দ্বীন ইসলামে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির পরিণাম
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৯
দ্বীন ইসলাম সিরাতে মুস্তাকিম অর্থাৎ মধ্যপন্থা। এতে ইফরাত অর্থাৎ চরম আদর্শবাদ এবং তাফরিত অর্থাৎ অতিরিক্ত উদারতার কোনো স্থান নেই।
ইফরাত ও তাফরিত উভয়ই দ্বীনের জন্য ক্ষতিকারক। তাফরিতপন্থীরা দ্বীন ইসলামকে কাটছাঁট করতে চেষ্টা করে। এমন কী কোনো কোনো সময় তাদের হাতে দ্বীন ইসলামের অবস্থা এতই বিপন্ন হয়ে পড়ে যে, দ্বীন ও গায়রে দ্বীনের মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্য আর বর্তমান থাকে না।
বর্তমান যুগেও তাফরিতপন্থী এক শ্রেণির লোক দ্বীন ইসলামের দেহে মারাত্মক রকমের অপারেশন করতে চেষ্টা করছে এবং একে দ্বীনের তাজদিদ বা সংস্কার নামে অভিহিত করতে অপচেষ্টা করছে। প্রকৃত প্রস্তাবে এটা তাজদিদে দ্বীন নয় বরং তা তাহরিফে দ্বীন। দ্বীনের সংস্কার নয় বরং দ্বীনের বিকৃতি সাধন বই আর কিছু নয়। তাজদিদে দ্বীন উলামায়ে হক্কানি ও আউলিয়ায়ে কেরামের কাজ আর তাহরিফে দ্বীন দুশমন ধর্মদ্রোহীদের কাজ। ইফরাত বা চরম আদর্শবাদও দ্বীনের জন্য কম মারাত্মক নয়। ইফরাত বা চরম আদর্শবাদীরা দ্বীনের খুঁটিনাটি বিষয়ের প্রতি এত গুরুত্বারোপ করে যে, এর পরিণাম কওম বা মিল্লাত এর জন্য অত্যন্ত মারাত্মক রূপ ধারণ করে।
রাজনৈতিক ব্যাপারে যারা চরমপন্থা অবলম্বন করে তারা সামান্য ব্যাপারকেও অত্যন্ত গুরুত্বের ব্যাপার বলে বিবেচনা করে। এমনকী দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলেও তারা সেই ক্ষুদ্র ও গৌণ বিষয়টিকে বর্জন করতে সম্মত হয় না। দ্বিতীয়ত: তাদের মধ্যে প্রায়ই বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গির অভাব পরিলক্ষিত হয়, ফলে তাদের কর্মপন্থা প্রায় অবাস্তব বিধায় শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়। তৃতীয়ত: রূখসত ওয়া মাসলেহাত বলে কোনো জিনিসকে স্বীকার করতে চায় না, ফলে তাদের পক্ষে তাদরিজি প্রোগ্রাম ক্রমানুক্রমিক কর্মপন্থা অবলম্বন করা সম্ভবপর হয় না। অথচ অনেক সময় তাদরিজি প্রোগ্রাম ক্রমানুক্রমিক কর্মপন্থা অবলম্বন করা ব্যতীত গত্যন্তর থাকে না।
জীবনের কাম্য কী? দুনিয়া না আখেরাত?
জীবনের কাম্য দুনিয়া না আখেরাত? এটা নির্ধারণের ব্যাপারে বিশ্বমানব প্রধানত পাঁচ শ্রেণিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রথম শ্রেণি যাদের কেবলমাত্র দুনিয়াই কাম্য। তারা আখেরাতকে বিশ্বাস করে না। দ্বিতীয় শ্রেণি যারা বাহ্যত পরকালকে অবিশ্বাস করে না সত্য কিন্তু দুনিয়াকে অগ্রগণ্য মনে করে। তৃতীয় শ্রেণি যাদের দুনিয়া ও আখেরাতই কাম্য। চতুর্থ শ্রেণি যাদের কেবলমাত্র আখিরাতই কাম্য, এমনকী প্রয়োজনাতিরিক্ত দুনিয়া পাইলেও গ্রহণ করেন না।
পঞ্চম শ্রেণি যাদের আখিরাত কাম্য তবে দুনিয়াকে অর্জন করেন না। অবশ্য দুনিয়াকে কাম্য হিসেবে নয় বরং আখিরাতের সহায়ক ও পরিপূরক হিসেবে গ্রহণ করেন।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বিভ্রান্তি সুনিশ্চিত। তৃতীয় শ্রেণির বিভ্রান্তি মুক্তি নিশ্চিত নয়। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বিভ্রান্তি-মুক্তি নিশ্চিত। তবে চতুর্থ শ্রেণির পক্ষে প্রত্যক্ষভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের খেদমত আঞ্জাম দেয়া সম্ভবপর হয় না। ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর বদদীন ও বেদীনদের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের পথ প্রশস্ত হয়ে পড়ে। অথচ ব্যক্তিগত জীবনের ন্যায় সমাজ ও রাষ্ট্রকে ও ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কেবলমাত্র পঞ্চম শ্রেণি একাধারে নিজেদের জীবন সামগ্রিকভাবে ইসলামের আদর্শে গড়ে তুলতে এবং ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সমাজ ও রাষ্ট্রের সঠিক খেদমত আঞ্জাম দিতে সমর্থ হন। সুতরাং আমাদের ব্যক্তিগত জীবন গঠন এবং অর্থনীতি, সমাজনীতি ও রাজনীতির ব্যাপারে পঞ্চম শ্রেণির অনুকরণ ও অনুসরণ করা আবশ্যক।
সালফে সালেহিনের ইত্তেবা:
সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, ওয়া আইম্মায়ে তরিকত প্রভৃতি আমাদের সালফে সালেহিন। সালফে সালেহিন আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় । হজরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি বলেছেন, ‘আমার সাহাবাগণ নক্ষত্র সদৃশ। তাদের মধ্য থেকে যারই অনুসরণ করো না কেন হেদায়েত পাবে’।
মোটকথা সালফে-সালেহিনের এত্তেবা আমাদের জন্য অপরিহার্য। এজন্যই আল্লাহ তায়ালা সূরা ফাতিহায় এরূপ দোয়া করতে শিক্ষা দিয়েছেন। ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সিরাতুল মুস্তাকিম অর্থাৎ আপনার নিয়ামতপ্রাপ্ত নেক বান্দাদের পথে পরিচালিত করুন।’ এই নেয়ামতপ্রাপ্ত নেককার বান্দাদের পরিচয় নিম্নলিখিত আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহ তায়ালা নবীয়্যিন, সিদ্দিকীন, শহিদান ও সালেহিনের প্রতি নিয়ামত বখশিশ করেছেন।’ অতএব, কোরআনে কারিম ও হাদিস শরিফের ব্যাখ্যা দিতে হলে আমাদের অবশ্যই সালফে-সালেহিনের আনুগত্য করতে হবে। অন্যথায় গোমরাহীর পূর্ণ আশঙ্কা রয়েছে।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘আমার জীবন যার হাতে সেই সত্তার কসম, হাউজে কাউসারের পানপাত্রগুলো অন্ধকার রাতের আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি। জান্নাতের পাত্র, যে তা থেকে পান করবে পরে সে আর পিপাসার্ত হবে না। জান্নাত থেকে দু’টি নালা দিয়ে এতে পানি প্রবাহিত হবে।’ (আহমাদ, মুসলিম ও নাসায়ি)।
যারা এ পানির ভাগ্যবান পানকারী হবে:
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সুন্নতের অনুসারী, তাঁর পথ ও মতের ধারক বাহকরাই তাঁর কাছে হাউজের পাশে অবস্থান গ্রহণের সুযোগ পাবে। আর তারা, যারা কবিরা গোনাহ থেকে বেঁচে ছিল। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের যা নিষেধ করা হয়েছে তার মধ্যে যা কবিরা গোনাহ তা থেকে বিরত থাকলে আমি তোমাদের ছোট গোনাহগুলো ক্ষমা করব এবং তোমাদের সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাব।’ (সূরা নিসা : ৩১)।
হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করানোর আরো কারণের মধ্যে রয়েছে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ শরিফ পাঠ করা।
আমল এবং এর প্রতিদানের মাঝে একটা সুন্দর মিল রয়েছে। যে দুনিয়ায় নবীর (সা.) শরিয়তের অনুসরণ করবে, তাঁর পথ ও মতকে আঁকড়ে ধরবে এবং এর ওপরই মৃত্যুবরণ করবে, সে তার আমলের প্রতিদান হিসেবে হাউজে কাউসারে উপনীত হবে। আর যে দ্বীনের মাঝে পরিবর্তন করবে, বেদাত করবে সে সত্যবিমুখ হওয়ার করণে বাধাগ্রস্ত ও বিরত হবে।
হাউজে কাউসারের প্রতি বিশ্বাস রাখা ঈমানের অন্তর্ভূক্ত। যে হাউজে কাউসারের প্রতি ঈমান রাখবেন না তার ঈমান থাকবে না।
- জৈন্তাপুরে আদুরী ঝর্ণা : পর্যটনে সিলেটের নতুন সম্ভাবনা
- দোয়ারাবাজারে শিলাবৃষ্টিতে সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধস্ত
- সুনামগঞ্জে নিরাপদ সড়ক চাই’র নতুন কমিটি গঠন
- এ বছর বজ্রপাত বাড়ার আশঙ্কা, ঝুঁকিতে সিলেট
- সিলেটে ডোবা থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা : ‘বি’ ইউনিটে পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ
- তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের আহ্বান সিসিক মেয়রের
- ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- টি২০ সিরিজ : জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
- কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে মুক্ত সাংবাদিকতা : আলোচনায় সিলেট প্রেসক্লাব
- যৌথ গবেষণায় শাবিপ্রবি ও খুবির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত
- শাবিপ্রবিতে ইনোভেশন হাবের কোহোর্টে অর্থ পেলো পেল ৬ টিম
- সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে তৃতীয় দিনে কাজ চলছে ফায়ার সার্ভিসের
- কিশোর গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বের জেরে আলীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪
- জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
- প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ
- বাংলাদেশে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু ৩ অক্টোবর, সূচি ঘোষণা
- ঢাকায় যানজটের ‘হার্ট পয়েন্ট’ চিহ্নিত, নতুন উদ্যোগ ডিএমপির
- জৈন্তাপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
- এবার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে প্রাণ গেলো সাবেক সেনা সদস্যের
- বিশ্বনাথে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে এবার কাউন্সিলর রফিকের মামলা
- এবার সিলেটে কমেছে হজযাত্রী ও ফ্লাইট সংখ্যা
- পরিবেশ সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ সহায়তার আশ্বাস তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
- ডিবির অভিযানে সিলেটে ৬ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার
- মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে
- রোববার থেকে খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- সুন্দরবনে ভয়াবহ আগুন, ২ কিলোমিটার জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
- হাওরে কৃষক ছাউনি নির্মাণের দাবি এরাকাবাসীর
- কানাইঘাটে একইদিনে পৃথক দুর্ঘটনায় ফুফু-ভাইজির মৃত্যু
- কমলগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন হারভেস্টার ও গাছের চারা বিতরণ
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা
- একটি মহল দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না : এমএ মান্নান
- সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ
- জাউয়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি
- সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা বৃষ্টি বাড়ার আভাস
- বিশ্বনাথে মেয়র ও কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
- সিলেটে ভারতের কাছে বাংলাদেশের নারীদের হার
- ৮০% পাকলেই হাওরের ধান কেটে ফেলার পরামর্শ কৃষি অধিদপ্তরের
- কৃষি খাতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান সিসিক মেয়রের
- পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে দল