• বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১১ ১৪৩০

  • || ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
জুড়ী পাবলিক লাইব্রেরির যাত্রা শুরু দিরাইয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কারেন্ট জাল জব্দ স্ত্রীর ওপর অভিমান, শিশু সন্তানকে হত্যায় বাবা আটক হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জে ভারতীয় কাপড়ের বড় চালান জব্দ, আটক ২ খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ: প্রধানমন্ত্রী
২৮২

শাবিতে বাংলার কিছু শিক্ষার্থীর ড্রপ সংস্কৃতির চর্চা, ক্ষোভ

সিলেট সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

এক অসুস্থ শিক্ষার্থীর জন্য সব ব্যবস্থা করা হলেও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) প্রথম সেমিস্টারের ‌‘বিএনজিঃ৫১৩ – গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র’ কোর্সের - ফাইনাল পরীক্ষার নির্ধারিত দিনে কোনো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি।

ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গেই শিক্ষার্থীদের গাফিলতিতে ড্রপ সংস্কৃতি চর্চা করে তারা।বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আগামী বছর পরবর্তী ব্যাচের সঙ্গে এই কোর্সের পরীক্ষা দিতে হবে।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ শিক্ষার্থীর জন্য সকল ধরণের মেডিকেল সাপোর্ট প্রস্তুত থাকলেও এ সুযোগ ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয় নি তিনি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা১১ টায় ভার্চুয়ালি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৩ তম একাডেমিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিল সভায় বাংলা বিভাগের পরীক্ষা সংক্রান্ত এই বিষয়ে ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে একই সময়ে সেমিস্টার ফাইনাল শুরু করা, পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির ফি বৃদ্ধিসহ একাডেমিক বিষয়ে ১৮টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেখানে বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর প্রথম সেমিস্টারের ওই কোর্সের পরীক্ষার বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে একাডেকিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য এ তথ্য জানান।

কাউন্সিল সদস্যরা বলেন, বাংলা বিভাগের মাস্টাসের একটি কোর্সে ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দেয়নি। সেটার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে এটি আজকের একাডেমিক কাউন্সিল সভার একটি প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল। সভার সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, শিক্ষার্থীদের ওই কোর্সের পরীক্ষায় অনুপস্থিত দেখানো হবে। কোনো পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত থাকলে কীভাবে পাশ করবে সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নিয়ম বিদ্যমান আছে, ঠিক সেই নিয়মটিই তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে।

পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যমান নিয়মের বিষয়ে সদস্যরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী কোন কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে তাকে পরের বছর পরবর্তী ব্যাচের সাথে সেই কোর্সটি তুলতে হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর প্রথম সেমিস্টারের ‘গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র’ শিরোনামের ৩ ক্রেডিটের একটি কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ওই ব্যাচের এক শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে জ্বর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এবং সেসময় তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সহপাঠীরা তাকে রেখে ওই কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেন।

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শেখ দেলোয়ার হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমাদের এক সহপাঠী ১৫-২০ দিন ধরে জ্বর আক্রান্ত ছিল। তার জ্বরের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।

একই বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কয়েকজনের প্ল্যানে আমরা পরীক্ষা দেই নি। দিয়ে দিলেই ভাল ছিল।এখন সবাই সমস্যায় পড়েছি।ওদের কথায় কান না দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে ফেলতাম, সেটাই ভাল ছিল।

এ বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র অধ্যাপক বলেন, ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মানবে। নিয়মের মধ্যেই সব করবে। সেদিন পরীক্ষার হলে শিক্ষকরা সব প্রস্তুতি নিয়ে যথারীতি পরীক্ষা নিতে চাইলেও শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ করেনি। কেউ পরীক্ষা দেয় নি। এটা তাদের উচিৎ হয়নি।

 

সিলেট সমাচার
সিলেট সমাচার