সাফারি পার্কে সংকটাপন্ন এক বাঘিনী !

গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এক বাঘিনী গুরুতর অসুস্থ হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। অন্তত ১০ দিন ধরে অনাহারে থাকছে অসুস্থ স্ত্রী বাঘটি। কিছুদিন সাময়িক সুস্থ হলেও সপ্তাহ আগে আবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে খাবার ছেড়ে দেয় বাঘিনীটি।

প্রাথমিক অসুস্থতা ধরা পড়ার পর থেকে পার্কের বন্যপ্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রে রেখে নিবিড় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাকে।

মঙ্গলবার দুপুরে একটি সূত্র বাঘ অসুস্থের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে সন্ধ্যায় বাঘের অসুস্থতার বিষয়টি পার্ক কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে। তাদের দাবি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে।

সূত্র জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নারী বাঘটির অসুস্থতা চোখে পড়ে। এরপর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অসুস্থ বাঘিনীটি ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে সেটি পার্কের বাঘ বেষ্টনীর পাড়ে নির্মিত খাঁচায় আটকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে রক্তের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে চলে অসুস্থ বাঘটির চিকিৎসা। একপর্যায়ে গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাঘটি অল্প অল্প খাবার খাওয়া শুরু করে। চলতি মাসের ৬ মার্চ পর্যন্ত হালকা খাবার খাওয়া অব্যাহত রাখে। কিন্তু ফের ৭ মার্চ থেকে আবারো খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেয়। সপ্তাহ ধরে বাঘিনীটির শারীরিক অবস্থা খুব সংকটাপন্ন ।

সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার আনিসুর রহমান জানান, ‘রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গেছে এটি ট্রিপোনোসোমিয়াসিস, লিভার ডিজিজ ও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের সাবেক প্রধান ভেটেরিনারি অফিসার এবিএম শহীদুল্লাহ স্যারের এর পরামর্শে চিকিৎসা চলছে। পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসা দিচ্ছেন’।

তিনি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সার্বক্ষণিক শারীরিক অবস্থা জানাতে যোগাযোগ রাখছেন।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসিএফ) রফিকুল ইসলাম বাঘ অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, অসুস্থ বাঘটির (স্ত্রী) রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগে পরীক্ষা করা হয়েছে। গুরুত্ব দিয়ে এর চিকিৎসা চলছে। বিশেষজ্ঞ টিম নিয়মিত তত্ত্বাবধানে পরিচর্যা চলছে। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে বাঘিনীটি।