা আরও ভালো হবে।’
 
চট্টগ্রামের পপুলার ট্রাভেলর্স অ্যান্ড ট্যুরের মালিক সৈয়দ মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, অনেক সময়ে দেখা যায় দুয়েকটি ফ্লাইট নামার পর লাগেজ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। লাগেজের জন্য মানুষকে এক থেকে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কাজেই বিমানবন্দরকে আগে লাগেজ ফেসিলিটির বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। এতে অন্যান্য এয়ারলাইনসগুলো আসতে আগ্রহী হবে।

বিশ্বের সব বন্দরের ব্যাকআপ হিসাবে অত্যাধুনিক এবং বিশ্বমানের বিমান বন্দর থাকার কথা থাকলেও এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বঞ্চিত ছিল। চট্টগ্রাম বন্দরের কাছেই শাহ আমানত বিমানবন্দরের অবস্থান হলেও সুযোগ-সুবিধা সেখানে বিশ্বমানের ছিল না। লাগেজ কনভেয়ার বেল্টের স্বল্পতার কারণে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এর সঙ্গে ইমিগ্রেশনের ভিড়তো আছেই।
 
তাই বিমানবন্দরটির সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে যে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরটি রয়েছে, সেটির রানওয়ে সক্ষমতা যদি বাড়ানো হয় তাহলে বড় বড় কার্গো বিমান সেখানে যেকোনো সময়ে কার্গো নিয়ে ওঠানামা করতে পারবে।’
 
অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ শুরু করেছে সরকার। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, তিনটি পর্যায়ে চলবে বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের গড়ে তোলার কার্যক্রম। 

এবিষয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ বলেন, আমাদের আশপাশে এরইমধ্যে কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আমাদের থার্ড টার্মিনালও উদ্বোধন হয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের গুরুত্ব অনেকাংশে বেড়েছে। এর জন্যই মূলত আমরা এই মাস্টারপ্ল্যানটি করছি।
 
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বর্তমানে প্রতিদিন ১৮টি অভ্যন্তরীণ এবং ৪০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ওঠানামা করে। বছরে মাত্র ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহনের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল শাহ আমানত বিমানবন্দর। এখন যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখের বেশিতে। ২০৩০ সাল নাগাদ যা হবে ৩০ লাখ, ২০৪০ সালে ৫০ লাখ এবং ২০৭০ সালে দাঁড়াবে ১ কোটির বেশিতে।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার