ভারতের বিপক্ষে জিততে চায় ব্লু -টাইগাররা

গ্রুপে এগিয়ে যাওয়ার মিশনে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী মানলেও ভালো পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা রেখে এই ম্যাচে জয় তুলে নিতে চান জামাল ভূইঁয়ারা। অন্যদিকে প্রথম জয়ের খোঁজে হন্যে হয়ে আছে ভারত'ও। দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সোমবার রাত ৮টায়।

নিজেরা র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে বলেই বাংলাদেশ ভারতের কাছে অবজ্ঞার। ভাবখানা এমন লাল-সবুজদের ওরা চাইলেই হারাতে পারে! যদিও রেকর্ড বলছে ভিন্ন কথা। গেল এক যুগে বাংলাদেশ তো ওদের কাছে হারেইনি বরং বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম লেগে যুব ভারতীতে কোন ভাবে মান বাঁচিয়েছিলো ব্লু -টাইগাররা।

দৃশ্যমান পার্থক্য স্বত্ত্বেও মূলত জেমির কৌশলী ফুটবলে নাকাল ভারত। একই সূত্রে গেল ম্যাচে আফগানদের আটকে দিয়েছে তপু-রহমতরা। এবার সুনীল ছেত্রিদের পালা। যদিও ফরমেশন ৪-২-৩-১ থেকে বেরিয়ে অন্য কিছুর চিন্তায় ম্যানেজমেন্ট। একই সঙ্গে ভাবনার কারণ ইনজুরড সোহেল রানার অনুপস্থিতি।

বাংলাদেশ দলের কোচ জেমি ডে বলেন, ‘আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি তাতে আমি আত্মবিশ্বাসী। এটা ধরে রাখতে পারলে জিতব। তবে ওরা দারুণ দল। সেই চ্যালেঞ্জ আমাদের নিতে হবে। ম্যাচটা কঠিন হবে।’

এই ম্যাচে বাংলাদেশ নিশ্চিত ভাবেই মিস করবে সাদ উদ্দিনকে। তাই বলে বসে থাকার সুযোগ কোথায়! ভারতের সঙ্গে খেলা হলেই কেন যেন তেতে উঠেন ফুটবলাররা। সংকল্প একটাই হারাতে হবে ওদের যে কোন মূল্যে।

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার ভাষায়, ‘ভারত টিম হিসেবে খুবই ভালো দল। প্রতিপক্ষকে সমীহ করছি। কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী পারফরম করাই আমাদের লক্ষ্য। প্রবাসীদের দারুণ একটি ম্যাচ উপহার দিয়ে পয়েন্ট পেতে চাই।’

এবারের বিশ্বকাপ বাছাই ভারতের কাছে হতাশার। ভালো খেলেও এখন পর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি ইগর স্টিম্যাক বাহিনী। যদিও ওদের মধ্যমাঠ ও আক্রমন ভাগ যথেষ্টই শক্তিশালী। পোষ্টের নিচে গুরকৃত সিং একাই যথেষ্ট প্রতিপক্ষকে রুখে দিতে। সব কিছুর কম্বিনেশনে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের গেরো খোলার অপেক্ষায় ওরা।

ম্যাচ জেতার আশা করছেন ভারতের ডিফেন্ডার আদিল খান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভালো দল। সম্প্রতি ওরা দারুণ ফুটবল খেলছে। তবে আমরা ওদের থেকেও ভালো। এই ম্যাচ আমরা জিততে চাই। সেই সামর্থ আমাদের আছে।’

সাম্প্রতিক রেকর্ড ভারত-বাংলাদেশকে সমান্তরালে রাখলেও পারিসংখ্যানে এগিয়ে ব্লু -টাইগাররা। যেখানে লাল সবুজদের জয়ের প্রহর পেরিয়েছে দেড় যুগ!