ব্রেকিং:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
রমজানে সিলেটসহ সারাদেশে নতুন সময়সূচিতে চলছে অফিস সিলেটে স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের আত্মহত্যা যুবকের! পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা, ইবাদত ও ফজিলত রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় জৈন্তাপুরে বাজার মনিটরিং চুনারুঘাটে দুর্ঘটনায় চাশ্রমিক-সন্তান নিহত অস্ত্রোপচারে দুর্ঘটনার দায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকের: স্বাস্থমন্ত্রী হাইতির প্রধানমন্ত্রী হেনরির পদত্যাগ গত ১৫ বছরে দেশের চেহারা বদলে গেছে : এম এ মান্নান এমপি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক রমজানের প্রথম তারাবিতে সিলেটে মুসল্লিদের ঢল রমজানে আবহাওয়া যেমন থাকবে সিলেটে?
৬০

যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার কতটা সুরক্ষিত?

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০২৩  

রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বিশ্বের প্রায় সর্বময় ক্ষমতাধিকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অভাগা বাঙালিদের জীবন অতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের একটা ব্যাপার! ১৯৭১ সালের বাঙালি গণহত্যা তার বলিষ্ঠ উদাহরণ! এছাড়া সম্প্রতি খোদ মার্কিন মুলুকে অভাগা বাঙালিদের প্রাণে মেরে ফেলার ঘটনাও বিষয়টির দিকে আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে!

এর ঠিক বিপরীতে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করা বা পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করা একশ্রেণির বুদ্ধিজীবীর কাছে নিষিদ্ধ ব্যাপার! ব্যাপারটি প্রাচীনকালে বৈদিক শাস্ত্রাদি সংস্কৃত ভাষা ব্যতীত বাংলা ভাষায় লেখা বা বলা নিষিদ্ধ থাকার সাথে তুলনাযোগ্য!

বলা হতো বাংলাভাষায় এইসব শাস্ত্রাদি কেউ লিখলে বা বললে তার স্থান হবে রৌরব নরকে! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেলায়ও সেই ধরনের একটা অদৃশ্য অথচ নিষিদ্ধ ব্যাপার একটু মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায়। পাশাপাশি, আমেরিকার নিজেদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু বললে কিছু রাজনৈতিক শক্তি বেশ পুলকিত বোধ করে থাকে! প্রসঙ্গক্রমে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়েই বর্তমান লেখাটি তৈরি করা হয়েছে। 

বিশ্বের ১৩০টিরও অধিক দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা আছে। মানবতা রক্ষার নামে তারা সেই সব দেশে কী করছে সেটা ভুক্তভোগীরাই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের ব্যাপারে ইউরোপের দেশগুলোও কম সোচ্চার নয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা মানবতার সেবা কতটুকু করছে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।

বর্তমান বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর অন্যতম পরাশক্তি হলো চীন। বিগত বছরগুলোয় তারা সামরিক এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছে। এই মুহূর্তে কোনো দেশ যদি মার্কিনিদের চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম হয় তাহলে সেই দেশ হলো চীন। এই চীনও মানবতা লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে তাদের কর্মের দ্বারা। বিশ্বে যেসব জাতি নির্মম নির্যাতন ও নিষ্পেষণের শিকার তাদের মধ্যে চীনের উইঘুর মুসলিমরা অন্যতম।

স্বায়ত্তশাসিত জিংজিয়াং প্রদেশের এই মুসলিম সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত হয়ে আসছে। প্রায় দশ লাখ উইঘুর মুসলিমদের চীন সরকার বিনা কারণে আটকে রেখেছে বন্দীশিবিরে। বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হলেও চীনা সরকার এটা অস্বীকার করেছে।

এমনিতেই চীনে মুসলমানেরা স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে না। রমজান মাসে রোজা রাখার ওপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলো এটা নিয়ে সোচ্চার হলেও চীনের তাতে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।

যাই হোক, আমরা বলছিলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতির কথা। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তের গুলিতে মোহাম্মদ আবুল হাশিম নামে আরেক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়।

স্থানীয় সময় রোববার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স শহরের কাছে কাসা গ্রান্দে এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এর আগে ১৮ জুলাই দেশটির মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্টলুইস শহরের হ্যাম্পটন অ্যাভিনিউয়ে একটি গ্যাস স্টেশনে গুলিতে মারা যান বাংলাদেশি ইয়াজউদ্দিন আহম্মদ।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, কাসা গ্রান্দে শহরের সানল্যান্ড জিন রোড ও ওয়েস্ট কংকোর্ডিয়া ড্রাইভের সানলাইট মার্কেটে একটি মুদি দোকানের মালিক ছিলেন হাশিম। ঘটনার দিন ডাকাতির উদ্দেশে দোকানে ঢুকে তাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ পৌঁছলে মেঝেতে হাশিমের নিথর দেহ পায়। ঘটনার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে ঘাতক হিসেবে সন্দেহভাজন এক দুর্বৃত্তকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রবাসী মাহাবুব রেজা রহিম জানান, ৬ বছরের এক ছেলে, ২ বছরের এক মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় বসতি গড়েছিলেন আবুল হাশিম। তার ৭ ভাই-বোন সবাই বাস করেন একই শহরে। এইদিকে আবুল হাশিমের সন্দেহভাজন এক ঘাতককে গ্রেফতারের সংবাদ পাওয়া গেলেও ইয়াজউদ্দিনের ঘাতককে এখনো পর্যন্ত খুঁজে না পাওয়ায় কমিউনিটিতে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটছে।

এই ঘটনায় এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। টুইট বার্তায় শাহরিয়ার আলম লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় আমরা শঙ্কিত। আবুল হাশিম নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এর আগে নিহত হন ইয়াজউদ্দিন আহমেদ। তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। উচ্চশিক্ষার খরচ চালাতে একটি গ্রোসারি শপে কাজ করতেন তিনি।

বাকশীমূল গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ জয়নাল হোসেন শামীম সাংবাদিকদের বলেন, আবুল হাশিম স্বপন কালিকাপুর গ্রামের জুলফিকার আলির ছেলে। তারা পরিবারের সবাই ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন। তার আরেক ভাই রোমান বাংলাদেশে থাকেন, তার কিছুদিনের মধ্যে আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধকিার পরিস্থিতি সম্পর্কে ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। যে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে মানবাধিকার রক্ষার উদ্ধারকর্তা হিসেবে দাবি করে সেই যুক্তরাষ্ট্রেই আর্থিক দুর্নীতি, বর্ণবৈষম্য, অস্ত্র এবং পুলিশি সহিংসতাসহ সম্পদ কুক্ষিগত করার ঘটনা অতি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যক্তি পর্যায়ে অস্ত্র রাখার নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র চরম শৈথিল্য প্রদর্শন করেছে। এর ফলে সেইখানে বন্দুক সহিংসতায় হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। বন্দুক নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেকের বেশি স্টেটে শৈথিল্য অবলম্বন করা হয়।

বিশ্বে বন্দুকের মালিকানা, বন্দুককেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড এবং এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যার ঘটনার দিক দিয়েও যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে অবস্থান করছে। ২০২২ সালে এইসব ঘটনায় ৮০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এই বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০টির বেশি ‘ম্যাস শুটিং’য়ের ঘটনা ঘটেছে। বন্দুককেন্দ্রিক সহিংসতা ‘যুক্তরাষ্ট্রের মহামারিতে’ পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলঙ্কিত মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের গড় আয়ু কমে গেছে। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং-এর সিনিয়র এডিটর রবার্ট এইচ. শ্মেরলিং-এর লিখিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যার গড় আয়ু ২০২০ সালে ৭৭-এ নেমে আসে এবং ২০২১-এ আরও নেমে ৭৬-এর বেশি হয়।

এটি ১৯২০-এর পর থেকে দুই বছরের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় হ্রাস। মাদকের অপব্যবহারের ফলে মৃত্যুর সংখ্যা সেখানে বেড়েই চলেছে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের অধীনে ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটিস্টিক্সের আগস্ট ২০২২-এ প্রকাশতি এক রিপোর্টে দেখা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গড় আয়ু ২ দশমিক ৭ বছর কমে ৭৬ দশমিক ১ বছরে নেমে এসেছে, যা ১৯৯৬ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মাদকের অপব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। এই কারণে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে ১০০,০০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। মাদকের অপব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্যতম ভয়াবহ জনস্বাস্থ্য সংকটে পরিণত হয়েছে।

নারীদের গর্ভপাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে সাংবিধানিক যে সুরক্ষা ছিল তা হারিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র শিশুদের বসবাসের পরিবেশ বেশ উদ্বেগজনক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২২ সালে, ১৮ বছররে কম বয়সী ৫৮০০টিরও বেশি শিশুকে গুলি করে আহত বা হত্যা করা হয়েছে এবং স্কুলে গুলি চালানোর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০২টিতে। এই সংখ্যা ছিল ১৯৭০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্রে শিশু দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়েছে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশে, ২০২২ সালের মে মাসে আরও ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে চলে গেছে। ২০১৮ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শিশুশ্রম লঙ্ঘনের ঘটনা প্রায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২২ অর্থবছরে বিপজ্জনক পেশায় নিযুক্ত শিশুর সংখ্যা ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মার্কিন শক্তির অপব্যবহার এবং একতরফা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। ২১ শতকের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস বিরোধিতার নামে ৮৫টি দেশে সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এর ফলে কমপক্ষে ৯ লাখ ২৯ হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং ৩৮ মিলিয়ন মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।

বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র বেশি একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এখনো ২০টিরও বেশি দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। যার ফলে সেইসব দেশের জনগণ মৌলিক খাদ্য এবং ওষুধ সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঔপনিবেশিকতা, বর্ণবাদী দাসত্ব, শ্রম, দখল ও বণ্টনের অসমতার ওপর প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অর্থনৈতিক বণ্টন প্যাটার্নের মিথস্ক্রিয়ায় সিস্টেমের ব্যর্থতা, শাসনের ঘাটতি, জাতিগত বিভাজনের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকান রাজনীতিবিদরা নিজেদের স্বার্থে কাজ করেন। এর ফলে তারা ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রতি সাড়া দেওয়া এবং সাধারণ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করার ইচ্ছা এবং বস্তুনিষ্ঠ ক্ষমতা হারিয়েছে এবং মানবাধিকারের নিজস্ব কাঠামোগত নানা সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তারা মানবাধিকারকে অন্য দেশগুলোয় আক্রমণ করার জন্য একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে সংঘাত, বিভাজন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং এইভাবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং এর রক্ষায় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বের যে দেশগুলো সবসময় মুখে মানবতা এবং মানবাধিকারের কথা বলে থাকে কার্যক্ষেত্র দেখা যাচ্ছে তাদের দ্বারাই মানবাধিকার সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘিত হচ্ছে। তবে বিশ্বের শান্তিকামী মানুষেরা সবসময় অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে। যে শান্তির আশায় বিশ্ব মানবতা আজ পথ চেয়ে বসে আছে জানি না সেই শান্তির দেখা কতদিনে মিলবে। তবে আমরা আশাবাদী। বৃহৎ শক্তিগুলো যত দ্রুত নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে শান্তির পথে অগ্রসর হবে তত দ্রুতই বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

অধ্যাপক অরুণ কুমার গোস্বামী ।। পরিচালক, সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, ঢাকা; সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, এবং সাবেক চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
 

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার