দল পাননি রাজ্জাক, নাফিস ও তাইজুল

করোনায় দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর মাঠে ক্রিকেট ফেরাতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তারই ধারাবাহিকতায় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট প্রেসিডেন্ট কাপের পর এবার আয়োজিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হলো টুর্নামেন্টটির ড্রাফট।

ড্রাফটে পাঁচ দল চূড়ান্ত করেছে তাদের স্কোয়াড। তামিম-সাকিব-মুশফিকদের মতো তারকা ক্রিকেটার ছাড়াও দল পেয়েছেন অনেক তরুণ ক্রিকেটারও। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই পেয়েছেন দল। তবে দল না পাওয়ার তালিকায়ও রয়েছে অনেক পরিচিত না। এ টুর্নামেন্টে উপেক্ষিত রয়ে গেছেন আব্দুর রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফিস ও তাইজুল ইসলামের মতো ক্রিকেটাররা।

সাদা বলের ক্রিকেটে বাঁহাতি অফ স্পিনার তাইজুল ইসলামের অভিষেক যে কারো জন্যই স্বপ্নের মতো। ওয়ানডে অভিষেকেই যে হ্যাটট্রিক করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। টেস্ট দলে নিয়মিত হলেও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে বরাবরই উপেক্ষিত তিনি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের ড্রাফটে নাম থাকলেও দল পাননি এই স্পিনার।

এর ফলে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম শত উইকেট পাওয়া (২৯ টেস্টে ১১৪ উইকেট) তাইজুলকে এই আসরে দর্শকের কাতারে থাকতে হবে। শুধু তিনি নন, তার মত আরও অনেকেই নামে সমীহ জাগানোর মত হলেও বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে দল পাননি।

এই যেমন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটার অফ স্পিনার নাইম হাসান। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে ৩ ম্যাচে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে না পারায় এই দীর্ঘদেহী অফ স্পিনারের প্রতি কেউ আগ্রহ দেখায়নি।

তালিকাটা এখানেই শেষ নয়। বিসিবি'র কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়া সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং সাদমান ইসলাম অনীক দল পাননি। আফসোসের তালিকা দীর্ঘ করেছেন শাহরিয়ার নাফিস, জুনায়েদ সিদ্দিকী ও আব্দুর রাজ্জাকের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা।

এবার ৪ ক্যাটাগরিতে মোট ১৫৭ জন ক্রিকেটারের মধ্য থেকে প্লেয়ার্স ড্রাফটে দল পেয়েছেন ৮০ জন ক্রিকেটার। ড্রাফটে 'এ' গ্রেডে ছিলেন ৫ জন, 'বি' গ্রেডে ২১ জন, 'সি' গ্রেডে ২৩ জন ও 'ডি' গ্রেডে ১০৮ জন। ৮০ জনের মাঝেও বেশ কিছু পরিচিত ক্রিকেটার না থাকা ভক্তদের আক্ষেপই বাড়িয়েছে শুধু।