৫ বছরে মানুষের জীবন যেভাবে বদলে দেবে এআই

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বরাবরই উৎসাহী ও আশাবাদী। প্রযুক্তিটি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সবার জীবনেই বেশ পরিবর্তন আনবে বলে মনে করেন এই ধনকুবের।

অন্যদিকে এআই প্রযুক্তির উত্থান বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ চাকরির জায়গা দখল করার ভীতি তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে বলেছে, সারা বিশ্বের প্রায় ৪০ ভাগ চাকরি এআইয়ের উত্থানের ফলে প্রভাবিত হতে পারে।

 
তবে বিল গেটস সেই ধারণাকে পুরোপুরো উড়িয়ে দেন না। তিনি মনে করেন, ইতিহাসে যখনই কোনো নতুন প্রযুক্তি এসেছে তখনই সেগুলো নতুন কিছু ভয়ের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু তারপরেই আবার নতুন নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করেছে সেই প্রযুক্তিগুলো।
 
এ প্রসঙ্গে সম্পর্কে টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেন, ১৯০০ সালে যখন আমাদের কৃষি উৎপাদনশীলতা ছিল, লোকজন তখন বলেছিল ‘আরে, কী হতে যাচ্ছে?’ আসলে, অনেক নতুন জিনিস, অনেক নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করেছিল। যখন সবাই খামারে কাজ করত আমরা এখন তার চেয়ে অনেক ভালো আছি। এটা এমনই হবে।
 
 
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বিল গেটস। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, এআই প্রত্যেকের জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে, বিশেষ করে চিকিৎসকদের তাদের ব্যবস্থাপত্র তৈরির কাজে এটি বেশ সাহায্য করবে। যা তাদের কাজের একটি অংশ হলেও তারা সেটি করতে পছন্দ করেন না। এ ক্ষেত্রে আমরা কাজটিকে কমিয়ে আনতে পারব।'
 
এআইয়ের উৎকর্ষ সাধনে যে বেশি পরিমাণে নতুন হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন নেই, সেটিও উল্লেখ করেন গেটস। কেননা বর্তমানে বিদ্যমান ফোন বা পিসিতে এরইমধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে।
 
 
বিল গেটস আরও বলেন, ‘‘ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির উন্নতিগুলো ছিল ‘নাটকীয়’। কারণ এটি প্রকৃতপক্ষেই পড়তে ও লিখতে পারে। সুতরাং এটি একজন হোয়াইট কলার কর্মীর জন্য অবশ্যই একজন শিক্ষক হতে, স্বাস্থ্য পরামর্শ দিতে, কোড লিখতে সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে শিক্ষা বা চিকিৎসা খাতে এই প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ‘চমৎকার’।’’
 
প্রসঙ্গত, ওপেনএআইয়ের সঙ্গে মাইক্রোসফটের বিলিয়ন ডলারের অংশীদারিত্ব রয়েছে। আর গেটস এ প্রযুক্তি জায়ান্ট কোম্পানিটির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডারদের একজন।