• রোববার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৯ ১৪৩০

  • || ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
পুলিশের প্রচেষ্টায় মা-বাবার কাছে ফিরলেন সুমি দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলিতে বিশ্বনাথের কিশোর নিহত সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রধান আসামি বাবুর হাইকোর্টে জামিন জকিগঞ্জে পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া শিশু উদ্ধার, পিতাসহ গ্রেফতার ৪
৫৩

ব্রিজের উপর কাঠের সাঁকো, ঝুঁকিতে ৫ গ্রামের বাসিন্দা

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ৬ মে ২০২৩  

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের পৈরঘোজা খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটির এক অংশ ভেঙে পড়েছে। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে ৫ট গ্রামের বাসিন্দারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে। ঝুঁকি নিয়েই ব্রিজের উপর দিয়ে চলছে ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা। যেকোনো মুহূর্তে ব্রিজটি পুরোপুরি ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের  দুর্ঘটনা। আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয়দের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরনো এই ব্রিজ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তবুও সংস্কার করা হয়নি। গত বছর হঠাৎ একদিন ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন লতাচাপলী ইউনিয়নের মম্বিপাড়া, নতুন বাজার, বড়য়ারপাড়া, পৈরঘোজাসহ ৫ থেকে ৭ গ্রামের মানুষ চলাচল করে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট চওড়া ব্রিজের এক অংশ ভেঙে নিচে পড়ে আছে। আর ভাঙা ব্রিজের উপর দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। স্থানীয় সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী জসিম মুসল্লি ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে ব্রিজটির ভাঙা  অংশের উপরে কাঠ দিয়ে অস্থায়ীভাবে কাঠের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছেন। এতে মোটামুটি চলা যায় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মেল্লা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে ব্রিজের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আসলে বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার হচ্ছে এই ভাঙা ব্রিজ দিয়ে।

মম্বিপাড়া এলাকার ইজিবাইক চালক কবির বলেন, আমাদের কি করার আছে। ব্রিজ ভেঙে গেছে প্রায় এক বছর হলো। এখন বাধ্য হয়েই আমরা ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করি।

শিক্ষার্থী লাবিব হালিম সাগর শাহেলাসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, এক বছর ধরেই আমরা এই ভাঙা ব্রিজ পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করি। তবে ব্রিজ পার হতে ভয় লাগে। বৃষ্টি হলে হেঁটে পার হওয়া খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন আমাদের বিদ্যালয়ে যেতে খুব কষ্ট হয়। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি যেন খুব দ্রুত আমাদের এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলেন, এই ব্রিজটি এই মুহূর্তে নতুন করে তৈরি করার মতো বাজেট নেই আমাদের। তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা ব্রিজটির যে অংশটুকু ভেঙে গেছে সেই অংশ মেরামত করব। ইতোমধ্যে রিপেয়ারিং করার জন্য কাগজপত্র সাবমিট করা হয়েছে। এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্রিজটির কাজ শুরু করব। 

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার