পারিবারিক বিরোধের জেরে সিলেটে বাড়ছে হত্যাকাণ্ড
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সোমবার সকালে নিজ বাড়ির পাশের একটি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ৫ বছরের শিশু তুহিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় মরদেহের পেটে দুটি ছুরি গাঁথা ছিলো এবং কান ও লিঙ্গ কাটা। লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডে শিশুর বাবা ও চাচা জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে চাচা ও চাচাতো ভাই এ ব্যাপারে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এরকম পারিবারিক ও সামাজিক অপরাধ সিলেটে উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলছে। বাড়ছে হত্যাকান্ডও। এমন হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত সাড়ে তিন বছরে সিলেট বিভাগে মামলা হয়েছে ৭৭৩টি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম্পত্য কলহ, নির্যাতন, অনৈতিক সম্পর্ক, বিবাহ বিচ্ছেদ, আধিপত্য বিস্তার ও গ্রাম্য বিরোধের জেরে ছোটখাটো সমস্যা থেকে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হচ্ছে। গ্রাম্য বিরোধের জেরেই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দিরাইয়ের শিশু তুহিনকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সামাজিক অস্থিরতার কারণে সামাজিক ও পারিবারিক অপরাধ বাড়ছে। এসব অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্তরা কেউই পেশাদার অপরাধী নন। তাই এসব অপরাধের ক্ষেত্রে বিচারিক প্রক্রিয়া তেমন কোনো ভূমিকা রাখে না। অপেশাদার অপরাধীদের ক্ষেত্রে শুধু আইন ও বিচারের মাধ্যমে এ অপরাধ প্রবণতা কমানো যাবে না বলে মনে করেন তারা।
সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডই ঘটছে ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিরোধের জেরে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এসব হত্যাকাণ্ড বেশি ঘটছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থার গাফিলতিতেও এসব অপরাধ বাড়ছে বলে ধারণা সংশ্লিস্টদের।
সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, ‘গত তিন বছরে সিলেট বিভাগে যে হত্যাকান্ডগুলো ঘটেছে তার বেশিরভাগই পারিবারিক ও সামাজিক বিরোধ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পারিবারিক সংর্ঘষে নৃশংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণ হচ্ছে সামগ্রিক অস্থিরতা। আগে সমাজের প্রভাবশালী কম ছিল। দুই একজন যারাই নেতৃত্ব দিতেন অন্যরা মেনে নিতেন। এখন সে নেতৃত্ব কাজ করছে না।’
পুলিশের সিলেট রেজের ডিআইজি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে সিলেট জেলায় হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে ৫০টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৪৬টির, ২০১৬ সালে খুনের মামলা হয়েছে ৪০টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২৯টির, ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে ৫২টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৩৫টির এবং ২০১৮ সালের মামলা হয়েছে ৩৫টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২টির।
২০১৫ সালে হবিগঞ্জ জেলায় খুনের মামলা হয়েছে ৮৯টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৭০টির, ২০১৬ সালে মামলা হয়েছে ৭১টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৫৭টির, ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে ৮৭টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৫৩টির এবং ২০১৮ সালের মামলা হয়েছে ২৫টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ১টির।
২০১৫ সালে সুনামগঞ্জ জেলায় খুনের মামলা হয়েছে ৪৮টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৩৮টির, ২০১৬ সালে হত্যাকান্ড মামলা হয়েছে ৫৩টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৪৩ টির, ২০১৭ সালে হত্যাকান্ড মামলা হয়েছে ৫৬ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৩২ টির এবং ২০১৮ সালে মামলা হয়েছে ১১ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২টির।
২০১৫ সালে মৌলভীবাজার জেলায় খুনের মামলা হয়েছে ৫০টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৩৭ টির, ২০১৬ সালে হত্যাকান্ড মামলা হয়েছে ৪২ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২৮ টির, ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে ৪৯ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২২ টির এবং ২০১৮ সালে মামলা হয়েছে ১৫ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ১টির।
তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা প্রসঙ্গে সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, ‘মামলার চার্জশীট দেয়ার ক্ষেত্রে নিদিষ্ট কোনো সময়ের বিধান নেই। তবে যা দিয়ে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া চলে সেটি ১২০ দিনের মধ্যে দিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে তদন্ত রির্পোট না গেলে কোর্ট আসামিকে জামিন দিয়ে দিতে পারে।’
তবে হত্যা মামলার ক্ষেত্রে ১২০ দিনের মধ্যেই তদন্ত কাজ শেষ হয়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চার্জশীটের ক্ষেত্রে পুলিশের সমস্যা হয় ময়না তদন্ত ও মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে। এসব ঘটনায় মামলায় নিহতদের পাশাপাশি আহতরা যেসব জায়গা থেকে চিকিৎসা নেন ওই সব জায়গা থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট গুলো নিতে সময় লেগে যায়। এছাড়া ক্লুলেস মামলাগুলোর ক্ষেত্রে চার্জশীটের জন্য কোনো টাইম ফ্রেইম দেয়া যায় না।’
চার্জশীট বিলম্ব হওয়ার আরেকটি কারণ আদালতে চার্জশীটের বিরুদ্ধে নারাজি দেয়া উল্লেখ করে অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, ‘বাদী চার্জশীটে সন্তুষ্ট না হলে সে চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেয়। নারাজি দিলে কোর্ট এটা গ্রহন করতে পারে আবার না ও করতে পারে। নারাজি আবেদন নিয়ে চার্জশীট পর্যালোচনা করে যদি আদলত সন্তুষ্ট হয় তাহলে কোর্ট নারাজি খারিজ করে দিতে পারে। যদি আদালত মনে করে এখানে আরো তদন্তের বিষয় আছে তখন নির্দিষ্ট পয়েন্ট উল্লেখ করে পাঠানোর নিয়ম আছে। তবে এখন এ নিয়ম অনুসরন করা হচ্ছে না। পয়েন্ট উল্লেখ না করে পূর্ন তদন্তের জন্য দিয়ে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে আবার নতুন করে চার্জশীট দিতে হয় । এ জন্যই চার্জশীট প্রক্রিয়ায় আরও দীর্ঘ হয়ে যায়।’
পুলিশ চার্জশিট দিলেই বিচারক মামলা শেষ করতে পারছেন না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মূলত চার্জশীট প্রক্রিয়াটি দেরি হয় কোর্টে যাওয়ার পর। আমাদের তদন্ত শেষ হয় তিন মাসে না হয় ৬ মাসে কিন্তু কোর্টের বিচারকার্যে দীর্ঘ প্রক্রিয়া লাগে। একটি মামলার রায় আসতে ৮ থেকে ১০ বছর লেগে যায়।’
এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায়ও কারণ দেখানো হয় পুলিশ স্বাক্ষী হাজির করে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ স্বাক্ষি ঠিকই হাজির করে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই বাদী বিবাদী ও কোর্টের জটিলতায় স্বাক্ষি ফেরত যায়। যে স্বাক্ষী একবার ফেরত যায় ওই স্বাক্ষীকে আবার কোর্টে আনা খুব মুশকিল। এসব বিচারিক প্রক্রিয়ায় র্দীঘ দিন লাগার কারনে, ঘটনার পর পর মানুষের মনে যে প্রতিশোধ নেয়ার ইচ্ছা থাকে সেটা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। তাছাড়া এসব সামাজিক ও পারিবারিক অপরাধ যেহেতু পরিবারে আরেক সদস্য ঘটায় তাই তারা কিছুদিন পর মিলে যায়।
তিনি বলেন, ঘটনা ঘটার পর মামলা করলেও কিছুদিন পর বাদি বিবাধি মিলে গেলে কেউ কোর্টে যেতে চায় না। এর মধ্যে যারা বিচার প্রার্থী আছেন তাদের বিচার পাওয়ার মানসিকতা হারিয়ে যায় বিচারিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লাগার কারণে। এরপর তারা নিজেদের মধ্যে সালিশে সমঝোতা করে ফেলেন। বিচার দ্রুত হলে এসব ঘটনা সালিশে শেষ করার প্রয়োজন হতো না।’
- প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ
- বাংলাদেশে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু ৩ অক্টোবর, সূচি ঘোষণা
- ঢাকায় যানজটের ‘হার্ট পয়েন্ট’ চিহ্নিত, নতুন উদ্যোগ ডিএমপির
- জৈন্তাপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
- এবার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে প্রাণ গেলো সাবেক সেনা সদস্যের
- বিশ্বনাথে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে এবার কাউন্সিলর রফিকের মামলা
- এবার সিলেটে কমেছে হজযাত্রী ও ফ্লাইট সংখ্যা
- পরিবেশ সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ সহায়তার আশ্বাস তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
- ডিবির অভিযানে সিলেটে ৬ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার
- মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে
- রোববার থেকে খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- সুন্দরবনে ভয়াবহ আগুন, ২ কিলোমিটার জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
- হাওরে কৃষক ছাউনি নির্মাণের দাবি এরাকাবাসীর
- কানাইঘাটে একইদিনে পৃথক দুর্ঘটনায় ফুফু-ভাইজির মৃত্যু
- কমলগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন হারভেস্টার ও গাছের চারা বিতরণ
- সিলেটে রোভার স্কাউটস মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ সম্পন্ন
- ফের লন্ডনের মেয়র হলেন সাদিক খান
- জৈন্তিয়ার প্রাচীন পুরাকীর্তি সংরক্ষণের দাবি ভারতীয় অধ্যাপকের
- আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাত নেই : ওবায়দুল কাদের
- বাংলাদেশের সংবিধানে সংখ্যালঘু বলে কোনো শব্দ নেই : এমপি নাদেল
- `উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি`
- ২ কোটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল হোয়াটসঅ্যাপ, কিন্তু কেন?
- বেশি ঘুমালে কি ওজন বাড়ে?
- মুসলিমদের একাত্মতায় ফিলিস্তিন সংকট সমাধান সম্ভব :পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- মোবাইল ব্যাংকিং যেভাবে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছে
- সিলেটসহ সাত জেলার ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
- সিলেটে বিলের পানিতে পড়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- মাধবপুরে বাইসাইকেল চুরির অভিযোগে দুই নৈশপ্রহরী গ্রেফতার
- স্বদেশে ফেরত গেলো প্রেমের টানে সুনামগঞ্জে আসা ভারতীয় যুবতী
- সিলেট বিভাগীয় নৃত্য উৎসবের উদ্বোধন
- সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি, মাদকদ্রব্য জব্দ
- মাধবপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
- পীরের বাজারে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ সংঘর্ষে আহত ৬
- খেলাধুলাও বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে উচ্চ করেছে : শফিক চৌধুরী
- কানাডায় উচ্চশিক্ষা: সিলেটিদের যা জানা জরুরি
- সিলেট নগরীতে চোরাই মোটরসাইকেলসহ যুবক আটক
- এপ্রিলের গরমে সিলেটের জনজীবনে অস্বস্তি
- চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সম্পাদক ডিপজল
- ৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- এমপি হাবিব’র উদ্যোগ : প্রত্যেক ইউনিয়নে হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম
- পাগলা মসজিদের ৯ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা
- একটি মহল দেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না : এমএ মান্নান
- সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ
- জাউয়া বাজারে ১৪৪ ধারা জারি
- সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা বৃষ্টি বাড়ার আভাস
- বিশ্বনাথে মেয়র ও কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
- সিলেটে ভারতের কাছে বাংলাদেশের নারীদের হার
- ৮০% পাকলেই হাওরের ধান কেটে ফেলার পরামর্শ কৃষি অধিদপ্তরের
- কৃষি খাতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান সিসিক মেয়রের
- পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে দল