ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
১৪০

বঙ্গবন্ধুর জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২০  

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেন মুক্তির মহানায়ক স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে লিখেছেন, 'সুচিন্তিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা যে সম্ভব, শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রমাণ সমগ্র পৃথিবীর সামনে তুলে ধরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির বন্ধু ও অধিনায়ক ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবজাতির পথপ্রদর্শক ও মহান নেতা। তা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর উৎসাহ শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি চেয়েছিলেন বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সভ্যতা, সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা, সব মানুষের মানবাধিকারের স্বীকৃতি। তার সাবলীল চিন্তাধারার সঠিক মূল্য শুধু বাংলাদেশ নয়, সমস্ত পৃথিবীও স্বীকার করবে- এ আশা আমাদের আছে এবং থাকবে।' প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনচরিত, আদর্শিক-রাজনৈতিক ও বাঙালির মুক্তি নেতৃত্বের গভীরে প্রোথিত ছিল বিশাল মহিমা ও মহানুভব চিন্তাচেতনার নিরঞ্জন বিচয়ন। যে অভূতপূর্ব অমিয় বাণীটি বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বসভায় অত্যন্ত সুদৃঢ়ভাবে সুমহান মর্যাদায় আসীন করেছে; তা হলো তার 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' গ্রন্থের স্বগতোক্তি, 'একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়।'

আমরা অবগত আছি যে, বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র রচিত হয়েছে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা- চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে। যে কোনো জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে জাতীয়তাবাদ রাজনৈতিক সংস্কৃতির তাৎপর্যপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে সমধিক বিবেচিত। দীর্ঘ কালপরিক্রমায় বিশেষ জনগোষ্ঠীর লালিত ব্যবর্তন সমাজ-ইতিহাস এবং ঐতিহ্য-কৃষ্টি-সংস্কৃতির নিগূঢ় বন্ধনে স্বাজাত্যবোধের প্রক্ষোভ থেকেই জাতীয়তাবাদের উন্মেষ। সাধারণত বংশ-ধর্ম-অঞ্চল-ভাষা ও সাহিত্য-ঐতিহ্যিক ভাবগত একতার মোড়কে জাতীয়তাবাদ পরিপুষ্ট হয়। অনেক খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানীর মতে, বংশ বা ভাষাগত ঐক্য নয় বরং ভাবগত ঐক্যই জাতীয়তাবাদের উৎস সূত্র। আমরা আরও জানি যে, জাতীয়তাবাদ ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য সত্তা না হলেও অত্যন্ত নিবিড়। ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগেই ইহুদি জাতীয়তাবাদের অগ্রগতি বা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয়তাবাদের চেতনা ছন্দোবদ্ধতার ব্যতিক্রম সমীকরণ। এটি সর্বজনবিদিত যে, ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তার বিকশিত ঐতিহ্য-কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মৌলিক চৌহদ্দি বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরাকাষ্ঠা ও বিস্তারের অগ্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

বঙ্গবন্ধুর ধারণায় ছিল, মহাত্মা গান্ধীই ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে ভারতীয় জাতীয়তাকে সুদৃঢ় এবং ভারত-বিভাগ ও বঙ্গ-বিভাগকেও রুদ্ধ করতে পারতেন। ভারতের বিশিষ্ট বামপন্থি চিন্তক রজনী পাম দত্ত পণ্ডিত জওহর লাল নেহরুর মন্তব্য অনুসরণ করে বলেছিলেন, হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের জন্য জাতীয় নেতা হিসেবে গান্ধী কার্যকর ভূমিকা পালন করেননি। হিন্দু নেতা হিসেবে অর্থাৎ হিন্দুরা তার কাছে 'আমরা' এবং মুসলমানরা তার কাছে 'তাহারা' সম্বোধন করে উভয় সম্প্রদায়ের কাছে ঐক্যের আবেদন জানানোর বিষয়টি কখনও ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় জাতীয়তাবাদের পরিচয় বহন করেনি। সে জন্যই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার বছরের ঐক্যের পরিজ্ঞান ছিল বাঙালি জাতীয়তার ভিত্তি। এটি হিন্দু, বৌদ্ধ, উপজাতীয় ও মুসলমানদের একটি অনবদ্য সভ্যতা-সংস্কৃতির শাশ্বত পরিপ্রেক্ষিত। এরই ভিত্তিতে ভারতের মতো একটি রাজনৈতিক ইউনিয়ন না হয়ে হাজার বছরের বাঙালির আচ্ছাদনে সাংস্কৃতিক জাতি-রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। দেশবরেণ্য ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সালাহ্‌উদ্দিন আহম্মদের নিবন্ধ সূত্রে একটি বিশেষ ঘটনার উল্লেখ করতে চাই। ১৯০৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টে তরুণ বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষের বিরুদ্ধে কথিত আলিপুর বোমা মামলার ইংরেজ বিচারকের এজলাসে বিচারকার্য চলছিল। আসামি অরবিন্দ ঘোষের পক্ষে কৌঁসুলি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় খ্যাতিমান ব্যারিস্টার চিত্তরঞ্জন দাশ। তিনি অভিযোগ খণ্ডন করে বিচারকের উদ্দেশে বলেছিলেন, আসামির কাঠগড়ায় যাকে দাঁড় করানো হয়েছে তিনি কোনো সাধারণ ব্যক্তি নন। ব্যারিস্টার দাশ অরবিন্দ ঘোষকে 'দেশপ্রেমের কবি, জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা এবং মানবতাপ্রেমিক' অভিধায় অভিষিক্ত করেছেন। ড. সালাহ্‌উদ্দিনের মতে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কেও যদি একই কথা বলা যায় তাহলে মোটেও অত্যুক্তি হবে না। বস্তুত, আমাদের সময়কালে এক স্বতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি চেতনার জাগরণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো তিনি বাঙালি জাতিসত্তাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ গণপরিষদে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু তার অসাধারণ ও যুগান্তকারী ভাষণে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিদের জনগণের ভোটের মারফতে গণপরিষদে এসে দেশের প্রথম শাসনতন্ত্র প্রদানের পটভূমি ব্যাখ্যা করেন। ভাষণে বঙ্গবন্ধু তদানীন্তন ভারতবর্ষে স্বাধীনতা-সংগ্রামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরাই বেশি রক্তদান করেছেন বলে দাবি করেন। যুব বিদ্রোহ, সিপাহি বিদ্রোহ সব বাংলার মাটি থেকে শুরু হয়েছিল। ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলেন, 'ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্ম-কর্ম করার অধিকার থাকবে। আমরা আইন করে ধর্মকে বন্ধ করতে চাই না এবং করব না। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রে কারও নাই। হিন্দুরা তাদের ধর্ম পালন করবে, কারও বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নাই। বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম পালন করবে, খ্রিষ্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না। আমাদের শুধু আপত্তি হলো এই যে, ধর্মকে কেউ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। ২৫ বছর আমরা দেখেছি, ধর্মের নামে জুয়াচুরি, ধর্মের নামে শোষণ, ধর্মের নামে বেইমানি, ধর্মের নামে অত্যাচার, খুন, ব্যভিচার- এই বাংলাদেশের মাটিতে এসব চলেছে। ধর্ম অতি পবিত্র জিনিস। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।' এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক ধর্মচিন্তা তথা ধর্মনিরপেক্ষতার নবতর স্বরূপ উন্মোচন করেন।

বঙ্গবন্ধু শৈশবকালে কিছু বিরূপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছিলেন হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক নিয়ে এবং দু-একজন মুসলমানকে হিন্দুদের দ্বারা অত্যাচারিত হতে দেখেছেন। তা ছাড়া হিন্দু বন্ধুদের আমন্ত্রণে তাদের বাড়িতে যাওয়ার কারণে বন্ধুদের অভিভাবক কর্তৃক বন্ধুদেরও অনেক বকাঝকা সহ্য করতে হয়েছে। বন্ধু ননীর সঙ্গে সংঘটিত এই ধরনের ঘটনা সেই অঞ্চলে বাঙালি মুসলমান যুবকদের মধ্যে জাতক্রোধ সঞ্চারিত করেছিল। এভাবেই এক বৈরী পরিবেশ থেকে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু কীভাবে এক অসাম্প্রদায়িক ধর্মচিন্তা ও চেতনার অনন্যসাধারণ রাজনৈতিক পরিমণ্ডল তৈরি করেছিলেন, সেটি গভীর উপলব্ধির বিষয়। পিতার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষাকে পরিপূর্ণ ধারণ করে 'শেখ মুজিব' 'বঙ্গবন্ধু' হতে পেরেছিলেন, এ বিষয়গুলো তরুণ প্রজন্মের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। 'বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করব না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ এ তো সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলিও না। লেখাপড়া না শিখলে মানুষ হতে পারবে না।' বঙ্গবন্ধু পিতার এই অমিয় বার্তাটি কোনোদিন ভোলেননি।

আমরা জানি যে, ফকির লালন শাহ আমৃত্যু জাতিভেদ তথা সাম্প্রদায়িকতার প্রতি তীব্র ঘৃণা, অসন্তোষ ও বিদ্রোহ প্রকাশ করে হিন্দু-মুসলমানের পারস্পরিক সহমর্মিতা ও বন্ধুত্বের প্রেক্ষাপট রচনায় বহুভাবে তার উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছেন। 'ঈশ্বর-আল্লাহ' আর 'ভগবান-খোদা' নিয়ে উপমহাদেশে ধর্মকে বিতর্কিত করা এবং বিরোধ-বিচ্ছেদ-সহিংসতা-নৃশংসতা ইত্যাদির নামই সাম্প্রদায়িকতা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার হিন্দু-মুসলমান নিবন্ধে কবিগুরুর সঙ্গে এদের ধর্মভেদ সমস্যা নিয়ে আলাপকালে তাকে গুরুদেব বলেছিলেন, 'দেখ, যে ন্যাজ বাইরের, তাকে কাটা যায়, কিন্তু ভেতরের ন্যাজকে কাটবে কে?' এভাবেই হিন্দু-মুসলমানের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝেই বঙ্গবন্ধু ধর্মভিত্তিক নয়, বরং ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের প্রজ্বালন ঘটিয়ে অন্ধকারের শক্তি সাম্প্রদায়িকতাকে নিধন করে সবার ঐক্যবদ্ধতায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৭৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের সভায় বঙ্গবন্ধু অতি আবেগী ভাষণে বলেছেন, 'এদেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আপনারা সুখে বাস করবেন। পাশাপাশি বাস করবেন। ভাই ভাই বাস করবেন। কোনোমতে যেন সাম্প্রদায়িকতা বাংলার মাটিতে আর না হয়। তাহলে আমি হার্টফেল করে মারা যাব। কারণ জীবন ভরে আমি সংগ্রাম করেছি মানুষের মঙ্গলের জন্য। মুসলমান ভাইয়েরা, আল্লাহ কিন্তু রাব্বুল আল আমিন, আল্লাহ কিন্তু রাব্বুল মোত্তেকিন। সব মানুষের তিনি খোদা। কোনো সম্প্রদায়ের তিনি খোদা নন। তাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, সাম্প্রদায়িকের বীজ যেন বাংলার মাটিতে বপন না করে। তাহলে ত্রিশ লক্ষ যে শহীদ হয়েছে ওদের আত্মা শান্তি পাবে না।'

উপরোল্লিখিত বিভিন্ন বক্তব্য থেকে অতি সহজেই অনুমেয় যে, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন তার স্বরূপ উন্মোচিত ও পরিপূর্ণতা পাবে যেদিন বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-শোষণমুক্ত মানবিক সমাজের অবস্থানে পৌঁছে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অহংবোধে গর্বিত হবে এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শানিত চেতনায় নিজেদের দেশমাতৃকার সেবায় নিবেদন করতে পারবে।

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার