ওসমানী হাসপাতালকে দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জনদুর্ভোগ লাঘব ও দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সিলেট কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে দেয়া এ স্মারকলিপি পরিচালকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্ত্তী।

সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সিকস’র কার্যকরী কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সিবিযুকস’র মহানগর কমিটির সভাপতি হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, ও সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ মুখতার আহমেদ তালুকদার, সিকস’র কার্যকরী কমিটির সদস্য ও সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুসাইন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মকবুল চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মো. ফুজায়েল আহমদ, সিবিযুকস’র জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মো. আশরাফ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আল গালিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. উজ্জ্বল আহমদ, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সিবিযুকস’র মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রাসেল, প্রচার সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু, সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকারকর্মী তোফায়েল আহমদ, রফিকুল ইসলাম সিতাব, মকছুদুল মোমিন,  মোহাম্মদ সাজ্জাদুজ্জামান বাবলু, ডা. মো. টুনু মিয়া আনছার, নাহিদুল ইসলাম পারভেজ ও শাহীন আহমেদ। স্মারকলিপিতে বলা হয়- সিলেট বিভাগের সর্বসাধারণের একমাত্র ভরসার চিকিৎসাকেন্দ্র সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

 সর্বস্তরের নাগরিকদের প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার নামে চলছে রমরমা ব্যবসা। অসহায় ও সর্বসাধারণ রোগীদের সরকারিভাবে চিকিৎসাসেবাসহ ফ্রি ওষুধ পাওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে তা পাচ্ছেন না রোগীরা। ওসমানী হাসপাতালের পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ব্যবসায় পরিণত করা হয়েছে। সর্বাবস্থায় সর্বস্তরের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ছাড়া আর কেউই চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারছেন না। তারা বলেন. গেটে আনসার-দারোয়ানদের অনাকাঙ্ক্ষিত চাঁদা আদায় বাণিজ্য। হাসপাতালে আসা অসচ্ছল রোগীদের হাসপাতালে থাকা সরকারি ওষুধ না দিয়ে বাহিরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ ক্রয় করতে বাধ্য করা হয়। রোগীর স্বজনরা অসহায় ও নিরূপায় হয়ে ডাক্তার, নার্স, ব্রাদার, আয়া, বুয়া ও ওয়ার্ডের  গেটম্যান এর নির্দেশ এবং হুমকি-ধমকিতে বাইরে থেকে আনতে বাধ্য হয়।

এমনকি রোগীর কোনো স্বজন সামান্য অভিযোগ করলে হাসপাতালের ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবায় কর্তব্যরতরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দুর্ব্যবহার করে। যথাসময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক না পাওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত রোগীদের মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ওসমানী হাসপাতালে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অপারেশন থিয়েটারে রোগীকে ঢুকানোর পরপরই ভেতর থেকে শুধু অপারেশন সম্পৃক্ত ওষুধের একের পর এক স্লিপ ও প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় সার্জারি সামগ্রীর নাম লিখে দেয়া হয়, যা রোগীর স্বজনদের বাধ্য হয়ে আনতে হয়। অপারেশন থিয়েটারের আশেপাশে ফার্মেসির দালালরা সাধারণ রোগীদের স্বজনদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সর্বস্বান্ত করে ছাড়ে।