প্রিয়জনকে হারানোর ব্যথায় নবীজি যেভাবে কেঁদেছিলেন
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নবীজি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের বাণী বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে পুরো জীবন কষ্ট করেছিলেন। ইসলামের শত্রুদের দেওয়া কষ্ট পেয়েছিন তিনি পদেপদে। এর পাশাপাশি প্রিয়জনকে হারানোর বেদনাও ছিলো তার জীবনে।
জন্মের আগেই হারিয়েছিলেন বাবাকে। এরপর মাত্র ছয় বছর বয়সে মা ও আট বছর বয়সে হারিয়েছিলেন আপন দাদাকে। দাদার মৃত্যুর পর কৈশোর,তারুণ্য, যৌবনে তাকে আগলে রাখা প্রিয় চাচা আবু তালেবকেও হারান তিনি। চাচা আবু তালেবকে হারানো বছরই তাকে ছেড়ে যান প্রিয় সহধর্মীনী খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা।
এছাড়াও জীবদ্দশায় নবীজিকে সইতে হয়েছে দুধ মা হালিমা, নিজের প্রিয় কন্যা, ছেলে, চাচা হামজা ও অনেক প্রিয় সাহাবিকে হারানোর শোক।
মানুষ হিসেবে প্রিয়জনকে হারানোর ব্যথা তাকেও কাতর করতো, শোকে অশ্রু গড়াতো তার চোখ দিয়ে। আপনজনকে হারানোর ব্যথায় চোখ দিয়ে অশ্রু গড়ানোর অনুমোদন ইসলামে দেওয়া হয়েছে। তবে বিলাপ করে কান্নাকাটির অনুমোদন নেই ইসলামে।
মাকে হারিয়ে কান্না
নবীজি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মা আমেনাকে হারান একেবারে শিশুকালে। মদীনা থেকে বাবার করব জিয়ারত করে ফেরার পথে এক রাতে আবওয়া নামক স্থানে তিনি তার মাকে হারান। নির্জন মরুভূতি মাকে হারিয়ে কেঁদে উঠেন শিশু মুহাম্মদ।
নবীজির মাকে আবওয়ায় দাফন করে কাফেলা মক্কায় ফেরার পথে যখন উম্মে আয়মান প্রিয় নবীর হাত ধরে মক্কার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি বারবার পেছনে ফিরে তাকাচ্ছিলেন, বারবার ছুটে যেতে চাইছিলেন মায়ের কবরের কাছে। (সিরাত ইবনে হিশাম : ১/১৬৭)
মায়ের কবর জিয়ারতের সময় নবীজির কান্না
শৈশবে মাকে হারানোর পর হিজরতের কয়েক বছর পর একবার সেই পথ দিয়ে সাহাবিদের নিয়ে যাচ্ছিলেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সাহাবিদের সেখানে অবস্থানের নির্দেশ দিয়ে তিনি মায়ের কবর পানে গিয়ে অঝোরে কাঁদতে লাগলেন। দীর্ঘক্ষণ মোনাজাত করে কাঁদলেন।
উপস্থিত সাহাবিরাও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ অবস্থা দেখে কান্না সংবরণ করতে পারলেন না। তারাও কাঁদলেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক, হাদিস : ৩২৯২)
দাদার মৃত্যুতে নবীজির কান্না
উম্মে আয়মান বলেন, মায়ের মৃতূর পর নবীজিকে দেখাশোনা, লালন-পালন করতেন দাদা আব্দুল মোত্তালিব। কিন্তু মাত্র আট বছর বয়সে দাদা আব্দুল মোত্তালিব মারা যান। দাদার মৃত্যুর পর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দাদার মাথার কাছে বসে কান্না করেন।
দুধ মা হালিমার মৃত্যুতে নবীজির কান্না
মক্কা বিজয়ের সময় নবীজির দুধ মা হালিমার বোন এসে নবীজিকে মা হালিমার ইন্তেকালের খবর দেন। মা হালিমার ইন্তেকালের খবরে নবীজির দুচোখ অশ্রুতে পূর্ণ হয়ে যায়। তিনি তার দুধ খালাকে কিছু কাপড়-চোপড়, সওয়ারীর জন্য উট এবং নগদ দুইশত দিরহাম দিয়ে বিদায় করেন।
ছেলের মৃত্যুতে নবীজির কান্না
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছেলে ইবরাহিমের (রা.) মৃত্যুর পর তিনি তাঁর নিষ্প্রাণ দেহ কোলে নিয়ে পিতৃস্নেহে কেঁদে ওঠেন। তখন সাহাবি হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) নবী কারিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কাঁদছেন? আপনি তো কাঁদতে নিষেধ করেছেন? উত্তরে তিনি বললেন, ‘না, অনিচ্ছাকৃত স্বাভাবিক কান্নাকে আমি নিষেধ করিনি। বরং দুই ধরনের কান্নাকে আমি নিষেধ করেছি এক. সৃষ্টিকর্তার প্রতি অভিযোগ করে কান্না করা; দুই. বিলাপ করে কান্না করা। মূলত চিত্কার করে, ইনিয়ে-বিনিয়ে, বুক চাপড়ে কাঁদা, মাতম করা এবং জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলা ইসলামের পদ্ধতি নয়। এগুলো জাহিলি যুগের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি। -(মুসলিম, ১৭ মিশকাত, ২৭)
মেয়ের মৃত্যুতে নবীজির কান্না
আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘মহানবী (সা.)-এর কন্যা উম্মে কুলসুম ইন্তেকাল করার পর, তার কবরের পাশে বসে ছিলেন, তখন তাঁর চোখ মোবারক থেকে অশ্রু ঝরছিল।’ (শামায়েলে তিরমিজি : ৩১২/৬)
প্রিয় সাহাবির মৃত্যুতে নবীজির কান্না
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, ‘উসমান ইবনে মাজউন (রা.)-এর মৃত্যুর পর মহানবী (সা.) তাঁর ললাটে চুম্বন করেন। তখন মহানবী (সা.)-এর চোখ থেকে অশ্রু ঝরছিল।’ (শামায়েলে তিরমিজি : ৩১১/৫)
চাচা হামজার শাহাদাতে নবীজির কান্না
হামজা (রা.) ছিলেন রাসুল (সা.)-এর চাচা। রাসুল (সা.)-এর নবুয়তপ্রাপ্তির দ্বিতীয় বছর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। বয়সের দিক থেকে রাসুল (সা.)-এর থেকে দুই বছর, মতান্তরে চার বছরের বড়। হামজা (রা.) ছিলেন মক্কার প্রতাপশালী বীর। তার ইসলাম গ্রহণের সংবাদ যখন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে, তখন কাফিরদের মনোবল অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে।
উহুদ যুদ্ধে মক্কার কাফেরেরা তাকে মর্মান্তিকভাবে শহীদ করে। কাফিররা হামজা (রা.)-কে শহীদ করেই ক্ষান্ত হয়নি; বরং তার লাশের সঙ্গে নির্মম আচরণও করে। আবু সুফিয়ান (রা.)-এর স্ত্রী হিন্দাহ বিনতে উতবা (রা.) (তখন তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়জন অমুসলিম; মক্কা বিজয়ের পর তারা মুসলমান হন) নাক-কান কেটে তার চেহারাকে বিকৃত করে। বুক-পেট চিরে কলিজা বের করে। ক্ষোভে-ক্রোধে দাঁত দিয়ে চিবিয়ে ফেলে।
যুদ্ধ শেষে রাসুল (সা.) শহীদদের লাশ দেখতে যান। নির্মমভাবে শহীদ হওয়া চাচা হামজার লাশ দেখে কেঁদে ফেললেন এবং বলেন, চাচা, মহান আল্লাহ তোমার প্রতি দয়া করুন! তুমি ছিলে আত্মীয়তার বন্ধনকারী, সৎকর্মপরায়ণ। তোমার বোন সাফিয়্যা হয়তো সহ্য করবে না, না হয় আমি তোমার লাশ দাফন না করে এভাবে ফেলে রাখতাম, পশু-পাখি তোমাকে খেয়ে ফেলত, (যাতে হত্যাকারীর প্রতি আল্লাহর রাগ প্রকট হতো) আর কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের পেট থেকে তোমাকে জীবিত করতেন। এরপর দীপ্ত শপথ করে বলেন, অবশ্যই তোমার প্রতিশোধ হিসেবে আমি কাফিরদের ৭০ জনকে নাক-কান কেটে বিকৃত করব। এই শপথের কিছু সময় পরেই সুরা নাহলের ১২৬ ও ১২৭ নম্বর আয়াত নাজিল হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ করো, তবে ওই পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদের কষ্ট দেওয়া হয়। যদি সবর করো, তবে তা সবরকারীদের জন্য উত্তম। আপনি সবর করবেন। আপনার সবর তো আল্লাহরই সাহায্যে। তাদের জন্য দুঃখ করবেন না এবং তাদের চক্রান্তের কারণে মনঃক্ষুণ্ন হবেন না।’ (সুরা নাহল, আয়াত, ১২৬ ও ১২৭)
এ আয়াত নাজিল হওয়ার পর রাসুল (সা.) ইরশাদ করলেন, আমি ধৈর্য ধারণ করব। তাই করলেন, কোনো প্রতিশোধ নিলেন না। কসমের কাফফারা আদায় করলেন। (আল-ইসতিআব ১/৩৭২-৩৭৪; আল-ইসাবা ২/১০৫)
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: উদ্ধার কাজে দুই প্লাটুন বিজিবি
- ১৭ বছর পর যাত্রীভর্তি ফ্লাইট নিয়ে নারিতা যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান
- ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী
- সিলেটের মাঠে হ্যাটট্রিক হারে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের
- অভিবাসীদের জন্য ভালো সুযোগ দিচ্ছে ইউরোপের যে দেশে
- বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন : ৩ পদে মনোনয়ন দিলেন ২২ প্রার্থী
- শাবি উপাচার্যের তথ্য ব্যবহার করে অর্থ চেয়ে সক্রিয় প্রতারকচক্র
- সিলেটে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
- এসআইইউ পরিদর্শনে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল
- জুড়ীতে হচ্ছে পুর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর, সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন
- পরকীয়ার জের, সুনামগঞ্জে বেড়াতে নিয়ে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুন
- ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের বাণিজ্য বন্ধ
- নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হলেন লিয়াকত শাহ ফরিদী
- পরিচয় মিলেছে মাধবপুরের দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের
- শাবিপ্রবিতে শিকড়ের দুই দিনব্যাপী পুনর্মিলনী শুরু
- ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ ঢাকায়
- দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে এবার আসছে ‘কৃষ ফোর’
- বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ
- ১২ কেজি এলপিজির দাম কমে ১৩৯৩ টাকা
- সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা বৃষ্টি বাড়ার আভাস
- সিলেটসহ সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় রোববার থেকে খোলা
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
- সিলেটে ২৭৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২
- ওসমানীনগরে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব : প্রধান বিচারপতি
- শ্রমিকের পাশে সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদ
- চা বাগানের প্রবেশমুখ থেকে মাদক সহ আটক ২
- নবীগঞ্জে শিলাবৃষ্টিতে ২২০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
- শ্রীমঙ্গলে মহান মে দিবসে চা শ্রমিক সমাবেশ ও আলোচনা সভা
- মিল্টন সমাদ্দার আটক, পৃথক তিন মামলা
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা
- একটি মহল দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না : এমএ মান্নান
- সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ
- জাউয়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি
- সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা বৃষ্টি বাড়ার আভাস
- বিশ্বনাথে মেয়র ও কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
- সিলেটে ভারতের কাছে বাংলাদেশের নারীদের হার
- ৮০% পাকলেই হাওরের ধান কেটে ফেলার পরামর্শ কৃষি অধিদপ্তরের
- কৃষি খাতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান সিসিক মেয়রের
- পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে দল