ধর্মপাশায় ইউপি ভবনের ভঙ্গুর দশা 

ভবনের নিচ থেকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে মাটি। ফলে একাধিক কক্ষের মেঝে ও দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। কোনো কোনো কক্ষের মেঝের অনেকাংশ ধসে গেছে। উঠে গেছে বারান্দার পলেস্তারা। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের এমন বেহাল দশা। তবুও ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন কক্ষে ও বারান্দায় দাপ্তরিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। 

২০১৪-১৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে দ্বিতল বিশিষ্ট সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউপি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। মেসার্স আনোয়ারা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কাজ সম্পন্ন করে। ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর ভবনটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের কয়েক বছর পর থেকেই ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিতে শুরু করে। এরই মধ্যে ভবনের ১৪টি কক্ষের মধ্যে ১০টি কক্ষের মেঝের কিছু কিছু অংশ ধসে গেছে এবং অধিকাংশ জানালা ভেঙে গেছে। ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে চারটি টয়লেট। প্রতিরক্ষা দেয়াল না থাকায় ভবনটি বর্ষায় থাকে ভাঙন ঝঁুকিতে। তবুও এখন পর্যন্ত ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি এলজিইডি। ফলে যে কোনো সময় ভবন ধসে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিউল মিয়া বলেন, এই ইউনিয়ন পরিষদে বসার মতো কোনো পরিবেশ নেই। যা খুব দুঃখজনক। 

সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন বলেন, বারান্দায় দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে হয়। দরজা—জানালা ভাঙা। সভাকক্ষ ভেঙে গেছে। দ্রুত মেরামত না করা হলে ভবনটি পরিত্যাক্ত হয়ে যাবে। নিজস্ব অর্থায়নে বর্ষায় বাঁশ খড় দিয়ে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করতে হয়। তাই প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করা জরুরি। এলজিইডিতে বারবার জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।

উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন বলেন, ইউপি ভবনটি মেরামতের জন্য প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে। যা দ্রুত সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ ইউনিয়ন পরিষদ সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।