ভারত নয় ক্রিকেট বিশ্বকাপ হবে ওমানে!

টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসর ভারতে হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। আইসিসি থেকে চার সপ্তাহের সময় চেয়ে নিলেও, ইতোমধ্যে আসরটি আয়োজনের জন্য আরব আমিরাত এবং ওমানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বিসিসিআই। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। মূলত বর্ষা মৌসুম এবং কোভিড পরিস্থিতির কারণে, ঝুঁকি নিতে চাইছে না সৌরভ গাঙ্গুলির বোর্ড।

আইসিসির ভার্চুয়াল সভায় টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসর নিয়ে ভারতের অবস্থান জানতে চেয়েছিল সবাই। কিন্তু, সৌরভ গাঙ্গুলি এবং জয় শাহর কাছ থেকে কোনো পোক্তা জবাব আসেনি সে বৈঠকে। বরং চূড়ান্ত উত্তর দিতে ৪ সপ্তাহের সময় চেয়ে নেয় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড।

তবে সে সময়ের তিন দিন না যেতেই ভারতীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যমে খবর, বিশ্বকাপ আয়োজন থেকে সরে আসতে যাচ্ছে বিসিসিআই। তবে, নিজেদের হোস্ট রাইট কাজে লাগিয়ে আরব আমিরাত এবং ওমানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে দেশটি। আমিরাতের, আবুধাবি, দুবাই এবং শারজাহ'র পাশাপাশি ওমানের মাসকটকেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে পাশে চেয়েছে তারা।

কারণ হিসেবে, ভারতের কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়াকেই দেখাতে চাইছে গাঙ্গুলি গং। সঙ্গে, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির উৎপাতও আছে তাদের চিন্তায়। তার ওপর কোভিডের অবস্থার উন্নতি হলেও, আকাশ পথে যোগাযোগের জটিলতাও ভাবাচ্ছে তাদের। সব মিলিয়ে বিশ্ব আসর করার মতো অবস্থা এ মুহূর্তে ভারতে নেই বলেই মেনে নিয়েছে বিসিসিআই কর্তারা।

আর্থিক কারণে বিশ্বকাপটা নিজ দেশে আয়োজনে মরিয়া ছিল ভারত। বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের জন্য আয়োজক হিসেবে আড়াই থেকে তিন লাখ ডলার পাবে ভারত। সঙ্গে অন্যান্য আরও আয়ও তো আছেই। কিন্তু, নিরূপায় হয়ে এখন সেই অর্থ অন্য দেশের সঙ্গে ভাগাভাগিতে যেতে হচ্ছে সৌরভকে।

তবে, ভেন্যুর জায়গায় আমিরাতের সঙ্গে ওমানের সংযোগ কিছুটা অবাক করেছে অনেককে। যদিও, এখানে আছে ভারতেরই চতুরতা। বিশ্বকাপের আগে দুবাইয়ে আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজনে বদ্ধপরিকর বিসিসিআই। এটাতে সফল হলে, ৩১টি ম্যাচ হবে আমিরাতের তিন স্টেডিয়ামে। এরপর আবার বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন কিছুটা কষ্টকর হবে স্টেডিয়ামগুলোর জন্য। আইসিসির চাহিদা মতো উইকেট তৈরিতেও যথেষ্ট সময় থাকবেনা সে সময়।

এ কারণেই, ওমানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ভারত। বিশ্বকাপের প্রথম দিককার ম্যাচগুলো মাসকটে আয়োজন করার প্রস্তাব দেবে তারা। এতে, বিশ্বকাপের উইকেট সমস্যারও সমাধান আসবে, সঙ্গে পরিচর্যা করা যাবে আরব আমিরাতের মাঠগুলোকেও।