এখনও প্লে-অফের পথ খোলা সিলেট স্ট্রাইকার্সের?

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দশম আসরের এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশি সময় গড়িয়েছে। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ কিছু ম্যাচের পাশাপাশি দেখতে হয়েছে নিস্প্রাণ লড়াইও। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল ডাবল হেডার পদ্ধতিতে ১২টি করে ম্যাচ খেলবে। তার অর্ধেক ম্যাচ খেলে ফেলেছে প্রত্যেকেই। ৭টি করে ম্যাচের ৫টিতে জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সেরা দুইয়ে আছে রংপুর রাউডার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসানসহ নামকরা বিদেশিদের নিয়ে গড়া রংপুরের শীর্ষে থাকা প্রত্যাশামাফিক হলেও চমক দেখিয়েছে চট্টগ্রাম। গেল বারের তলানিতে থাকা দলটি এবার বেশ দাপটের সঙ্গেই আছে টেবিলের দুইয়ে। প্লে-অফ খেলাও তাদের জন্য অনেকখানি নিশ্চিত। তবে হতাশাব্যঞ্জক পারফরম্যান্সে নিচের দিক থেকে দুইয়ে অবস্থান গতবারের রানার্স আপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্সের।

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৯ ম্যাচ খেলে সিলেট জিতেছে মাত্র তিনটি ম্যাচে। এর মধ্যে দুবারই তারা হারিয়েছে নবাগত দুর্দান্ত ঢাকাকে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে সিলেটের অবস্থান সাত দলের মধ্যে ছয়ে। অধিনায়ক মাশরাফীও দল ছেড়ে ঝুঁকেছেন সংসদে হুইপের দায়িত্ব পালনে। সিলেটকে দুটো জয় উপহার দেওয়া ঢাকা রয়েছে টেবিলের তলানিতে। ৭ ম্যাচ খেলে আসরের শুরুর ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে হারানোর পর টানা ৬টি ম্যাচ হার সঙ্গী হয়েছে সৈকত-তাসকিন-শরিফুল-নাঈমদের। ঝুলিতে পয়েন্ট সংখ্যা ২। তিনে ও চারে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও খুলনা টাইগার্সের সংগ্রহ ৬ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্ট। ৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল আছে পাঁচে।

এমন যখন অবস্থা প্রশ্ন জাগছে গতবারের ফাইনালিস্ট সিলেট স্ট্রাইকার্সের কি কোনো সম্ভাবনা আছে প্লে-অফ খেলার! সমীকরণ বলছে, আছে। সিলেট যদি প্লে-অফ খেলেই তবে শীর্ষে থাকা রংপুর-চট্টগ্রাম-কুমিল্লা নিরাপদে থাকলেও কপাল পুড়বে খুলনা ও বরিশালের।

সিলেটের বাকি রয়েছে তিনটি ম্যাচ, যার মধ্যে একটিতে তাদের প্রতিপক্ষ খুলনা। বাকি দুই ম্যাচ বরিশাল ও কুমিল্লার বিপক্ষে। প্লে-অফ খেলতে হলে সিলেটকে সবার প্রথমেই নিশ্চিত করতে হবে বাকি তিনটি ম্যাচেই জয়। তাহলে গ্রুপপর্ব শেষে তাদের পয়েন্ট সংখ্যা গিয়ে হবে ১২। তবে শুধু তাতেই হবে না।

খুলনার বাকি রয়েছে পাঁচ ম্যাচ। সিলেটের সঙ্গে দুই ম্যাচের একটিতে হারার পর দ্বিতীয়টিতেও যদি তারা হেরে যায়, বাকি চার ম্যাচের যেকোনো দুটিতে জিতলেই সিলেটের সমীকরণ যাবে ভেস্তে।

সিলেটের আরও এক মাথাব্যথার কারণ বরিশাল। বাকি থাকা ৫ ম্যাচে বরিশালের হারতে হবে তিন ম্যাচে। সেক্ষেত্রে তামিমের দলের পয়েন্ট হবে ১০। আর কপাল খুলবে সিলেটের। এই সমীকরণের ভিত্তি হলো সিলেট ছাড়া টেবিলের ওপরে থাকা দল হারাবে নিচের দলকে। আর তা যদি আক্ষরিকভাবে মিলে যায় তবে ১০ জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকবে রংপুর। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে চট্টগ্রাম, ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে কুমিল্লা এবং ১২ পয়েন্ট নিয়ে চারে সিলেট। আজ সিলেট-খুলনা ম্যাচেই খোলাসা হয়ে যাবে কল্পিত এ ভবিষ্যতের।