চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া ও পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলমের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৬ জুলাই) বেলা ১২টায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ মাঠ হয়ে থানাবাজারের বিভিন্ন গলি প্রদক্ষিণ করে পরিষদ মাঠে এসে বিক্ষোভ শেষে পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াদ আলীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, কোম্পানীগঞ্জের জনপ্রিয় দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের মানহানি করা হচ্ছে। পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুল্লুক হোসেন সরকারকে অবৈধ সরকার বলে এবং নিজেরাই বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ছিড়ে উপজেলার জনপ্রতিনিধি সহ সাধারণ মানুষকে ফাঁসাচ্ছেন।

পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বক্তৃতারা বলেন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ছেড়ার বিন্দুমাত্র সত্যতা যেখানে নেই সেই মামলা পুলিশ কিভাবে গ্রহণ করেছে।

অবিলম্বে জনপ্রতিনিধিদের উপর থেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করা হলে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক অবরোধ করাসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

আওয়ামীলীগ সরকারকে অবৈধ বলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুল্লুক হোসেনকে পদ থেকে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। একই দাবীতে বেলা ১টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে প্রতিবাদ ও আলোচনা সভা করেছেন উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সন্তান কমান্ড।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার চানঁ মিয়া, ডেপুটি কমান্ডার শফি উদ্দিন রেনু, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, মুক্তিযুদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী ও আমজনতা।

উল্লেখ্য পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুল্লুক হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছেড়ার অভিযোগ দায়ের করেন সেই অভিযোগ ভিত্তিতে গত ১৪ জুলাই রাতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া ও আলমগীর আলম সহ চারজনের নামে মামলা রেকর্ড করে  (মামলা নং ১১) কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।