বিপজ্জনক সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত ৬ মাসে এ মহাসড়কের সিলেট থেকে ভৈরব অংশে দুর্ঘটনায় শতাধিক লোকের প্রাণহানি হয়েছে।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বুয়েট)-এর এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী মো: সাইফুন নেওয়াজ জানান, বিপজ্জনক বাঁক, রোড মার্কিংয়ের অভাব, ফিডার রোড (পার্শ্ব রাস্তা) এবং সড়কে অটোরিক্সার দাপট-এ মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ার মূল কারণ। এ চারটি কারণের পাশাপাশি এই রোডে দুর্ঘটনার জন্য আরো কিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন তিনি।

তার মতে, ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে গাড়ি চালানো, অতিদ্রুত বা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, গতিসীমা অনুসরণ না করা, মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বা মালামাল বহন করা, রোড সাইন, মার্কিং ও ট্রাফিক সিগন্যাল সম্পর্কে ধারণা না থাকা বা ধারণা থাকলেও তা মেনে না চলা, ওভারটেক, সামনের গাড়ির সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রাখা, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চালানো, চালকের পরিবর্তে হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো, ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে গাড়ি চালানো, প্রয়োজনীয় বিশ্রাম না নিয়ে অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় একটানা গাড়ি চালানো, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, শিক্ষার স্বল্পতা, অপর্যাপ্ত ট্রেনিং ও অনভিজ্ঞতাকেও দুর্ঘটনার পেছনের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনায় সাবেক অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কবি মমিনুল মউজদিন এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইফতেখার হোসেন শামীমও প্রাণ হারান।