বেড়িবাঁধে ভাঙ্গণ : জকিগঞ্জে প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
সিলেট সমাচার
প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২৪
সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার চারটি ডাইক দিয়ে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় জকিগঞ্জ উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সেখানে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। দুর্ভোগে রয়েছেন সেখানকার লক্ষাধিক মানুষ। সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলো থেকে পানি নামতে থাকলেও ভাটির উপজেলাগুলোতে পানির চাপ বাড়ছে। এদিকে, সিলেটে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমলেও সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ৬টি পয়েন্টে এখনো বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের(পাউবো) তথ্য মতে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৭১ সে.মি. এবং সিলেট পয়েন্টে ৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১৫২ সে.মি, শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৭, ১০৩ ও ১৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪.৬ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, জুলাই মাস জুড়েই সিলেটে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, দীর্ঘ বন্যায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও হাওর এলাকায় বন্যার পানি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে বানভাসিদের। গ্রামীণ সড়ক ডুবে থাকায় চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। হাওরে ঢেউ ও পানির ¯্রােতে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনিশ্চিত মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাজারো পরিবার। সরকারের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের সহায়তা প্রদানের দাবি করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান কানাইঘাট উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সিলেটের ১৩ টি উপজেলার ৯৬ টি ইউনিয়নের ১ হাজার ১৮৯ টি গ্রামের ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৫ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত রয়েছেন। আর এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ৯ হাজার ৩৬৭ জন মানুষ।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের (আইএমডি) ওয়েব সাইট থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর এর আগেরদিন ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
জকিগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, সিলেটের জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে গ্রাম এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হচ্ছে। এ উপজেলার চারটি এলাকা দিয়ে কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে বানের পানি লোকালয়ে ঢুকে ভেসে গেছে বিপুল সংখ্যক পুকুর ও ফিসারীর মাছ। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাটসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জকিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, জকিগঞ্জ-সিলেট ও শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কের একটি অংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত জকিগঞ্জের আমলশীদে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীতে পানি তিন সেন্টিমিটার কমলেও লোকালয়ে বাড়ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে লোকজন পানিবন্দি হচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ছবড়িয়া, রারাই, বাখরশাল, পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের নরসিংহপুর এলাকার ডাইক ভেঙে পানি লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করে। ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ লোকজন ডাইক টিকিয়ে রাখার প্রাণপন চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেননি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিম্নাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ সময় সময় বেড়েই চলেছে। পানিতে গ্রামের রাস্তাঘাট, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, গোরস্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। বানভাসি লোকজন ত্রাণ সহায়তা তেমন একটা পাচ্ছেন না। অনেকের ঘরে হাঁটু পানি কিংবা কোমর পানি। বাড়িঘর ছেড়ে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রসহ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। চলমান পরিস্থিতিতে রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, পানিবাহিত রোগবালাই ও গবাদিপশুর খাবার সংকটে চরম দুর্ভোগে বানভাসিরা।
বানভাসি লোকজন অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে বারবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। আমন ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা তিনবারের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সহজেই সম্ভব হবে না। গৃহপালিত পশু পাখি নিয়েও চরম বেকায়দায় রয়েছেন। ত্রাণ সহায়তা গ্রামের ভেতরে যাচ্ছে না। নৌকা না থাকায় চলাচলে চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসলিম জানান, মূলত প্রথম দিকের বন্যায় ডাইকগুলো ভেঙ্গে যায়। পরে এগুলো অস্থায়ীভাবে মেরামত করা হয়। বর্তমানে এসব ডাইক দিয়ে পানি ওভার ফ্লো করছে। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি এখনো অবনতির দিকে। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ১০২টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। অনেকে বাড়িতে পানিবন্দি অবস্থায় আছে। তাদেরকে উদ্ধারে বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ট্যাগ অফিসাররা কাজ করছেন। আগের বন্যার সময় প্রশাসনের স্টকে থাকা শুকনো খাবার দুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কোম্পানীগঞ্জ : নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমেছে। ফলে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। উপজেলা পরিষদ মাঠ, থানা কম্পাউন্ড, থানাবাজার, ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে পানি নেমে গেছে। তবে, উপজেলার নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট এখনও পানিতে নিমজ্জিত আছে। নৌকায় চলাচল করছেন বানভাসিরা। শিমুলতলা গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা পানির মধ্যে বাস করছে। মুজিবনগরের বাসিন্দারা আছে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে।
এদিকে, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বানভাসিরা। গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। টিউবওয়েল ডুবে থাকায় অনেক এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছে লোকজন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, তৃতীয় দফা বন্যায় উপজেলার ৯১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তাদের জন্য ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র করা হলেও দুইটি কেন্দ্রে ৩৯ জন আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যা দুর্গতদের মাঝে এ পর্যন্ত ১৪০ মেট্রিক টন চাল এবং ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। জিআর নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। শিশু খাদ্যের জন্য বরাদ্দকৃত ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং গো-খাদ্যের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, বানভাসিদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। আরও ত্রাণের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তÍুত আছে। সেচ্ছাসেবীরাও মাঠে কাজ করছেন।
সুনামগঞ্জ : জেলা প্রতিনিধি জানান, নদীতে ধীরগতিতে পানি কমলেও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছেন। দ্বিতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দী জেলার সুনামগঞ্জ সদর,বিশ্বম্ভরপুর,দোয়ারাবাজার, ছাতক, জগন্নাথপুর, শান্তিগঞ্জ, তাহিরপুরসহ ৭ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।
এদিকে, বন্যার স্থায়িত্ব বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘর, রাস্তাঘাটে পানি থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় খাবার ও তীব্র খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখা দিয়েছে। নতুন করে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সমতল হ্রাস পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা উজানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় ফের নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।
এদিকে, নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও হাওর এলাকায় বন্যার পানি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে বানভাসিদের। সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামীণ সড়ক ডুবে থাকায় চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। হাওরে ঢেউ ও পানির ¯্রােতে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনিশ্চিত মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাজারো পরিবার। সরকারের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের সহায়তা প্রদানের দাবি করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা। ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি বেসরকারি সহযোগিতার প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। শহরের পশ্চিম হাজিপাড়ার বাসিন্দা রতন উদ্দিন বলেন, আজ ২০ দিন ধরে পানিবন্দী। পানি কমার কোনো নাম নেই। আর সহ্য হয়। না খাইতে সুবিধা না চলাচল করতে সুবিধা। অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছি আমরা।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের মিছকন আলী বলেন, অনেকের ঘরে পানি উঠছে। রান্নাবান্না বন্ধ। প্রথম দিকে চেয়ারম্যান কয়েক কেজি চাল দিয়েছিলেন। এতোদিন ধরে পরিবার নিয়ে কষ্টে আছি। তেমন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। আকাশের যে অবস্থা। বৃষ্টি হলে আতঙ্কে থাকি। কোন সময় কি হয়।
অপরদিকে, নতুন করে বাড়িঘরে পানি উঠায় জেলার ৫০ টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দুই হাজার মানুষ বসবাস করছেন। বানভাসিদের
আশ্রয়ে জেলায় মোট ৭৭৭ কেন্দ্র প্রস্তÍুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। আশ্রয় কেন্দ্র ও বন্যার্ত এলাকায় প্রয়োজন অনুসারে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলার ১২ উপজেলায় বন্যা মোকাবেলায় ১৩৩৪ মেট্রিক টন চাল, ২৬ লাখ ১০ হাজার জি আর, নগদ ১০ লাখ করে গোখাদ্য ও শিশুখাদ্য এবং ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় বিতরণ কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
মৌলভীবাজার নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, চলমান বন্যায় মৌলভীবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে নদীর তীরে ও নিম্নাঞ্চল প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উপকারভোগীরা। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইজপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, মনু নদী পাড় ঘেঁষে বাইরের অংশে (নদী তীরে) স্থাপন করা এই প্রকল্পের প্রায় সব ঘরে পানি উঠেছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। তারা পার্শ্ববর্তী মাইজপাড়া মাদ্রাসায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে ৩ বার বন্যা হওয়ায় অর্থনীতিকভাবে তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসময় ইমন মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বার বার বন্যার কারণে আমাদের আসবাবপত্র সব নষ্ট হয়ে যাচেছ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্টের মধ্যে আছি। ঘর পানিতে তলিয়ে গেলে অফিসাররা এসে ১০ কেজি চাল দিয়ে ছবি তুলে চলে যান। কিন্তু, এটার স্থায়ী সমাধান নিয়ে কেউ কিছু বলেন না। আমরা ত্রাণ চাই না, বন্যার স্থায়ী সমাধান চাই। সোফা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন বন্যার কারণে অনেকেরই নানা রোগ দেখা দিয়েছে। আমরা এ থেকে পরিত্রাণ চাই। নদী তীরবর্তী শাহবন্দর আশ্রয়ণ প্রকল্পে গেলেও দেখা যায় মানুষ অন্যত্র চলে গেছেন। জেলার রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখার আশ্রয়ণ প্রকল্পের তলিয়ে যাওয়া ঘরের একই হাল ।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বনিতে সালাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই ঘর নিয়ে আমিও চিন্তা করছি। এ ঘর গুলোকে আগামীতে কিভাবে দুর্যোগ ও বন্যা থেকে রক্ষা করা যায়; সে লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখব। ঘর নির্মাণে সময় উপযুক্ত জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে-কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখন আমি ছিলাম না। তৎকালীন কর্মকর্তারা কিভাবে করছেন আমি বলতে পারছি না।
- কানাডা-অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে এনআইডি কার্যক্রম
- প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সংরক্ষণ করতে হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা
- সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরি স্বামীসহ গ্রেপ্তার
- ৩ কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়নের বিষয়টি ভিত্তিহীন
- শেষ বিকেলে দুই উইকেট হারিয়ে পিছিয়ে রইলো বাংলাদেশ
- অনেকে পায়ের আঙুলের ছাপ দিয়েও এনআইডি হাতিয়ে নিচ্ছেন: ইসি সচিব
- নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের কর্মবিরতির ডাক
- প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
- ডিসি নিয়োগ নিয়ে হট্টগোল করা ১৭ জন চিহ্নিত
- আশুলিয়ায় পাঁচ শ্রমিক গুলিবিদ্ধ, নিহত ১
- সরকারি চাকরিতে প্রবেশের যৌক্তিক বয়স নির্ধারণে কমিটি গঠন
- সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ নেই: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
- এশিয়ান যুব অর্চারির ফাইনালে আলিফ
- মব জাস্টিসের নামে কেউ অন্যায় করলে ছাড় দেওয়া হবে না: আইজিপি
- ভাঙ্গায় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩
- বগুড়ায় তিন কবির কবিতাসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত
- জয় দিয়ে বাছাইপর্ব শেষ করল বাংলাদেশ
- ৬ বছর পর ইনিংস ব্যবধানে হারল নিউজিল্যান্ড
- চট্টগ্রাম কলেজে ৫ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
- সরকারের মধ্যে ফ্যাসিস্ট আ. লীগের প্রেতাত্মা অবস্থান করছে: কাদের
- জাতীয় পার্টির যৌথসভা ৭ অক্টোবর
- পাহাড়ে বাঙালি হত্যার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ
- মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ-সমাবেশ
- সৈয়দপুরে নদীতে ডুবে মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু
- শ্রমঘন এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু ১ অক্টোবর
- সাংবাদিকদের নামে মানহানি মামলা প্রত্যাহারের দাবি ডিআরইউ`র
- সাগর-রুনি হত্যা মামলায় পিবিআইয়ের তদন্ত চাইব: শিশির মনির
- কুষ্টিয়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ৪ স্কুলছাত্রী নিহত
- বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ
- চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগ করতে চায় আরব আমিরাত
- ইউনাইটেডের নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যা হতে পারে
- দেশে ফিরেছেন লিবিয়ায় আটকেপড়া ১৫০ বাংলাদেশি
- আ.লীগ নেতার গোডাউন থেকে চুরি হওয়া রড উদ্ধার
- সিলেটে মা/দ/ক কারবারে নারীরা, র্যাবের খাঁচায় ৪জন
- বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বল্প জীবনকালীন ফসল চাষের আহ্বান
- পাচারের অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা
- ভারতে স্বৈরাচার হাসিনা চুপচাপ বসে নেই, ঐক্যবদ্ধ থাকুন: সেলিমা রহম
- শাবিতে প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত মন্দির নির্মাণের চেষ্টা
- পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল
- ৫০ হাজার কর্মীর পরিবার করুণ অবস্থায়, দাবি আ. লীগের
- ওসমানী হাসপাতালে ৩ নার্সসহ ৮ জনের নামে দুদকের মামলা
- সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার
- যৌথবাহিনীর অভিযানে ফেনীতে অস্ত্রসহ আটক ৪
- নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের হাতে দুই বাংলাদেশি আটক
- ১০৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ রেখে গেছেন হাসিনা
- বেগমগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল ইলেকট্রিক মিস্ত্রির
- ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার, মূলধন বাড়লো পৌনে ৭ হাজার কোটি টাকা
- স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের দেশত্যাগে
- নির্বাচন ভবনে ভিজিটর প্রবেশে কড়াকড়ি আনছে ইসি