ফুঁসছে সুরমা-কুশিয়ারা

সিলেটে চলমান বন্যা পরিস্থিতি তেমন উন্নতি হয়নি। সুরমা ও কুশিয়ারার সবকটি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দিনভর এই দুই নদীর পানি কোথাও এক সেন্টিমিন্টার কমলেও অন্য পয়েন্টে বাড়ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে লোভা, সারি ও ডাউকি নদীর পানিও। গত ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকলেও কমেনি সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি। নদীর পানি না কমায় সিলেটবাসীর মধ্যে বন্যার শঙ্কা কাটছে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৭১ সে.মি. এবং   সিলেট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১৫২ সে.মি, এ নদীর শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি ৪৭, ১০৩ ও ১৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও সুরমা ও কুশিয়ারার পানি গত দুইদিন ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে।
 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  সিলেটের মধ্য দিয়ে বয়েচলা প্রায় সকল নদী পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় উজানের পানি ধীর গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। মূলত নদী ও হাওরগুলো পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিচ্ছে  সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি। যার ফলে পানিবন্দি এলাকাগুলোতে মানুষের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি আরো বেড়েছে।
 

 সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে  সিলেটে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪.৬ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তবে জুলাই মাস জুড়েই  সিলেটে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।