বিয়ানীবাজার ক্যান্সার হাসপাতালে চালু হচ্ছে নতুন সেবা

বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে শিগগিরই পরিপাকতন্ত্র জনিত দুরারোগ্য রোগ ও পরিপাকতন্ত্র ক্যান্সার সেবা প্রদান শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে হাসপাতালের কনফারেন্স হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

উপজেলা পর্যায়ে দেশের প্রথম এন্ডস্কপি, কলোনস্কপিসহ পরিপাকতন্ত্র জনিত ক্যান্সার ও বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগ নির্নয় ও চিকিৎসার্থে হাসপাতালের ক্রমবর্ধমান সেবা কার্যক্রমের সাথে এডভান্সড ল্যাপারস্কোপিক, রোবোটিক্স এন্ড পেরিনিয়াল ক্যান্সার সার্জন ডাঃ শাহরিয়ার মোঃ সাদেক’র সার্বিক তত্বাবধানে বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মীগনের সাহায্যে এই সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে যাবতীয় পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছেন হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা।

এই সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে হাসপাতালের কান্ট্রি ডাইরেক্টর তোফায়েল খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের রয়েল লন্ডন হাসপাতালের সাবেক কনসালটেন্ট কলোরেক্টাল ক্যান্সার সার্জন, ঢাকার বি আই এইচ এস হাসপাতালের চীফ কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান বিয়ানীবাজারের সন্তান ডাঃ শাহরিয়ার মোঃ সাদেক।

ক্যান্সার দূরারোগ্য ব্যধি উল্লেখ করে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ডাঃ শাহরিয়ার মোঃ সাদেক বলেন, দেশে প্রতি বছর ২৫-৩০ হাজার মানুষ পরিপাকতন্ত্র জনিত ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে অনেক রোগীই চিকিৎসার অভাবে অকালে মারা যাচ্ছেন। প্রাথমিক ক্যান্সার সনাক্তকরন ও ক্যান্সার সচেতনতাকে সামাজিক আন্দোলনে রুপ দিতে হবে। বিয়ানীবাজারের সন্তান হিসেবে বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের এমন উদ্যোগের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে আমি খুবই উচ্চসিত ও আনন্দিত।

বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীদের সেবা দেবেন এমন দিনের অপেক্ষা ছিলেন জানিয়ে হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। হাসপাতালের কান্ট্রি ডিরেক্টর তোফায়েল খান বলেন, ডা. ডাঃ শাহরিয়ার মোঃ সাদেক বিয়ানীবাজারের নয় তিনি দেশের সম্পদ। ক্যান্সারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসাবে তিনি বিয়ানীবাজারবাসীতে সেবা প্রদান করবেন এ ভেবে খুব আনন্দ হচ্ছে। আমরা এমন দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। আমাদের সন্তান উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে নিজ এলাকার মানুষের সেবা প্রদান করবেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর জাকির হোসেন খান, আরএমও ও ইনচার্জ ডাঃ কাওসার রহমানসহ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ দায়িত্বশীলরা।